‘মারুফার ইন্টেন্টটা আমার পছন্দ হয়েছে। সে অনেক অনেক ভালো। বেশ ভালো ইনসুইং করে। ফিল্ডিংটাও দারুণ। আমি তার খেলাটা পছন্দ করি।’
সিরিজের তৃতীয় ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে মারুফা আক্তারকে নিয়ে বলছিলেন ভারতের স্পিনার রাধা যাদব। প্রশ্নটা যে মারুফাকে নিয়ে ছিল, তা নয়। রাধা সে প্রশংসা করলেন প্রায় নিজে থেকেই।
অস্ট্রেলিয়া সিরিজ থেকে মারুফা ও বাংলাদেশের বোলাররা প্রতিপক্ষের এমন প্রশংসা পাচ্ছেন ঠিকই, কিন্তু দলের জয় এনে দিতে পারছে না সেটি। তবে স্বাভাবিকভাবেই ব্যক্তিগত দিক দিয়ে এমন প্রশংসা যেকোনো ক্রিকেটারকেই উজ্জীবিত করবে।
মারুফাও ব্যতিক্রমী নন। প্রতিপক্ষের এমন প্রশংসা শুনে ১৯ বছর বয়সী পেসার বলছেন, ‘অবশ্যই আমার অনেক ভালো লাগে। বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়েরা (আমার) নাম বললে ভালো লাগে। আমি হয়তো ভালো, এ কারণেই আমাকে নিয়ে কথা হচ্ছে।’
ভারতের বিপক্ষে এ সিরিজে ব্যক্তিগতভাবেও প্রশংসা শুনেছেন অভিষেকের পর থেকে বাংলাদেশের হয়ে পেসারদের মধ্যে সর্বোচ্চ হিসেবে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়া মারুফা। আজ অনুশীলন শেষে বললেন, ‘ম্যাচ শেষে হাত মেলানোর সময় তারা গায়ে হাত রেখে প্রশংসা করে।’
এর আগে মারুফার ডব্লুপিএলে (উইমেনস প্রিমিয়ার লিগ বা নারী আইপিএল) খেলা প্রসঙ্গে কথা বলেছিলেন রাধা। মারুফাও জানালেন নিজের সে ইচ্ছার কথা, ‘ইচ্ছা তো আছে, সবারই থাকে। চেষ্টা করে যাব, ইনশা আল্লাহ বাকিটা আল্লাহ ভরসা।’
তৃতীয় ম্যাচের পর গতকাল দুই দলই কাটিয়েছে বিশ্রামে। ভারত দলের ক্রিকেটাররা গিয়েছিলেন ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর অঞ্চলে। আজ অবশ্য অনুশীলনে এসেছে দুই দলই। বাংলাদেশকে ব্যস্ত দেখা গেছে ম্যাচ আবহে অনুশীলন করতে। টপ অর্ডারের পর মিডল অর্ডার—স্বীকৃত ব্যাটারদের বিপক্ষে পেসাররা বোলিং করেছেন, আম্পায়ারের জায়গায় দাঁড়িয়ে তা পর্যবেক্ষণ করেছেন কোচ হাশান তিলকারত্নে। পরে ভারতকেও দেখা গেছে এভাবে অনুশীলন করতে।
অনুশীলনে ঘাটতি থাকছে না, মারুফা মনে করিয়ে দিলেন সেটি। সিরিজ এরই মধ্যে হারলেও আশা হারাচ্ছেন না মারুফা, ‘আসলে ম্যাচে তো হার–জিত ব্যাপার না। যদি একটু ভালো করতে পারতাম, ভালো লাগত। পরের ম্যাচে ইনশা আল্লাহ ভালো করব।’
সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচের পারফরম্যান্স প্রসঙ্গে মারুফা অবশ্য ভিন্ন কিছু বলেননি, ‘পাওয়ারপ্লেতে শুরুটা ভালো হচ্ছে, তবে ২-৩টা উইকেট পড়ার রানের গতিটা কমে আসছে। তখন রক্ষণাত্মক খেলার কারণে আসলে দলের ওপর চাপ পড়ে যাচ্ছে।’
দল মানসিক দিক দিয়ে একটু পিছিয়ে আছে, এর আগেও বলা হয়েছে এমন। ভারতের মতো দলের বিপক্ষে খেলার কারণে বাড়তি চাপ কাজ করছে কি না, সেটি অবশ্য মানতে চাইলেন না মারুফা। তবে বললেন, ‘স্যাররা (কোচরা) তো সব সময় বলে, “তোমরা চাপ নিও না। ফ্রি খেলো।” কিন্তু হচ্ছে না। ২-৩টা উইকেট পড়ে যাওয়ার পর চাপ চলে আসছে।’