সেমিফাইনালের স্বপ্ন দেখছে ডাচরাও
সেমিফাইনালের স্বপ্ন দেখছে ডাচরাও

বাংলাদেশকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসী ডাচরা ভয় পাচ্ছে না রশিদ–মুজিবদের

আফগানিস্তানের স্পিন বোলিং–শক্তিকে খুব বড় হুমকি মনে করছে না নেদারল্যান্ডস। আগামীকাল লক্ষ্ণৌতে আফগানদের মুখোমুখি হচ্ছে ডাচরা। ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের মূল চ্যালেঞ্জ হতে পারে রশিদ খান, মুজিব উর রেহমান ও মোহাম্মদ নবীর সমন্বয়ে গড়া আফগান স্পিন আক্রমণ, যারা এরই মধ্যে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ে মূল ভূমিকা পালন করেছিলেন।

তবে ডাচ অলরাউন্ডার কলিন অ্যাকারম্যান জানিয়েছেন, তাঁর দল রশিদ–মুজিব–নবীদের হুমকি মনে করছে না।

বাংলাদেশকে ৮১ রানে হারিয়ে আফগানিস্তানকেও হারানোর স্বপ্ন দেখছে নেদারল্যান্ডস

বিশ্বকাপে এখনো পর্যন্ত তিনটি ম্যাচ জিতেছে আফগানিস্তান। তিনটিই বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে—ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান। আফগানরা স্বপ্ন দেখছে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেওয়ার। নেদারল্যান্ডসও কম যায় না। চার ম্যাচ হারলেও ডাচরা হারিয়েছে এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা দল দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশকে। সেমির স্বপ্ন দেখছে নেদারল্যান্ডসও। আফগানিস্তানের পয়েন্ট ৬, নেদারল্যান্ডসের ২।

আত্মবিশ্বাসে টগবড় করছে নেদারল্যান্ডস

দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়েও এগিয়ে আছে আফগানিস্তান। ৯ ম্যাচে আফগানরা জিতেছে ৭ বার, নেদারল্যান্ডস দুবার। সর্বশেষ চার ম্যাচেই জিতেছে আফগানিস্তান। এ লড়াইয়ে যেকোনো বিচারেই আফগানদের বড় শক্তি তাদের বিশ্বমানের স্পিন বোলিং। রশিদ–মুজিব–নবীদের স্পিন বিশ্বসেরা দলগুলোকেই পরীক্ষায় ফেলে। নেদারল্যান্ডস তো সে হিসেবে অনেক অনভিজ্ঞ, অন্তত স্পিন খেলার ব্যাপারে। এবারের বিশ্বকাপে এখনো পর্যন্ত রশিদ পেয়েছেন ৭ উইকেট, মুজিব ৬, নবী আর তরুণ স্পিনার নূর আহমেদ পেয়েছেন ৩টি করে উইকেট।

দুই আফগান স্পিনার মুজিব উর রেহমান ও রশিদ খান

অ্যাকারম্যান অবশ্য আফগান স্পিনারদের হুমকি মনে করছেন না খেলাটা ওয়ানডে বলেই, ‘আফগানিস্তানের স্পিনাররা অবশ্যই দারুণ। কিন্তু সেটি টি–টোয়েন্টি সংস্করণে। বিশ্বকাপে আমরা ওয়ানডে খেলছি।’

টি–টোয়েন্টি থেকে ওয়ানডেতে স্পিনারদের সামলানো সহজ কেন, সে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন অ্যাকারম্যান, ‘ওয়ানডেতে প্রথম বল থেকেই আপনাকে স্পিনারদের ওপর চড়াও হতে হয় না। আমার মনে হয়, যে দলগুলো স্পিনারদের বিপক্ষে ভালো করে, তারা ম্যাচে অনেক দূর এগিয়ে যায়। তাদের লক্ষ্যই থাকে মধ্যবর্তী ওভারগুলোতে স্পিনারদের নিজেদের ওপর চড়াও হতে না দেওয়া, উইকেট না দেওয়া।’

অ্যাকারম্যান মনে করেন, গত শনিবার কলকাতার ইডেন গার্ডেনে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৮৭ রানের অসাধারণ জয়টি আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে নেদারল্যান্ডস ক্রিকেটারদের বাড়তি অনুপ্রেরণা জোগাবে, ‘আমরা আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিততে চাই। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটি জেতার পর অবশ্যই আমরা আরও একটি ম্যাচ জিততে মুখিয়ে আছি। আমাদের আত্মবিশ্বাস এখন অনেক বেশি।’

নবীও ঘূর্ণিতে বিপদজনক

৬ ম্যাচে পয়েন্ট মাত্র ৪ হলেও অ্যাকারম্যান এখনো সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন দেখছেন। বিশ্বকাপে এখনো পর্যন্ত টানা ৬ ম্যাচ জিতেছে ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকাও ১২ পয়েন্ট তুলে ভালো অবস্থানে। এই দুটি দলের সেমিফাইনাল প্রায় নিশ্চিত। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের পাশাপাশি আফগানিস্তান, নেদারল্যান্ডসের সম্ভাবনা কাগজে–কলমে। অ্যাকারম্যানও তাই স্বপ্ন দেখছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য সেমিফাইনাল।’

নেদারল্যান্ডস আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের পর ইংল্যান্ড ও ভারতের বিপক্ষে খেলবে। ম্যাচ দুটি হবে যথাক্রমে ৮ (পুনে) ও ১২ নভেম্বর (বেঙ্গালুরু)।