২০ ওভারের ক্রিকেটে জেমস অ্যান্ডারসনকে সর্বশেষ দেখা গেছে ২০১৪ সালে। টি-টোয়েন্টি ব্ল্যাস্টের ফাইনালে ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে ওয়ারউইকশায়ারের বিপক্ষে খেলেছিলেন অ্যান্ডারসন। টেস্ট ক্রিকেটে পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেটের মালিক সাদা বলের ক্রিকেটে সর্বশেষ খেলেছেন ২০১৯ সালে। এক দশকের বেশি সময় টি-টোয়েন্টি না খেলা সেই অ্যান্ডারসন জানিয়েছেন ২০ ওভারের ক্রিকেটে ফেরার চিন্তাভাবনা করছেন তিনি। সেই প্রত্যাবর্তনটা হতে পারে এই শীতে ইংল্যান্ডের বাইরের কোনো লিগেই।
গত মাসেই ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বশেষ টেস্টটি খেলে ফেলা অ্যান্ডারসনের বয়স এখন ৪২। টেস্ট ক্রিকেট ছাড়ার পর এখন ইংল্যান্ডের পেস বোলিং পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন চিরসবুজ এই বোলার। ইংল্যান্ডের জার্সিতে সর্বশেষ ম্যাচটি খেলে ফেললেও ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা নিয়ে শেষ কথাটি এখনো বলেননি অ্যান্ডারসন। সেই অ্যান্ডারসনকে এই বয়সে আবারও টি-টোয়েন্টিতে ফেরার উৎসাহ জুগিয়েছে ১০০ বলের ক্রিকেট দ্য হানড্রেড। দ্য হানড্রেডের খেলা দেখেই নাকি তাঁর মনে হয়েছে, টি-টোয়েন্টি সংস্করণে নতুন বলের বোলার হিসাবে ভালো করা সম্ভব তাঁর পক্ষে।
দ্য ফাইনাল ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট পডকাস্টে নিজের ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন অ্যান্ডারসন। সেখানে নিজের ক্রিকেট–ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলতে গিয়েই টি-টোয়েন্টির প্রসঙ্গ টেনেছেন অ্যান্ডারসন, ‘বছরের শেষভাগেই সবকিছু পরিষ্কার হতে পারে। এই শীতে টেস্ট দলের দুটি সফর আছে, আমি জানি না ওই দুই সফরে এই (পরামর্শক) ভূমিকা পালন করতে পারব কি না। আমি হানড্রেড দেখেছি, সেখানে দেখলাম প্রথম ২০ বলে বল অনেক সুইং করে। আমি মনে করি, আমি তো এটা করতে পারি, আমি এখনো এ রকম করতে পারি।’
এরপরই টি-টোয়েন্টি ফেরার প্রসঙ্গ টানলেন অ্যান্ডারসন, ‘জানি না, এটা ঠিক কাজ হবে কি না। তবু দেখি, সাদা বলের ক্রিকেটে কিছু করতে পারি কি না। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে কখনো তো খেলিনি।’
আমার শরীর তো এখনো নিজেকে ৪২ বছর বয়সী মনে করতে শুরু করেনি। আমি টেনিস কোর্ট দাবড়ে বেড়াব, আশা করছি পরের পাঁচ বছরেও বার্নলি সিসির হয়ে মাঠে দৌড়ঝাঁপ করব। শরীরটা একদম নিশ্চল হওয়া পর্যন্ত থামাথামি নেই।জেমস অ্যান্ডারসন
ইংল্যান্ডের পেস বোলিং পরামর্শক হিসেবে অ্যান্ডারসনের চাকরির মেয়াদটা পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড সিরিজ পর্যন্ত বাড়লেও ২০২৫ সালের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগ ও দক্ষিণ আফ্রিকার এসএ-টোয়েন্টি খেলার সময় পাবেন অ্যান্ডারসন।
অ্যান্ডারসন মনে করেন তাঁর ৪২ বছর বয়সী শরীর ঘরোয়া ক্রিকেট চালিয়ে নেওয়ার মতোই আছে, ‘আমার শরীর তো এখনো নিজেকে ৪২ বছর বয়সী মনে করতে শুরু করেনি। আমি টেনিস কোর্ট দাবড়ে বেড়াব, আশা করছি পরের পাঁচ বছরেও বার্নলি সিসির হয়ে মাঠে দৌড়ঝাঁপ করব। শরীরটা একদম নিশ্চল হওয়া পর্যন্ত থামাথামি নেই। আর এ কারণেই আমি চালিয়ে যেতে চাই। আমি মনে করি, জোরে বল করার ক্ষমতা আমার আছে। এই সক্ষমতা যত দিন থাকবে, কেন ব্যবহার করব না।’