বিশ্বকাপ ট্রফি যখন বাংলাদেশে এসে পদ্মা সেতু দেখতে যায়
বিশ্বকাপ ট্রফি যখন বাংলাদেশে এসে পদ্মা সেতু দেখতে যায়

আমার দেখা বিশ্বকাপ

সাম্প্রতিক ইতিহাস সব জানা আছেএটাই তো স্বাভাবিক। শুধু সাম্প্রতিক কেন, ৪৮ বছর আগে ক্রিকেটের প্রথম বিশ্বকাপেও কী হয়েছিল না হয়েছিল, প্রশ্ন করে দেখুন। গড়গড় করে সব বলে যেতে পারব। তবে এর সবই পুঁথিগত বিদ্যা। মানে সব পড়ে পড়ে জানা আরকি! পড়ে জানা সেসবের দৃশ্যায়ন তো দেখেছি অনেক পরে। এখন না চাইলেই যেকোনো কিছু দেখে ফেলতে পারার আশ্চর্য এক উদ্ভাবন আমাদের জীবনের অংশ হয়ে গেছে। এতটাই যেকোনো এক দিন যে ইউটিউব বলতে কিছু ছিল নাঅনেক সময় তা মনেই থাকে না।

ক্রিকেটের প্রথম বিশ্বকাপ বলতে কোনটার কথা বলছিএটা নিয়ে কিন্তু চাইলে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেন। ২০২৩ বিশ্বকাপ ম্যাগাজিনের লেখা বলে এমনিতে না বোঝার কোনো কারণ নেইআমি কোন বিশ্বকাপের কথা বলছি। নিশ্চয়ই ১৯৭৫ বিশ্বকাপ। কিন্তু কূটতর্ক করতে চাইলে কেউ তো বলতেই পারেনক্রিকেটের প্রথম বিশ্বকাপের কথা বলছেনতাহলে ১৯৭৫ কেনসেটি তো হয়েছে এরও দুই বছর আগে। ১৯৭৩ সালের যে বিশ্বকাপ ছিল মেয়েদের।

বিশ্বকাপের মতো ক্রিকেটের আরও অনেক কিছুতেই মেয়েরা ছেলেদের পথপ্রদর্শক। এক টেস্টে সেঞ্চুরি আর ১০ উইকেটওয়ানডেতে ডাবল সেঞ্চুরি...খুঁজলে এমন আরও কিছু হয়তো পাওয়া যাবে। এই লেখার বিষয় যেহেতু তা নয়সেই খোঁজাখুঁজি অন্য সময় করা যাবে।

মেয়েদের বিশ্বকাপ শুরু হয় ১৯৭৩ সালে। সেবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইংল্যান্ড

তা লেখার বিষয়টা কীলেখার শিরোনাম থেকেই তা কিছুটা বুঝে ফেলার কথা; যদিও লেখাটা শুরু করার পর থেকেই মনে হচ্ছেবিষয় নির্বাচনটা বোধ হয় ভুলই হলো! আমার বিশ্বকাপ-স্মৃতি কি আর  ম্যাগাজিনের ক্ষুদ্র পরিসরে বর্ণনার বিষয়! তা নিয়ে তো ঢাউস একটা বই-ই হতে পারে। সেটিও শুধু সাংবাদিকের ভূমিকায় দেখা বিশ্বকাপ নিয়েই।  

বিশ্বকাপের প্রেসবক্সে প্রথম প্রবেশাধিকার পাওয়ার আগেই এর চারটি আসর হয়ে গেছে। ১৯৭৫ সালে প্রথম বিশ্বকাপের সময় ক্লাস ফোরে পড়ি। বাংলাদেশের এমন ক্রিকেটময় দেশ হয়ে উঠতে তখনো অনেক দেরি। ক্রিকেট খেলাটার সঙ্গে তখনো যে আমার পরিচয় হয়নিতা বিশ্বাস করাতে তথ্যটা প্রয়োজনীয়। চার বছর পর দ্বিতীয় বিশ্বকাপের সময় সেই আঁচ অবশ্যই লেগেছে গায়েতবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিরোপা ধরে রাখার কাহিনি জানার একমাত্র মাধ্যম হয়ে ছিল সংবাদপত্র। ১৯৮৩ সালে ‌‘কপিলস ডেভিলস’-এর রূপকথাসম জয়ও টেলিভিশনে দেখেছি কি নাঠিক মনে করতে পারছি না। দর্শক হিসেবে সরাসরি দেখা (অবশ্যই টেলিভিশনে) প্রথম বিশ্বকাপের কথা বললে তাই ইংল্যান্ড থেকে বেরিয়ে আসতে হয়। ৬০ ওভারের প্রথম তিনটি বিশ্বকাপই তো হয়েছে ইংল্যান্ডে। ইংল্যান্ড থেকে না বেরোলে হয়তো তা ৬০ ওভারেরই হয়ে থাকত। এখন ওয়ানডে মানেই যেমন ৫০ ওভারের ম্যাচ, একটা সময় তা ছিল না। ওয়ানডের দৈর্ঘ্যে ছিল অবিশ্বাস্য বৈচিত্র্য। আয়োজক বোর্ডের ইচ্ছেমতো ৫০, ৪৫, এমনকি ৪০ ওভারের ম্যাচও। ইংল্যান্ডের গ্রীষ্মে ‘রাত’ ১০টার পরেও দিনের আলো থাকে বলে ৬০ ওভারের ম্যাচ হতো শুধু বিলেতেই। উপমহাদেশে সেই সুযোগ নেই। ১৯৮৭ সালে ভারত-পাকিস্তানের যৌথ আয়োজনের বিশ্বকাপে তাই একরকম বাধ্য হয়েই প্রথম ৫০ ওভারের ম্যাচ। উন্মাদনার বিচারে বিশ্বকাপের বিশ্বকাপ হয়ে ওঠার সূচনাও বলা যায় এটিকে। আরেকটা তাৎপর্য একান্তই ব্যক্তিগত—শুধুই দর্শক হিসেবে দেখা ওটাই আমার শেষ বিশ্বকাপ।

