২৪২ রান করেও হ্যামিল্টন টেস্টের প্রথম ইনিংসে লিড নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আজ প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডকে ২১১ রানে অলআউট করে ৩১ রানে লিড পেয়েছে দুর্বল এক দল নিয়ে নিউজিল্যান্ডে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা। নিউজিল্যান্ড অলআউট হতেই শেষ হয়েছে দ্বিতীয় দিনের খেলা।
হ্যামিল্টন টেস্টের প্রথম দিন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ছিল ৬ উইকেটে ২২০ রান। সেখান থেকে দ্বিতীয় দিনে আর মাত্র ২২ রান যোগ করতে পারে তারা। তবে এই রানই লিড পাওয়ার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার যথেষ্ট হয়ে যায়। অফ স্পিনার ডেন পিট ৫ উইকেট নিয়ে মূল কাজটা করেছেন দলের হয়ে।
আগের দিন সপ্তম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৭০ রানের জুটি গড়া রুয়ান ডি সোয়ার্ট ও শন ফন বার্গ আর মাত্র ৭ রান যোগ করেই বিচ্ছিন্ন হন। অভিষিক্ত পেসার উইলিয়াম ও’রুর্ক বোল্ড করে দেন ফন বার্গকে। ৮৯ বলে ৩৮ রান করেছেন আটে ব্যাট করা ফন বার্গ।
এরপর কিউই অধিনায়ক টিম সাউদি ডেন পিটকে ফেরানোর পর ও’রুর্ক নেন ডি সোয়ার্টের উইকেটটিও। ১৫৬ বলে ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৪ রান করা ডি সোয়ার্টও হয়েছেন বোল্ড। ডেন পিটারসনকে টম ল্যাথামের ক্যাচ বানিয়ে প্রোটিয়া ইনিংসের ইতি টানা ও’রুর্ক ৫৯ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট।
নিউজিল্যান্ড শুরুটা ভালোই করেছিল। সেটা ডেভন কনওয়ে ব্যক্তিগত ০ রানে আউট হওয়ার পরও। টেস্টে সর্বশেষ ৬ ইনিংসে কনওয়ের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ২৯। তাই তাকে ছাড়া ছাড়াই ভালো শুরুর অভ্যাস করে ফেলেছে নিউজিল্যান্ড। তিনি নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে টম ল্যাথামকে সঙ্গে নিয়ে কেইন উইলিয়ামসন গড়েন ৭৪ রানের জুটি। ল্যাথাম-উইলিয়ামসনের জুটির সময় মনে হচ্ছিল আবারও প্রথম টেস্টের পুনরাবৃত্তিই হতে যাচ্ছে। তবে আপাতত সেই শঙ্কা কেটেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার সেই শঙ্কা কাটিয়েছেন পিট।
উইলিয়ামসন-ল্যাথামের ৭৪ রানের জুটি ভাঙতে প্রথম আউট করেছেন ল্যাথামকে। ব্যক্তিগত ৪০ রানে বোল্ড হন ল্যাথাম। এরপর দলীয় ৮৬ আর ব্যক্তিগত ৪৩ রানে উইলিয়ামসনকে আউট করেন পিট। এরপর ৫৯ রানের জুটি গড়েন রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং। এই জুটি ভাঙেন মোরেকি। ২৯ রানে আউট হন রবীন্দ্র। এররপর ব্যক্তিগত ৩৬ রানে আউট হন ইয়ায়। তাকে ফেরান সেই পিট। এই জুটি ভাঙার পর নিউজিল্যান্ডের কোনো ব্যাটসম্যানই বেশিক্ষণ আর ক্রিজে থাকতে পারেননি। এরপর সর্বোচ্চ রানের জুটি এসেছে দশম উইকেট জুটির কাছ থেকে। নিল ওয়াগনার ও ও’রুর্কের কাছ থেকে। দুজনে গড়েন ২৮ রানের জুটি। তাতেই মূলত ২০০ রান টপকায় নিউজিল্যান্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৯৭.২ ওভারে ২৪২/১০ ( সোয়ার্ট ৬৪, ফন বার্গ ৩৮, বেডিংহাম ৩৯, ফন টন্ডার ৩২, ব্র্যান্ড ২৫, হামজা ২০; ও’রুর্ক ৪/৫৯, রবীন্দ্র ৩/৩৩, ওয়াগনার ১/৩২, হেনরি ১/৪৪, সাউদি ১/৬৩)
নিউজিল্যান্ড: ৭৭.৩ ওভারে ২১১/১০ ( উইলিয়ামসন ৪৩, ল্যাথাম ৪০, ইয়াং ৩৬, ওয়াগনার ৩৩; পিট ৫/৮৯, পিটারসন ৩/৩৯, মোরেকি ১/৩২)