সাকিব আল হাসান (বাঁয়ে) ও এনামুল হক
সাকিব আল হাসান (বাঁয়ে) ও এনামুল হক

এনামুলের চোখে নির্দোষ সাকিব

কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরুর অনেক আগে থেকেই দেশের বাইরে সাকিব আল হাসান। আন্দোলন যখন দানা বাঁধতে শুরু করে, তখন সাকিব খেলছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ ক্রিকেটে (এমএলসি)। আর ছাত্র–জনতার গণঅভ্যুথানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের সময় তিনি ব্যস্ত ছিলেন কানাডার গ্লোবাল টি–টোয়েন্টি লিগ নিয়ে। অথচ দীর্ঘ দিন দেশের বাইরে থাকা সাকিবকেই ঢাকায় হওয়া এক হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে

বর্তমানে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে আছেন সাকিব। হত্যা মামলার খড়্গ নিয়েই প্রথম টেস্ট খেললেও আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হতে চলা দ্বিতীয় টেস্টে তাঁকে খেলানো হবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তবে অনেকের দাবি, সাকিব নৌকা প্রতীকে মাগুরা–১ আসনের সংসদ সদস্য হয়েছিলেন বলেই আওয়ামী লীগের পতনের পর তাঁর বিরুদ্ধে আদাবর থানায় হয়রানিমূলক মামলা করা হয়েছে।

বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডারের বিরুদ্ধে হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে হওয়া মামলায় বিস্মিত তাঁর সতীর্থরাও। সেই সতীর্থদেরই একজন এনামুল হক। জাতীয় দলের হয়ে সাকিবের সঙ্গে প্রায় ১১ বছরে ৪২ ম্যাচ খেলা এনামুলও এই মুহূর্তে ‘এ’ দলের সঙ্গে পাকিস্তানে আছেন। কাল দুপুরে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে বাংলাদেশ দলের জার্সিতে সাকিবের একটি ছবি পোস্ট করে তাঁকে নির্দোষ দাবি করেছেন তিনি।

বাংলাদেশের হয়ে একসঙ্গে ৪২ ম্যাচ খেলেছেন সাকিব–এনামুল

৩১ বছর বয়সী এই উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান লিখেছেন, ‘সাকিব ভাই, বাংলাদেশের ক্রিকেটে আপনার অবদান অনস্বীকার্য। বিশ্ব মানচিত্রে আপনি বাংলাদেশ ক্রিকেটকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন। আপনার সাথে আমরা সবাই আছি। ইনশাআল্লাহ এই আঁধার কেটে যাবে। খুব জোর গলায় বলছি আপনি নির্দোষ। আল্লাহ আপনার ভালো করুক।’

প্রায় সাড়ে ৩ বছর ধরে জাতীয় দলের বাইরে থাকা পেসার রুবেল হোসেন সাকিবের পাশে দাঁড়িয়েছেন। রুবেল ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে অভাগা একজন রাজনীতিবিদ, যার ৬–৭ মাস রাজনীতির ক্যারিয়ারে পাঁচ মাসের মতোই ছিলেন দেশের বাইরে। আপনি সংসদ সদস্য হয়ে কিছু পাওয়ার চেয়ে হারিয়েছেন অনেক কিছু। বাংলাদেশের সব ক্রিকেটার আপনার পাশে আছে, সাকিব ক্রিকেটেই সুন্দর রাজনীতিতে নয়।’

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন প্রচারণা ও শোভাযাত্রায় সাকিবের সঙ্গী ছিলেন রুবেল

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট রাজধানীর আদাবরের রিং রোডে বুকে ও পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান মোহাম্মদ রুবেল নামে এক পোশাককর্মী। রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম গত বৃহস্পতিবার বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন, যেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, মাগুরা–১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানসহ ১৫৬ জনকে আসামি করা হয়। আসামিদের তালিকায় সাকিব আছেন ২৮ নম্বরে।