দর্শক হিসেবে দেখা শেষ বিশ্বকাপ। ১৯৮৭ সালের সেই আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া

চার বছর পর পরের বিশ্বকাপ আসতে আসতে পুরোদস্তুর সাংবাদিক। ১৯৯২ বিশ্বকাপ কাভার করতে যাওয়ার কথা ছিল। শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি। সাংবাদিক হিসেবে আমার বিশ্বকাপ-অভিষেক মাঝখানে অস্ট্রেলিয়া–নিউজিল্যান্ড ঘুরে বিশ্বকাপ আবার উপমহাদেশে ফেরার পর। সেই থেকে টানা ৬টি বিশ্বকাপ কাভার করার পর ২০১৯ বিশ্বকাপে একটা বিরতি পড়ল। সেই বিরতির কারণ বিশ্বকাপের মাস দুয়েক আগে পেশাদার সাংবাদিক জীবন থেকে একটু ছুটি নেওয়া। সেই বিশ্বকাপের শেষাংশে যদিও আমি ইংল্যান্ডেই ছিলাম; লর্ডসে বাংলাদেশ–পাকিস্তান ম্যাচটাও দেখেছি। গ্যালারিতে বসে দেখা বিশ্বকাপের একমাত্র ম্যাচ।

বিচিত্র একটা অভিজ্ঞতাই হয়েছিল সেই বিশ্বকাপে। দুই সেমিফাইনালের শহর ম্যানচেস্টার ও বার্মিংহামে থেকেও মাঠে যাইনি। লন্ডনে থেকে লর্ডসের ফাইনালেও না। দুই সেমিফাইনালের দিন একেবারেই নতুন অভিজ্ঞতা। মাঠে খেলা চলছে, আর আমি শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছি। একটু–আধটু খেলা দেখছি, অনেক বছর পর শুনছি রেডিও কমেন্ট্রি। পরিবর্তনটা ভালোই লাগছিল। ম্যাচ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিউজ পাঠানোর হুড়োহুড়ি নেই; বরং কোনো পাবে বসে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে আড্ডা মারছি। সেই আড্ডায় বিশ্বকাপ ছাড়াও আরও অনেক কিছুই আসছে। এর আগের বিশ্বকাপগুলোয় এই সময়টায় ডেডলাইনের সঙ্গে কেমন প্রাণান্ত যুদ্ধ করতে হয়েছে, তা ভেবে খুব শান্তি–শান্তি লাগছে।

ফাইনাল নিয়ে অনুভূতিটা অবশ্য এ রকম নয়; বরং চাইলেই টিকিটের ব্যবস্থা করা যায়, তারপরও মাঠে না যাওয়ার আফসোসটা মাঝেমধ্যে এখনো পোড়ায়। কারণটা আপনার অনুমান করে ফেলার কথা। এর আগের ৬টি বিশ্বকাপ ফাইনাল প্রেসবক্সে বসে দেখেছি। সেসব ফাইনালের বেশ কটিতেও ঘটনার ঘনঘটা ছিলছিল নাটকীয়তা। কিন্তু ২০১৯ লর্ডস ফাইনালের সঙ্গে কোনো তুলনাই চলে না। এর আগে বিশ্বকাপের সেরা ম্যাচ হিসেবে প্রায় সর্বজনীন স্বীকৃতি পেয়ে এসেছে ১৯৯৯ বিশ্বকাপে এজবাস্টনে অস্ট্রেলিয়া–দক্ষিণ আফ্রিকা সেই ‘টাই’। লর্ডসের ফাইনাল ‘ডাবল টাই’য়ে নিশ্চিতভাবেই ছাড়িয়ে গেছে সেটিকে।

