৮৪তম ওভারের খেলা শেষে হালকা বৃষ্টি নামছিল। মাঠের দুই আম্পায়ার দিনের আলো নিয়ে্ও সন্তুষ্ট ছিলেন না। প্রথম দিনের খেলার সমাপ্তি ঘোষণা করেন তাঁরা।
প্রথম সেশনে ২৩ ওভারের খেলা হয়েছে। এ সময়ে ২ উইকেট হারিয়ে ৫০ রান তুলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় সেশনে খেলা হয়েছে ৩১ ওভারের, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১টি উইকেট হারিয়ে এ সময় তুলেছে ৬৬ রান। শেষ সেশনে ৩০ ওভারে আরও ২টি উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান তুলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
প্রথম সেশনে ওভারপ্রতি গড়ে রান উঠেছে ২.১৭। দ্বিতীয় সেশনে ২.১৩ এবং তৃতীয় সেশনে সবচেয়ে বেশি, ওভারপ্রতি গড়ে এ সময় ৪.৪৭ করে রান উঠেছে।
প্রথম দিনটি কোনো দলের একার বলার সুযোগ নেই। জোর দিয়ে বলারও সুযোগ নেই যে, বাংলাদেশ অথবা ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম দিন শেষে এগিয়ে। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সুযোগ ছিল প্রথম দিনেই বাংলাদেশকে বেশ পেছনে ফেলার। চতুর্থ উইকেটে ১৪০ রানের জুটি গড়েছিলেন অ্যাথানেজ ও লুইস। দুজনেই সেঞ্চুরি পেতে পারতেন। কিন্তু শেষ সেশনে ২০ বলের মধ্যে লুইস ৯৭ ও অ্যাথানেজ ৯০ রানে আউট হওয়ায় ম্যাচে ফেরার সুযোগ পায় বাংলাদেশ। বলা ভালো, ওয়েস্ট ইন্ডিজই সেই সুযোগটা তৈরি করে দিয়েছে। কারণ অ্যাথানেজ ও লুইস দুজনেই বাজে শট খেলে আউট হয়েছেন, আরও পরিস্কার করে বললে, তাঁরা উইকেট দিয়েছেন। জশুয়া দা সিলভা ১৪ ও গ্রিভস ১১ রানে ক্রিজে অপরাজিত।
প্রথম সেশনের মাঝ পথে নিজের টানা দুই ওভারে বাংলাদেশকে ২টি উইকেট এনে দেন পেসার তাসকিন আহমেদ। ১৪তম ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ক্রেইগ ব্রাফেটকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলার পর ১৬তম ওভারে ফিরিয়েছেন কিচি কার্টিকে। মিড অনে তাইজুলের হাতে সহজ ক্যাচ তুলে দেন কার্টি।
তৃতীয় উইকেটে কাভেম হজ ও লুইস ১৩০ বলে ৫৯ রানের জুটি গড়েছিলেন। ৩৭.৩ ওভারে হজ রান আউট হওয়ায় ভেঙেছে এই জুটি। আগামীকাল দ্বিতীয় দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে যত দ্রুত সম্ভব অলআউট করতে চাইবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের হয়ে ২টি উইকেট নেন তাসকিন। ১টি করে উইকেট তাইজুল ও মিরাজের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংস: ৮৪ ওভারে ৫ উইকেটে ২৫০ (লুইস ৯৭, অ্যাথানেজ ৯০, হজ ২৫, সিলভা ১৪*, গ্রিভস ১১, ব্রাফেট ৪, কার্টি ০; তাসকিন ২/৪৬, মিরাজ ১/৪৭, তাইজুল ১/৬৭, শরীফুল ০/২৭ ও হাসান ০/৫৪)।---প্রথম দিন শেষে।
আরেকটি নার্ভাস নাইন্টিজের শিকার! আরেকটি উইকট! ম্যাচের রং কত দ্রুত পাল্টায়!
