ম্যাচের আগেই অনুশীলনের সময় ব্যথা অনুভব করায় ছিটকে গেলেন যশপ্রীত বুমরা। এ ম্যাচে নেই বিশ্রামে থাকা হার্দিক পান্ডিয়া ও ভুবনেশ্বর কুমারও। তবে দীপক চাহার ও আর্শদীপ সিং তাঁদের অভাবটা টের পেতে দিলেন কই! দক্ষিণ আফ্রিকাকে মাত্র ১০৬ রানে আটকে দেওয়ার পর ভারত জিতেছে ৮ উইকেটে, সিরিজে এগিয়ে গেছে ১-০ ব্যবধানে। ব্যাটিংয়ের জন্য তুলনামূলক কঠিন এক উইকেটেও সূর্যকুমার যাদব খেলেছেন ৩৩ বলে অপরাজিত ৫০ রানের ইনিংস। ফিফটি পেয়েছেন লোকেশ রাহুলও।
তিরুবনন্তাপুরমে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দীপক চাহারের প্রথম ওভারের শেষ বলে বোল্ড টেম্বা বাভুমা। পরের ওভার করতে এলেন আর্শদীপ। এবার একে একে ফিরলেন কুইন্টন ডি কক, রাইলি রুশো ও ডেভিড মিলার। তৃতীয় ওভারে চাহারের বলে যখন আর্শদীপের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন ট্রিস্টান স্টাবস, দক্ষিণ আফ্রিকার অর্ধেক উইকেট নেই!
৫ উইকেট হারানোর সময় দক্ষিণ আফ্রিকার রান ছিল মাত্র ৯। নিজেদের ইতিহাসে এত কম রানে ৫ উইকেট এর আগে হারায়নি তারা। এরপরও প্রোটিয়ারা ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১০৬ রান তুলেছে মূলত আটে নামা কেশব মহারাজের ৩৫ বলে ৪১ রানের ইনিংসে। মহারাজের আগে দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন আর দুজন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান—এইডেন মার্করাম ২৪ বলে করেন ২৫ রান, ওয়েইন পারনেল ৩৭ বলে করেন ২৪ রান। পারনেল ফেরার আগে মার্করামের সঙ্গে জুটিতে ওঠে ৩৩ রান। এরপর পারনেল ও রাবাদার সঙ্গে ২৬ ও ৩৩ রানের আরও দুটি জুটি ছিল মহারাজের। মহারাজ তাঁর ইনিংসে ৫টি চারের সঙ্গে মারেন ২টি ছয়।
আর্শদীপ ৩ উইকেট নেন ৩২ রানে। ২টি করে উইকেট নেন চাহার ও হার্শাল প্যাটেল। ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে ১টি উইকেট নিয়েছেন অক্ষর প্যাটেল। অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন উইকেটশূন্য থাকলেও ৪ ওভারে দেন মাত্র ৮ রান।
এ উইকেটে ব্যাটিং করা খুব একটা সহজ ছিল না, ৬ ওভারে মাত্র ১৭ রান তুলতে ভারত হারিয়ে ফেলে রোহিত শর্মার উইকেট। সে উইকেট নেন কাগিসো রাবাদা। সপ্তম ওভারে আনরিখ নর্কিয়ার বলে কট বিহাইন্ড হন বিরাট কোহলিও। ১৭ রানে ২ উইকেট—ম্যাচে তখন রোমাঞ্চের সম্ভাবনা।
রোমাঞ্চ এরপর দেখা গেল ঠিকই, তবে সেটি মূলত সূর্যকুমারের ব্যাটিংয়েই। স্বপ্নের ফর্মে থাকা এই ব্যাটসম্যান যেন আরও একবার ব্যাট করেছেন সতীর্থদের চেয়ে ভিন্ন উইকেটে। তৃতীয় উইকেটে রাহুলের সঙ্গে তাঁর জুটি অবিচ্ছিন্ন ছিল ৯৩ রানে। রাহুল ফিফটি করতে খেলেছেন ৫৬ বল, সূর্যকুমারের লেগেছে মাত্র ৩৩ বল। ইনিংসে সূর্যকুমার মেরেছেন ৫টি চার ও ৩টি ছক্কা। রাহুলের ইনিংসে ছিল ২টি চার ও ৪টি ছক্কা। ২০ বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত হয় ভারতের।