অ্যারন ফিঞ্চের অবসরের পর টি-টোয়েন্টিতে স্থায়ী অধিনায়কের নাম ঘোষণা করেনি অস্ট্রেলিয়া। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক দিয়েই কাজ চালিয়েছে। কখনো সেটা সামলেছেন মিচেল মার্শ, কখনো ম্যাথু ওয়েড। যদিও মার্শের ওপরই দায়িত্ব ছিল বেশি।
সর্বশেষ নিউজিল্যান্ড সিরিজে অন্য দুই সংস্করণের অধিনায়ক প্যাট কামিন্স দলে ফেরার পরও অধিনায়কত্ব করেছেন মার্শই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও যে মার্শই নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন, সেই ইঙ্গিত তখনই পাওয়া গিয়েছিল। আজ অস্ট্রেলিয়ার কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ডও জানিয়েছেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক থাকছেন মার্শ।
নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগে দক্ষিণ আফ্রিকা ও দেশের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কত্ব করেছেন মার্শ। তবে কামিন্স সে দুটি সিরিজে ছিলেন না। আবার মার্শের অনুপস্থিতিতে বিশ্বকাপের পর ভারত সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দেন ওয়েড।
তবে আজ অস্ট্রেলিয়ার কোচ ম্যাকডোনাল্ড যা বলেছেন, এরপর আর নেতৃত্ব নিয়ে সন্দেহ থাকার কথা নয়। ম্যাকডোনাল্ড বলেছেন, ‘আমার মনে হয় মিচের (মার্শ) কাছেই যাচ্ছে নেতৃত্বটা। ও যেভাবে দল চালাচ্ছে, তাতে আমরা খুশি এবং সন্তুষ্ট। আমরা মনে করছি, বিশ্বকাপের জন্য মার্শই নেতা, আমার মনে হয় এটা সময় হলে জানা যাবে।’
কামিন্স তাঁর অধীন খেললে তিনি কী করবেন, সেটা মজা করে নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগে বলেছিলেন মার্শ। তিনি বলেছিলেন, ‘এটা করো, সেটা করো—তাকে এগুলো বলতে আমার তর সইছে না। সাধারণত সে যখন হাঁপিয়ে ওঠে, আমি তার বদলে সংবাদ সম্মেলনে আসি। এর ফলে কোনো না কোনো পর্যায়ে এবার তাকে পাঠাব।’
তিন সংস্করণেই দুর্দান্ত ফর্মে আছেন মার্শ। সর্বশেষ নিউজিল্যান্ড টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসেও ৮০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। এর আগে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট পুরস্কারে ২০২৩ সালের জন্য বর্ষসেরা পুরুষ ক্রিকেটারের পুরস্কার অ্যালান বোর্ডার পদক পেয়েছেন এ অলরাউন্ডার। আর টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়ক হিসেবে মার্শের পারফরম্যান্সও দুর্দান্ত। অধিনায়ক হিসেবে এখন পর্যন্ত তিনি ম্যাচ খেলেছেন ৮টি। ৬৯.২০ গড়ে রান করেছেন ৩৪৬, স্ট্রাইক রেট—১৭০.৪৪।