বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান

তামিমের রিপোর্ট দেখার পর ‘মেজাজ গরম’ হয়ে গেছে নাজমুলের

তামিম ইকবালের চোটসংক্রান্ত রিপোর্ট দেখার পর তাঁর ‘মেজাজ গরম’ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। তামিমের চোটের ব্যাপারে অবহেলা করা হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।

আজ নাজমুলের বাসায় এক বৈঠকের পর অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন তামিম। সামনে চোট নিয়ে অনিশ্চিত বলেই এমন সিদ্ধান্ত তাঁর। তামিমের নেতৃত্ব ছাড়াটাকে বিসিবির জন্য একটা ‘ধাক্কা’ উল্লেখ করে নতুন অধিনায়ক নির্বাচন প্রসঙ্গে নাজমুল বলেছেন, ‘আমরা সবাইকে বলেছিলাম, বিশ্বকাপ পর্যন্ত তামিমই অধিনায়ক। কিন্তু ও নিজে থেকেই সিদ্ধান্তটা নিয়েছে। নতুন অধিনায়কের ব্যাপারে এখনই বলতে পারছি না। আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে আমরা বসে সিদ্ধান্ত নেব।’

তামিম যে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন, এ ব্যাপারে আগে থেকে জানতেন না বলেও উল্লেখ করেন নাজমুল, ‘ও যে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেবে, আজকেই প্রথম জানলাম। ও দলের কথা, দেশের কথা চিন্তা করে…কোন ম্যাচ খেলবে, কোন ম্যাচ খেলবে না—এটা ওকেও পীড়া দিচ্ছে। এশিয়া কাপে বললে হয়তো খেলে ফেলত। কিন্তু এশিয়া কাপ খেলতে গিয়ে চোট আরও খারাপ হলে স্থায়ী ক্ষতি হয়ে যাবে। নিউজিল্যান্ড সিরিজ, বিশ্বকাপে খেলবে এ নিয়ে আশাবাদী।’

সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি সভাপতির সঙ্গে তামিম (ডানে) ও জালাল ইউনুস (বাঁয়ে)

সম্প্রতি চিকিৎসা করতে দেশের বাইরে যাওয়ার আগে এক সাক্ষাৎকারে নিজের চোট নিয়ে কথা বলেন তামিম। এবার নাজমুল বললেন, এর আগে কখনো তামিমের স্ক্যানের রিপোর্ট দেখেননি, ‘তামিম কিন্তু ঢাকায় এমআরআই বা স্ক্যান যা যা করার করেছে। ভারতে, ব্যাংককে, লন্ডনে করেছে। এবার প্রথম দুবাই থেকে রিপোর্ট পাঠায়, সেখানে প্রথম দেখি—সমস্যা আছে।’

কেন আগে তাঁকে রিপোর্ট পাঠানো হয়নি, সেটিও নাকি এরপর তামিমের কাছে জানতে চান নাজমুল। তামিম এ ব্যাপারে বলেন, ‘আমার চোট কিন্তু ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে ছিল। আগে রিপোর্ট পাঠাইনি। রিপোর্ট পাঠানোর সঙ্গে বলেছেন, কেন জানানো হয়নি তাঁকে। জানাতে বলেছেন। এটা কারও সাথে হওয়া উচিত নয়।’

এরপর বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আমার তো মেজাজই গরম হয়ে গেল, রিপোর্ট দেখার পর। এটা যাতে ভবিষ্যতে না হয়। সেটি নিশ্চিত করা হবে। নিশ্চয়ই কোনো না কোনোভাবে অবহেলা (তামিমের চোটের প্রতি) করা হয়েছে। তাই বিশ্বকাপের আগে এই অবস্থায় পড়তে হয়েছে। এটা অবশ্যই দুঃখজনক।’