বাংলাদেশ ২৬ রানে ৬ উইকেট হারানোর পরই ফলো অন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়
বাংলাদেশ ২৬ রানে ৬ উইকেট হারানোর পরই ফলো অন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়

ফলোঅন এড়াতে যে কারণে বাংলাদেশকে ১২৫ রান করলেই চলবে

রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে এক বলও খেলা হয়নি, দ্বিতীয় দিন থেকে শুরু টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রানে অলআউট হয়েছে পাকিস্তান। এক দিন খেলা না হওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী এই ম্যাচে তাই ফলোঅন এড়াতে বাংলাদেশকে করতে হবে ১২৫ রান। ৬ উইকেট হারিয়ে ৭৫ রান তুলে লাঞ্চ বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ।

ফলোঅন এড়াতে এখনো প্রয়োজন ৫০ রান, হাতে আছে ৪ উইকেট।

১৩ রান নিয়ে উইকেটে আছেন লিটন দাস, তাঁর সঙ্গী মেহেদী হাসান মিরাজের রান ৩৩। কিন্তু অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে, ৫ দিনের টেস্টে বাংলাদেশকে ফলোঅন করাতে লিড ২০০ রান না নিয়ে কেন ১৫০ রান নিতে হবে পাকিস্তানকে। এই প্রশ্নের উত্তর পেতে দেখে আসা যেতে পারে ফলোঅনের নিয়ম।

৩৩ রানে অপরাজিত থেকে লাঞ্চ বিরতিতে গেছেন মিরাজ

মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের ফলোঅনের নিয়ম

আইনের ১৪ নম্বর ধারায় ফলোঅনের বিষয় স্পষ্ট করেছে মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব। নিয়মগুলো নিচে দেওয়া হলো—

১৪.১.১:  প্রথম ইনিংসে লিড

৫ বা এর বেশি দিনের দুই ইনিংসের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে যে দল ২০০+ রানের লিড নেবে, তারা প্রতিপক্ষকে ফলোঅন করাতে পারবে।

১৪.১.২

৫ দিনের কম দৈর্ঘ্যের দুই ইনিংসের ম্যাচের ফলোঅনের ক্ষেত্রে লিড হতে হবে এ রকম—

* ৩ বা ৪ দিনের ম্যাচে ১৫০ রান

* ২ দিনের ম্যাচে ১০০ রান

* ১ দিনের ম্যাচে ৭৫ রান

লিটন দাস অপরাজিত আছেন ১৩ রান করে

১৪.৩: প্রথম দিনের খেলা ভেস্তে গেলে

এক দিনের চেয়ে বড় দৈর্ঘ্যের ম্যাচে যদি প্রথম দিনে কোনো খেলা না হয়, তাহলে ম্যাচের কয় দিন বাকি আছে, সেটার ওপর ভিত্তি করে ফলোঅনের ক্ষেত্রে ১৪.১.২ নম্বর নিয়ম মানা হবে। যত নম্বর দিন থেকে খেলা শুরু হবে, সেদিন থেকে খেলার শেষ দিন পর্যন্ত সময়কে ম্যাচের মোট দৈর্ঘ্য ধরা হবে।

* রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশ–পাকিস্তান দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হয়েছে দ্বিতীয় দিন থেকে। ১৪.৩ নিয়ম অনুযায়ী এই ম্যাচটি চার দিন দৈর্ঘ্যের ধরা হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে ফলোঅন করাতে পাকিস্তানকে ১৫০ রানের লিড নিতে হবে। পাকিস্তান যেহেতু ২৭৪ রান করেছে, এখান থেকে ১৫০ বিয়োগ করলে থাকে ১২৪। এর চেয়ে ১ রান বেশি করলেই ফলোঅন এড়াবে বাংলাদেশ, অর্থাৎ ফলোঅন এড়াতে বাংলাদেশকে করতে হবে ১২৫ রান।