আজ লাহোরে পাকিস্তানের সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে ‘সিতারা-ই-ইমতিয়াজ’ নিয়েছেন বাবর
আজ লাহোরে পাকিস্তানের সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে ‘সিতারা-ই-ইমতিয়াজ’   নিয়েছেন বাবর

বাবরের ‘সিতারা–ই–ইমতিয়াজ’ বাবা–মা,পাকিস্তানের সবার জন্য

সময়টা বাবর আজমের। এই তো মাসখানেক আগেই জিতেছিলেন আইসিসির বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার স্যার গারফিল্ড সোবার্স ট্রফি। সঙ্গে টানা দুবার হয়েছেন বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটার।

এবার পাকিস্তানের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘সিতারা-ই-ইমতিয়াজ’ পেয়েছেন বাবর। গত বছর পাকিস্তানের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসে এ পুরস্কারের জন্য বাবরকে বেছে নেওয়া হয়। আজ লাহোরে পাকিস্তানের সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে এই পুরস্কার নিয়েছেন বাবর।

ব্যাট হাতে ও নেতৃত্বে বাবর আজমের ২০২২ সালটি ছিল এককথায় অসাধারণ। সব মিলিয়ে ৪৪ ম্যাচ খেলে ৫৪.১২ গড়ে ৮টি সেঞ্চুরি ও ১৫টি ফিফটিতে ২৫৯৮ রান করেছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক।

টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে পাকিস্তান গত বছর ম্যাচ খেলেছে ৪৪টি। বাবরের নেতৃত্বে এর মধ্যে ২৩টি ম্যাচ জিতেছে তারা। এই বছরটাও দারুণ শুরু করেছেন বাবর। সম্প্রতি শেষ হওয়া পাকিস্তান সুপার লিগেও ৫২২ রান করে হয়েছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক।

আগামীকাল শুরু হতে যাচ্ছে পাকিস্তান-আফগানিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সেই সিরিজ থেকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে পাকিস্তান অধিনায়ককে। পুরস্কারটি পেয়ে উচ্ছ্বসিত বাবর বলেছেন, ‘বাবা–মাকে সঙ্গে নিয়ে সিতারা-ই-ইমতিয়াজ গ্রহণ করে আমি সম্মানিত। এই পুরস্কার আমার বাবা–মায়ের, সমর্থকদের ও পাকিস্তানের মানুষদের।’

বাবর আজম ছাড়াও আরও দুই ক্রিকেটার পুরস্কার পেয়েছেন। পাকিস্তানের অন্ধ ক্রিকেটার মাসুদ জান পেয়েছেন ‘প্রাইড অব পারফরম্যান্স’ পুরস্কার। পাকিস্তান নারী দলের অধিনায়ক বিসমাহ মারুফ ‘তমঘা-ই-ইমতিয়াজ’। এটি পাকিস্তানের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার।

পাকিস্তানের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘নিশান-ই-ইমতিয়াজ’, এরপর ‘হিলাল-ই-ইমতিয়াজ’, তারপর ‘সিতারা-ই-ইমতিয়াজ’ এবং সবার শেষে ‘তমঘা-ই-ইমতিয়াজ’।

বাবা–মাকে সঙ্গে নিয়ে পুরস্কার নিতে এসেছিলেন বাবর

২০১৭ সালে অধিনায়ক হিসেবে পাকিস্তানকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতিয়ে ‘সিতারা-ই-ইমতিয়াজ’ জিতেছিলেন উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান সরফরাজ আহমেদ। এর আগে এই পুরস্কার জিতেছেন মিসবাহ–উল–হক, ইউনিস খান, শহীদ আফ্রিদি, মোহাম্মদ ইউসুফ, সাঈদ আজমল, ইনজামাম–উল হক, জাভেদ মিয়াঁদাদ।