লুইস-অ্যাথানেজ জুটির ব্যাটিংয়ের সময় ম্যাচে বেশ পিছিয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। দুজনেই সেঞ্চুরির সুবাস পাচ্ছিলেন। কিন্তু ৭৪.২ ওভারে লুইস ৯৭ রানে আউট হওয়ার ১৯ বল পর অ্যাথানেজও ব্যক্তিগত ৯০ রানে আউট হওয়ায় ম্যাচে ফিরল বাংলাদেশ। উল্টো চাপে এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
১৩০ বলে ৯০ রানে আউট হওয়ার আগে সুইপ ও রিভার্স সুইপে বেশ কিছু রান করেন অ্যাথানেজ। নার্ভাস নাইন্টিজের চাপ কাটিয়ে উঠতেই সম্ভবত ৭৭.৪ ওভারে তাইজুলকে সুইপ করার চেষ্টা করেছিলেন অ্যাথানেজ। ঠিকমতো খেলতে পারেননি। বল উইকেটকিপার লিটন দাসের মাথার ওপর ওঠায় সহজ ক্যাচ নিয়েছেন। ক্যারিয়ারের ১০ম টেস্ট খেলতে নামা অ্যাথানেজ তাঁর সর্বশেষ ৪ ইনিংসের মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার নব্বইয়ের ঘরে আউট হলেন। টেস্টে এখনো প্রথম সেঞ্চুরির অপেক্ষাটা তাঁর বাড়ল।
ক্রিজে গ্রিভসের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন নতুন ব্যাটসম্যান জশুয়া দা সিলভা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৮০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৩৫। নতুন বল নিয়েছে বাংলাদেশ।
লুইস ৯০ রানে থাকতে স্লিপে তাঁর ক্যাচ ছেড়েছিলেন মিরাজ। লুইস ৯৭ রানে তাঁকে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন সেই স্লিপেই। এবার স্লিপে শাহাদাত হোসেন ক্যাচটি ধরায় প্রায়শ্চিত্ত করতে পারলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৭৫তম ওভারে দ্বিতীয় বলে লুইসের উইকেটটি পেলেন মিরাজ। ২১৮ বল খেলেছেন এই ওপেনার।
লুইস ভুগেছেন নার্ভাস নাইন্টিজের চাপে। ৬৪তম ওভারে এই ওপেনারের রান যখন ৯০, অ্যাথানেজ অন্য প্রান্তে তখন ৪৯ রানে অপরাজিত। লুইস এই পথে নিজের স্কোরে আরও ৭ রান যোগ করার সময় অ্যাথানেজ পৌঁছেছেন ৮৯ রানে! প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির জন্য বেশ অধৈর্যই হয়ে পড়েছিলেন লুইস। ৯০ পেরিয়ে বেশ কিছু আলগা শট খেলেছেন। আউটও হলেন তেমন এক শটেই। এর মধ্যে দিয়ে চতুর্থ উইকেটে দুজনের ১৪০ রানের জুটিও ভাঙল। ২২১ বলের এ জুটিতে লুইসের অবদান ১০২ বলে ৪৫। অ্যাথানেজের ১১৯ বলে ৮৯।
ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান জাস্টিন গ্রিভস। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭৭ ওভারে ৪ উইকেটে ২২৭।
তাসকিনের করা ৭১তম ওভারের প্রথম দুই বলেই চার মেরে দলীয় স্কোর ২০০ পার করলেন অ্যাথানেজ। ক্রিজে তাঁর সঙ্গে জমে গেছেন লুইস। দ্রুত রান তুলছেন দুজনেই। শেষ সেশনে এ পর্যন্ত ১৭ ওভারের খেলা হয়েছে। এ সময়ে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৮৮ রান তুলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। লুইস ও অ্যাথানেজ ওভারপ্রতি গড়ে ৫.১৭ করে রান তুলেছেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭১ ওভার শেষৈ ৩ উইকেটে ২০৪। লুইস ৯৫ ও অ্যাথানেজ ৭১ রানে ব্যাট করছেন।
