না, মানে না!
এবার আর কারও অনুরোধ রাখছেন না মঈন আলী। বেন স্টোকস ও কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামের অনুরোধে অবসর ভেঙে টেস্টে ফিরেছিলেন। কেন তাঁকে ফেরানো হয়েছিল, সেটা তো অ্যাশেজে তাঁর পারফরম্যান্সেই স্পষ্ট। ওভাল টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসেও এই মঈনই নিয়েছিলেন ৩ উইকেট।
অ্যাশেজ তো শেষ এরপর? টেস্টে ইংল্যান্ডের পরের পরীক্ষা ২০২৪ সালের শুরুর দিকে ভারতের বিপক্ষে, তা–ও ভারতের মাটিতেই। এমন একটা সিরিজে আবারও মঈনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছিলেন ম্যাককালাম। তবে মঈন এবার আর অনুরোধ রাখতে পারছেন না, স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন, ‘আমার এখানেই শেষ।’
কেন দলের চাওয়া সত্ত্বেও ভারত সিরিজে খেলবেন না মঈন, সে কারণটাও মজার। ইংলিশ ভারত সফরে না যেতে চাওয়ার অন্যতম কারণ বড় কোনো ভেন্যুতে খেলা না থাকা। মঈন অবশ্য এই কারণটা বলেছেন হাসতে হাসতে, ‘তারা (ম্যাককালাম ও স্টোকস) শুরু থেকেই আমার সিদ্ধান্ত জানত। বিশেষ করে যখন ভারত সফরের ভেন্যুগুলোর নাম জানানো হলো। বাজ (ম্যাককালাম) আমাকে আবার বলেছিল, আমি বলেছি, না, আমি ভারতে যাচ্ছি না। ভারতের যাওয়ার কোনো সুযোগই নেই। আমার শেষ। এভাবে শেষ করা ও এমন একটা দারুণ দিনের অংশ হওয়াই দারুণ কিছু।’
আগে টেস্ট ক্রিকেট ছাড়লেও মঈন বিশ্বাস করেন টেস্ট ক্রিকেটই সেরা সংস্করণ, ‘টেস্ট ক্রিকেটই সেরা। যদি পেছনে ফিরে যেতে পারতাম! যদিও আমার ক্যারিয়ারটা উত্থান-পতনের, তারপরও আমি পরিবর্তন করতাম না। আমি এটাকেই ভালোবেসেছি। আর এভাবে ফেরাটা কঠিন ছিল, কারণ আমি এর আগে কখনো অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভালো করিনি।’
অ্যাশেজে ৪ টেস্ট খেলে মঈন রান করেছেন ১৮০, উইকেট নিয়েছেন ৯টি। রান ও উইকেট কোনোটাই খুব বেশি না হলেও ছিলেন কার্যকরী। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে নিয়েছেন উইকেট। সঙ্গে লড়তে হয়েছে চোটের সঙ্গেও।
ইংলিশ এই অলরাউন্ডারের এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না দুই বছর পর ফিরে সে এতটা ভালো খেলেছেন, ‘আমার এখনো বিশ্বাস হয় না, আমি এতটা ভালো করেছি। এভাবে শেষ করাটা দারুণ কিছু ছিল। কঠিন ছিল, তবে আমার হারানোর কিছুই ছিল না, এটা ছিল ফ্রি–হিটের মতো। আমার মনে হয়েছিল, আমার বোলিং ঠিকঠাক করছিলাম, আঙুলটা নিয়েই চিন্তা ছিল। বোলিং নিয়ে মোটেই উদ্বিগ্ন ছিলাম না।’
২০২১ সালে প্রথমবার টেস্ট ক্রিকেট ছাড়েন মঈন। এরপর জ্যাক লিচের চোটের কারণে দলের প্রয়োজনে টেস্টে ফেরা মঈনও ওভাল টেস্টে ব্রডের সঙ্গে বিদায় নিয়েছেন টেস্ট আঙিনা থেকে।