টানা দুই ম্যাচে ম্যাচসেরা ইমাদ
টানা দুই ম্যাচে ম্যাচসেরা ইমাদ

বাঁচামরার ম্যাচে এবার বাবরকে ছিটকে ফেললেন ইমাদ ওয়াসিম

ইমাদ ওয়াসিম নামটা মানেই যেন সমালোচনা। হয় নিজে অন্যের সমালোচনা করেন, নয়তো নিজেই সমালোচিত হয়ে থাকেন। এই তো গত ডিসেম্বরে হুট করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার পর আবার ফেব্রুয়ারিতে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন। এ নিয়েও কথা কম হয়নি। তবে ইমাদের এসব ঘটনা আপাতত সমর্থকদের ভুলে থাকতে হচ্ছে।

সেটা এবারের পিএসএলে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাঁর পারফরম্যান্সের কারণে। ইসলামাবাদ ইউনাইটেডকে টানা তিনটি বাঁচামরার ম্যাচে দলকে জিতিয়েছেন এই অলরাউন্ডার, যার সর্বশেষটি গতকাল রাতে দ্বিতীয় এলিমেনটরে বাবর আজমের পেশোয়ার জালমির বিপক্ষে।

পিএসএলে গতকাল ১৮৬ রানের লক্ষ্য ব্যাটিং করতে নেমে ইসলামাবাদ ২১ রানেই হারায় ৩ উইকেট। এরপর ক্রিজে এসে ইমাদ খেলেন ৪০ বলে অপরাজিত ৫৯ রানের ইনিংস। দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। এর আগে বল হাতে ৪ ওভারে কোনো উইকেট না পেলেও রান দেন মাত্র ২৩। শেষ পর্যন্ত তাঁর হাতেই ওঠে ম্যাচসেরার পুরস্কার। ইমাদের এমন পারফরম্যান্সে বিদায় নেয় বাবরের পেশোয়ার। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এক মৌসুমে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৬৯ রান করেও ফাইনাল খেলতে ব্যর্থ হন বাবর।

টুর্নামেন্টে ৫৬৯ রান করেও ফাইনাল খেলতে ব্যর্থ বাবর

প্রথম এলিমেনটরেও ইমাদ জ্বলে ওঠেন, তবে সেটা বল হাতে। কোয়েটার বিপক্ষে ৪ ওভার বল করে মাত্র ১২ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। এর আগে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে শেষ দুই বলে ৭ রানের সমীকরণ ইমাদ মেলান ছক্কা ও চার মেরে। সেই জয়ে প্লে–অফে পৌঁছায় ইসলামাবাদ।

যদিও পুরো মৌসুমে অনেকটা নিশ্চুপই ছিল ইমাদের ব্যাট-বল। প্রথম এলিমেনটরে ৩ উইকেট নেওয়া ইমাদ পুরো টুর্নামেন্টে ১১ ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ৭ উইকেট। ব্যাট হাতে রান করেছেন ৮ ইনিংসে ১০৭, স্ট্রাইক রেট ১৩২.০৯। তবে গুরুত্বপূর্ণ সময়েই জ্বলে উঠেছেন এই ক্রিকেটার।

পাকিস্তানের হয়ে ইমাদের অভিষেক ২০১৫ সালে। ইমাদ ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে পাকিস্তানের হয়ে ১২১টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। ৫৫ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে তাঁর উইকেট ৪৪টি, পাশাপাশি ৪২.৮৬ গড়ে ৯৮৬ রান। ৬৬টি টি-টোয়েন্টি খেলে ৬৫টি উইকেট নেওয়ার সঙ্গে করেছেন ৪৮৬ রান।