অনেক আলোচনা–সমালোচনা পেরিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ক্রিকেট পরিচালক হয়েছেন মিকি আর্থার। এর আগে ক্রিকেট ইতিহাসে কারও কোনো দলের দায়িত্ব নেওয়া নিয়ে এত কথা হয়েছে কি না, সেটা হয়তো গবেষণার বিষয়।
আলোচিত এই ক্রিকেট পরিচালক পাকিস্তান ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আগেও। নতুন দায়িত্বে আবার পাকিস্তানে ফিরে দুটি লক্ষ্য অর্জনের কথা জানিয়েছেন আর্থার।
আর্থার যে দুটি লক্ষ্যের কথা বলেছেন, তার একটি অবশ্য আগেও অর্জন করেছে পাকিস্তান। যদিও তা ৩১ বছর আগে, ১৯৯২ সালে ইমরান খানের নেতৃত্বে। আর্থারের দ্বিতীয় লক্ষ্যটি পাকিস্তান এর আগে কখনোই পূরণ করতে পারেনি। তবে আর্থার অন্য দলের দায়িত্বে থেকে সেই স্বাদ উপভোগ করেছেন।
২০০৮ সালে তাঁর অধীন অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে তাদের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা ২-১ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জিতেছিল। পাকিস্তানের হয়ে যে দুটি লক্ষ্য তিনি অর্জন করতে চান, শুনুন আর্থারের কণ্ঠে, ‘বিশ্বকাপ জেতার লক্ষ্য থাকবে। দ্বিতীয় লক্ষ্য হবে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে তাদের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জেতা। আমি ভাগ্যবান ছিলাম দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে আমি এই স্বাদ নিয়েছি, এর চেয়ে ভালো কিছু হতেই পারে না। এই দুটি লক্ষ্যই অর্জন করা সম্ভব।’
ভারতের মাটিতে এ বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। স্বাভাবিকভাবেই বাবর আজমদের জন্য এই টুর্নামেন্ট জেতা কঠিন হবে। বিশ্বকাপের পরই অস্ট্রেলিয়ায় ৩ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে যাবে পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে তাদের বিপক্ষে কখনোই টেস্ট সিরিজ জিততে পারেনি পাকিস্তান। এখন পর্যন্ত খেলা ১২ সিরিজে ১০টিতেই হেরেছে পাকিস্তান, ড্র করেছে দুটি সিরিজ। নতুন দায়িত্ব নিয়ে পাকিস্তানের হয়ে আর্থার নতুন ইতিহাস লিখতে পারেন কি না, সেটা সময়ই বলবে।
তবে কাজটা তাঁর জন্য কঠিনই হতে যাচ্ছে। কারণ, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার আগে থেকেই তাঁকে নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। কেন এত আলোচনা, সেই কারণটাও হয়তো কারও অজানা নয়, আর্থার পাকিস্তান ক্রিকেটে ফিরছেন অদ্ভুত এক শর্তে। ইংল্যান্ডের কাউন্টি দল ডার্বিশায়ারের সঙ্গে আর্থারের চুক্তি আছে। ফলে এই পরিচালককে সব সময় পাবে না পাকিস্তান। এর আগে ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধান কোচ ছিলেন আর্থার।