গত ২৭ মার্চ আইপিএলের রেকর্ড ২৭৭ রানের স্কোর গড়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। সপ্তাহখানেক পর সেটি ভাঙার খুব কাছে গিয়ে থামল কলকাতা নাইট রাইডার্স। বিশাখাপট্টনমে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে কলকাতা তুলেছে ২৭২ রান। আইপিএলের ইতিহাসে এখন এটিই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর। সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টিতে এটি এখন সপ্তম সর্বোচ্চ স্কোর।
অবশ্য হায়দরাবাদের রেকর্ড শেষ ওভারেও ভালোভাবেই নাগালে ছিল কলকাতার। ২৬৪ রানে সে ওভার শুরু করেছিল কলকাতা। কিন্তু ইশান্ত শর্মা প্রথম ৩ বলের মধ্যে রাসেল ও রমনদিপ সিংকে ফেরান, ওভারে দেন মাত্র ৮ রান।
ওপেনিংয়ে আসা সুনীল নারাইন করেছেন ৩৯ বলে ক্যারিয়ার-সর্বোচ্চ ৮৫ রান। ১৩তম ওভারে নারাইন থামার পরও কলকাতার ঝড় থামেনি। অঙ্গকৃষ রঘুবংশীর ২৭ বলে ৫৪ রানের সঙ্গে আন্দ্রে রাসেলের ১৯ বলে ৪১ ও রিংকু সিংয়ের ৮ বলে ২৬ রানের ইনিংসে নিজেদের সর্বোচ্চ স্কোর গড়ে কলকাতা।
ইশান্তের করা দ্বিতীয় ওভারের শেষ ২ বলে দুটি চার মেরেছিলেন ফিল সল্ট, সেটি অবশ্য ছিল কলকাতার ঝড়ের আভাস। চতুর্থ ওভারে ইশান্তের ওপর চড়াও হন নারাইন, সে ওভারে ৩ ছক্কা ও ২ চারে আসে ২৬ রান। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে কলকাতা তোলে ৮৮ রান, তাদের ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
পঞ্চম ওভারে সল্টকে হারায় কলকাতা, তাতে অবশ্য কিছু যায় আসেনি। রঘুবংশী ও নারাইনের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৪৮ বলেই ওঠে ১০৪ রান। ১৩তম ওভারে মিচেল মার্শের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে থামেন নারাইন, ইনিংসে মারেন ৭টি করে চার ও ছক্কা।
রঘুবংশীও বেশিক্ষণ টেকেননি, আনরিখ নর্কিয়ার বলে থামে তাঁর ২৭ বলে ৫৪ রানের ইনিংস। কিন্তু ফেরার আগে রাসেলদের হাতে ব্যাটনটা তুলে দিয়ে যান। শ্রেয়াস আইয়ার ও রিংকু সিংয়ের সঙ্গে রাসেলের দুটি জুটিতে ৩৫ বলে ওঠে ৮৮ রান। ১৭-১৯—এ ৩ ওভারেই কলকাতা তোলে ৫৯ রান।
কলকাতার ব্যাটসম্যানরা এ দিন মেরেছেন ১৮টি ছক্কা, আইপিএলের ইতিহাসে যৌথভাবে যা পঞ্চম সর্বোচ্চ। তবে কলকাতা এবারই এতগুলো ছক্কা মারল এক ইনিংসে।