১৯৯৯ বিশ্বকাপে এজবাস্টনে অস্ট্রেলিয়া–দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচকে অনেকেই বিশ্বকাপের ইতিহাসে সেরা হিসেবে দাবি করেন

ম্যাচে টাইসুপার ওভারে টাই—কেউ এমন চিত্রনাট্য লিখলে নিশ্চিত সেটি বেশি কল্পনাপ্রবণ বলে বিরক্তির কারণ হতো। একমাত্র ক্রিকেট–বিধাতাই হয়তো অমন অবিশ্বাস্য একটা গল্প লিখতে পারেন। টেলিভিশনে অবিশ্বাস্য সেই গল্পের মঞ্চায়ন দেখার পরপরই বেরিয়ে পড়েছিলাম আলোড়িত শহর দেখতে। কিসের আলোড়ন! টিউবে সহযাত্রীদের কথাবার্তায় তা-ও একটু–আধটু ফাইনাল এসেছেকিন্তু লন্ডনের নার্ভ সেন্টারগুলোয় ঘুরেও আবেগ-উত্তেজনার কোনো চিহ্নই নেই। উপমহাদেশের কোনো দল নিজেদের দেশে এমন একটা ফাইনালে জিতলে সেই শহরের অবস্থা কী হতোতা একটু ভাবার চেষ্টা করলাম। যদিও তা কল্পনা করার কোনো দরকারই ছিল না; প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতাই যে ছিল।

একটা সময় বিশ্বকাপ ক্রিকেটে একটা নিয়মই হয়ে গিয়েছিল যে স্বাগতিক দেশ কখনো ট্রফি জেতে না। ১৯৯৬ সালে শ্রীলঙ্কা সহস্বাগতিক ছিল বটেকিন্তু কয়টি ম্যাচই–বা হয়েছে সেই দেশে! ফাইনালও তো হয়েছে লাহোরে। এখন আবার উল্টো। সর্বশেষ তিনটি বিশ্বকাপেই ট্রফি আয়োজক দেশ ছেড়ে যেতে রাজি হয়নি। সূচনাটা ২০১১ বিশ্বকাপ দিয়ে। মুম্বাইয়ের সেই বিশ্বকাপ ফাইনাল কাভার করতে মেরিন ড্রাইভের যে হোটেলে উঠেছিলামওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম সেখান থেকে হাঁটা দূরত্বে। হোটেলটা বেছে নিয়েছিলাম বলে ফাইনালের রাতে বারবার নিজেই নিজের পিঠ চাপড়ে দিয়েছি। গাড়িতে যেতে হয়—এমন কোনো হোটেলে উঠলে সেই রাতে আর রুমে ফেরা হতো না।

ম্যাচ শেষ হওয়ার অনেকটা সময় পরে প্রেস কনফারেন্স। সেটি শেষ করার পর লিখেটিখে যখন বেরিয়েছি, তখন মধ্যরাত। তখনো ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের বাইরে লোকে লোকারণ্য। মেরিন ড্রাইভেও গিজগিজ করছে মানুষ। গাড়ি চলার কোনো উপায়ই নেই। তারপরও কিছু গাড়ি সেই চেষ্টা করতে গিয়ে আটকা পড়েছে। তাতে গাড়ির আরোহীদের খুব একটা দুঃখ আছে বলে মনে হচ্ছে না। বরং চারপাশের ভেঁপু, বাঁশি, ঢোলের আওয়াজের সঙ্গে গাড়ির হর্ন বাজিয়ে তাল দিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। স্বাভাবিক পা ফেলে হাঁটারও উপায় নেই। পিঁপড়ের মতো এগোতে এগোতে একসময় হোটেলে পৌঁছাতে পারলাম বটে, তবে বাকি রাত আর ঘুমাতে পারলাম না। খুব যে চেষ্টা করেছি, তা–ও নয়।

ভারতের ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ের পর লোকে লোকারণ্য মুম্বাইয়ের মেরিন ড্রাইভ

