আগেই বিশ্বকাপ নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় এই ম্যাচে জয় জরুরি ছিল না। কিন্তু সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হিসেবে বাছাইয়ে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব জানানোর চ্যালেঞ্জ ছিলই। ছিল বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে ‘আমরা ভালো দল’ আত্মবিশ্বাস নিয়ে যাওয়ার তাড়নাও।
আজ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে উড়িয়ে দিয়ে সেটিই অর্জন করে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। হারারেতে অনুষ্ঠিত ফাইনালে ডাচদের ১২৮ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে দাসুন শানাকার দল। টানা আট ম্যাচ জিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েই বিশ্বকাপে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা।
গ্রুপ পর্ব ও সুপার সিক্সের ম্যাচগুলোর মতো ফাইনালেও শ্রীলঙ্কাকে এগিয়ে দিয়েছেন বোলাররা। প্রথমে ব্যাট করে ব্যাটসম্যানরা স্কোরবোর্ডে তুলেছিলেন ২৩৩ রান। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৭১ বলে ৫৭ রান করেন সাহান আরাচচিগের।
চারে নামা এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান আজই প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যাটিং করেছেন। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচে অভিষেক হলেও ব্যাটিং করা হয়নি। চতুর্থ উইকেটে আরাচচিগেকে ৭২ রানের জুটিতে সঙ্গ দেন কুশল মেন্ডিস, যাঁর ব্যাট থেকে আসে ৫২ বলে ৪৩ রান। এ ছাড়া পাঁচে নামা চারিত আসালাঙ্কা করেন ৩৬ বলে ৩৬ রান।
২৩৪ রানের জয়ের লক্ষ্যে নেমে নেদারল্যান্ডস দাঁড়াতেই পারেনি। মূলত পঞ্চম ওভারে দলীয় ২৫ রানে বিক্রমজিৎ সিং আউট হওয়ার পর খেই হারাতে থাকে দলটি। ১২ ওভারের মধ্যে ৪৯ রান তুলতেই যায় ৬ উইকেট, শেষ পর্যন্ত ২৩.৩ ওভারে অলআউট ১০৫ রানে। ৩১ রানে চার উইকেট নেন মাহিশ তিকশানা। দিনশান মাদুশঙ্কা নেন ১৮ রানে ৩ উইকেট।
শ্রীলঙ্কা: ৪৭.৫ ওভারে ২৩৩ (আরাচচিগে ৫৭, কুশল ৪৩, আশালঙ্কা ৩৬; ফন বিক ২/৪০, ক্লেইন ২/৪২)
নেদারল্যান্ডস: ২৩.৩ ওভারে ১০৫ (ম্যাক্স ও’ডাউড ৩৩, ফন বিক ২০*; তিকশানা ৪/৩১, মাদুশঙ্কা ৩/১৮)।
ফল: শ্রীলঙ্কা ১২৮ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: দিলশান মাদুশঙ্কা।