ভাইয়ের বিয়ে থেকে মাঠে এলেন হেলিকপ্টারে চড়ে। কিন্তু রান করলেন ৩৯ বল খেলে ৩৭! তাঁর দল সিডনি থান্ডার ম্যাচটাও জিততে পারল না। সেটাও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী সিডনি সিক্সার্সের বিপক্ষে (১৯ রানে)। এবারের বিগ ব্যাশে নিজের প্রথম ম্যাচটা এমন হবে, অস্ট্রেলীয় তারকা ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার নিশ্চয়ই তা কল্পনাও করেননি।
‘সিডনি স্ম্যাশ’ নামে পরিচিত সিডনি থান্ডার ও সিডনি সিক্সার্সের ম্যাচটিতে আজ সিক্সার্সের হয়ে খেলেছেন আরেক অস্ট্রেলীয় তারকা স্টিভেন স্মিথ। এ ম্যাচের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে আগেই। এ মৌসুমের আগে থান্ডারের সঙ্গে মোটা অঙ্কের চুক্তি করেন ওয়ার্নার। এবারের মৌসুমে প্রথম ম্যাচেই দলকে জেতানোর নায়ক হতে পারতেন তিনি।
কিন্তু সিক্সার্সের ৭ উইকেটে করা ১৫১ রান টপকাতে পারেননি ওয়ার্নাররা। রান তাড়ায় ইংলিশ ওপেনার অ্যালেক্স হেলস থান্ডারকে দারুণ শুরু এনে দেন। ওয়ার্নার খেলছিলেন দেখেশুনে, দ্রুত রান তুলছিলেন হেলস। তাঁর ১৭ বলে ২৮ রান থান্ডারকে উদ্বোধনী জুটিতে ৪৪ রান এনে দেয় মাত্র ৪.২ ওভারে। এরপর সিক্সার্সের বোলাররা কোনো জুটিই বড় হতে দেননি।
ওয়ার্নার এক প্রান্ত থেকে টিকে ছিলেন ১৭তম ওভার পর্যন্ত। কিন্তু দ্রুত রান তুলতে পারেননি। পুরো ইনিংসে তিনি চার মেরেছেন মাত্র ১টি, ছক্কা ২টি। শেষ পর্যন্ত স্টিভ ও’কিফের বলে মারতে গিয়ে জর্ডান সিল্কের হাতে ক্যাচ তোলেন ওয়ার্নার। আউট হওয়ার আগে ৩৯ বলে ৩৭ রান করেন এই বাঁহাতি ওপেনার। থান্ডার ইনিংসের ১ বল বাকি থাকতে ১৩২ রানে অলআউট হয়। ও’কিফ ৪ ওভারে ১৩ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন।
ব্যাটিং সহজ ছিল না প্রথম ইনিংসেও। উদ্বোধনে নামা স্টিভ স্মিথ প্রথম বলেই আউট হন। জেমস ভিন্স ও জস ফিলিপ ৫৯ রানের জুটি গড়লে শেষের দিকে মেরে খেলার ভিত পেয়ে যায় সিক্সার্স। ভিন্স ২৭ বলে ২৭ রান করেছেন, ফিলিপ ৩৫ বলে ৪৭। এরপর জর্ডান সিল্কের ২৯ বলে ৩৫ রান সিক্সার্সের রান নিয়ে যায় দেড় শর ওপারে, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের হারানোর জন্য যা যথেষ্ট ছিল। থান্ডারের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন নাথান ম্যাকঅ্যান্ড্রু ও তানভীর সাঙ্গা।