হোটেল রুমের সঙ্গে বেশ বড় একটা ব্যালকনি ছিল, যেখানে দাঁড়ালে মেরিন ড্রাইভ দেখা যায়। শোনা যায় কানে তালা লাগিয়ে দেওয়ার মতো বিচিত্র সব আওয়াজও। ওই দৃশ্য দেখা বাদ দিয়ে ঘুমানোটাকে মনে হচ্ছিল অপরাধ। রুম আর ব্যালকনিতে আসা–যাওয়া করে ভোর পর্যন্ত তাই বিশ্বকাপ জয়ের উদ্‌যাপন দেখলাম। মানুষের এমন আনন্দ দেখাতেও তো একটা আনন্দ আছে। তার ওপর আমার জন্য এটা নতুন এক অভিজ্ঞতা। এমন কিছু যে আগে কখনো দেখিনি। ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি জয়ের পর ঢাকাতেও এমন উৎসব হয়েছে; ১৯৯৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারানোর পরও। কিন্তু আমি শুধু সেসবের ছবিই দেখেছি। আইসিসি ট্রফি জয়ের পর মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে ফেরা হয়নি। আর পাকিস্তানকে হারানোর পর তো ফেরার সুযোগই ছিল না। বিশ্বকাপের আসল অংশটা তো তখনো বাকি, যা কাভার করতে আমি তখনো ইংল্যান্ডেই। বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দ কতটা তুঙ্গ ছুঁতে পারে—এর উদাহরণ হিসাবে আমি তাই মুম্বাইয়ের সেই রাতই বুঝি। পরের দুটি বিশ্বকাপও জিতেছে স্বাগতিক দেশ। লন্ডনের ফাইনালের রাতের কথা তো আগেই বলেছি, ২০১৫ সালে মেলবোর্নেও মুম্বাইয়ের ছিটেফোঁটা উদ্‌যাপনও দেখতে পাইনি। উদযাপনের ক্ষেত্রে উপমহাদেশ আসলেই চ্যাম্পিয়ন।

মুম্বাইয়ের সেই রাত তো মাঠের বাইরের গল্প। বিশ্বকাপ নিয়ে স্মরণীয় স্মৃতিকে মাঠে সীমাবদ্ধ রাখলেও নিজেকে ভাগ্যবান মানতে হয়। বিশ্বকাপের সব ম্যাচে তো আর প্রেসবক্সে থাকা সম্ভব হয় না। তারপরও কীভাবে কীভাবে যেন স্মরণীয় প্রায় সব ঘটনারই সাক্ষী হয়ে গেছি। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পাকিস্তান জয়ের কথা বলাটা তো বাহুল্য হবে, ২০০৭ বিশ্বকাপে ত্রিনিদাদে ভারত আর গায়ানায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে স্মরণীয় সেই দুটি জয়ও তা–ই। বাংলাদেশের সব ম্যাচই দেখেছি বলে সেসব নাহয় তালিকার বাইরেই রাখি। এর বাইরেও যদি বিশ্বকাপে স্মরণীয় স্মৃতির তালিকা করতে বসি, সেটিও অনেক দীর্ঘ-১৯৯৬ বিশ্বকাপে করাচিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে বিদায় করে দেওয়া ব্রায়ান লারার অনবদ্য সেই সেঞ্চুরির কোয়ার্টার ফাইনাল, ১৯৯৯ বিশ্বকাপে হেডিংলিতে হার্শেল গিবস ‘বিশ্বকাপ ফেলে দেওয়া’র পর স্টিভ ওয়াহর সেই সেঞ্চুরি, তিন দিন পরই এজবাস্টন সেমিফাইনালের সেই টাই, ২০০৩ বিশ্বকাপে ডারবানে হিসাবে ভুল করে দক্ষিণ আফ্রিকার বিদায়, প্রায়ান্ধকারে শেষ হওয়া ২০০৭ বিশ্বকাপের সেই ফাইনাল, ২০১৫ বিশ্বকাপে অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়াহাব রিয়াজের সেই স্পেল...চাইলে এমন আরও অনেক লিখে যেতে পারি।

১৯৯৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়ের পর মাঠে ঢুকে উল্লাস করেছিলেন বাংলাদেশের সমর্থকেরা। তখন অবশ্য প্রায় প্রতি ম্যাচ শেষেই মাঠে ঢুকতেন দর্শকেরা

১৯৯৬ বিশ্বকাপ ফাইনালের আগের দিন দুপুরে লাহোরে অর্জুনা রানাতুঙ্গার হোটেল রুমে কাটানো ওই ঘণ্টাখানেক সময়ই-বা কীভাবে ভুলে যাই! পরদিন বিশ্বকাপ ফাইনাল, আর অনাবৃত ঊর্ধ্বাঙ্গ আর লুঙ্গি (আসলে সারং) পরিহিত ফাইনালিস্ট এক দলের অধিনায়ক তাঁর ক্রিকেট-জীবনের গল্প বলতে গিয়ে আবেগাক্রান্ত হয়ে পড়ছেন—এমন অভিজ্ঞতা তো আর কখনো হওয়ার নয়। এ নিয়েই তো এর চেয়ে বড় একটা লেখা লিখে ফেলা যায়। সেই পরিসর কি আছে এখানে?

বলছিলাম না, বিষয় নির্বাচনটা ভুল হয়েছে।