তাইজুলের করা ৬৭তম ওভারের পঞ্চম বলে ২টি রান নিয়ে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১০০ রান পেরিয়ে গেলেন লুইস ও অ্যাথানেজ। এ পর্যন্ত ১০৩ রানের জুটি গড়েছেন দুজন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৬৭ ওভারে ৩ উইকেটে ১৮৭।
৬৫তম ওভারে তাইজুলের প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে টেস্টে নিজের তৃতীয় ফিফটি তুলে নেন অ্যাথানেজে।
পরের বলেই স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন লুইস (৯০ রানে)। অধিনায়ক মিরাজ সহজ ক্যাচটি হাতে রাখতে পারেননি। অবিশ্বাস্য! রিফ্লেক্স ভালো না থাকায় বলটি হাতে রাখতে ডাইভ দিয়ে পড়ে গিয়েও পারেননি। ধারাভাষ্যকক্ষ থেকে অ্যামব্রোসেরও যেন বিশ্বাস হচ্ছে না। ক্যাচটি নেওয়া উচিত ছিল।
এই ওভারের পঞ্চম বলে লুইসের বিপক্ষে রিভিউ নিয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথমে ক্যাচের আবেদনে মাঠের আম্পায়ার সাড়া দেননি। তৃতীয় আম্পায়ারও ভিডিও রিপ্লে দেখে একই মত দেওয়ায় রিভিউটি নষ্ট হলো বাংলাদেশের।
প্রথম সেশনে ওভারপ্রতি গড়ে ২.১৭ করে রান তুলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় সেশনে আরও ধীর গতিতে রান তুলেছে স্বাগতিকেরা। এই সেশনে ওভারপ্রতি গড় রান ২.১২। দেখে মনে হচ্ছিল আশি-নব্বই দশকের টেস্ট ক্রিকেট বুঝি ফিরে এসেছে! কিন্তু তৃতীয় সেশনে পাল্টে যাচ্ছে দৃশ্যপট। এই সেশনে এখন পর্যন্ত খেলা ৯ ওভারে রান উঠেছে ৫২। অর্থাৎ এ সময় ওভারপ্রতি গড়ে রান উঠেছে ৫.৭৭!
লুইস ও অ্যাথানেজ দুজনেই সুযোগ বুঝে আক্রমণাত্বক ব্যাট করছেন। শরীফুল উইকেট নিতে ফুল লেংথে বোলিং করেছেন তৃতীয় সেশনে নিজের প্রথম স্পেলে। চার হজম করতে হয়েছে। মিরাজ বাতাসে বল ভাসিয়েছেন। ফল? লুইস ডাউন দ্য উইকেট এসে ছক্কা মেরেছেন। দুজনের জুটিতে এখন পর্যন্ত উঠেছে ৮৫ রান।
লুইস ৮৬ ও অ্যাথানেজে ৪৮ রানে ব্যাট করছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৬৩ ওভারে ৩ উইকেটে ১৬৮।
ধারাভাষ্যকক্ষ থেকে ইয়ান বিশপ ও কার্টলি অ্যামব্রোসের পরামর্শ, শুধু স্লিপ নয়, গালি ও ব্যাক্ওয়ার্ড পয়েন্ট রেখে বোলিং করা উচিত বাংলাদেশের পেসারদের। তাতে ব্যাটসম্যানরা ফুল লেংথে ড্রাইভ করতে গেলে ক্যাচের সুযোগ বাড়বে।
চা বিরতির পর উইকেটে নিতে তৃতীয় সেশনের শুরুতে শরীফুল ও হাসান মাহমুদকে আক্রমণে নিয়ে এসেছিলেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু উইকেটের দেখা মেলেনি। উল্টো দ্বিতীয় ওভারে হাসানকে দুটো চার মেরেছেন অ্যাথানেজে। বেশ আত্মবিশ্বাসী মনে হচ্ছে তাঁকে। লুইস অন্য প্রান্তে ঠান্ডা মাথায় সেঞ্চুরির খোঁজ করছেন। চতুর্থ উইকেটে এরই মধ্যে তাঁদের জুটি ‘ফিফটি’ পেরিয়ে গেছে। অবিচ্ছিন্ন ৬০ রানের জুটি গড়েছেন দুজন। অ্যাথানেজ ৩৪ ও লুইস ৭৬ রানে ব্যাট করছেন। তবে মিরাজের করা ৬০তম ওভারে অ্যাথানেজে মারতে গিয়ে বল আকাশে তুললেও বল পড়েছে উইকেটকিপার লিটন দাসের বেশ পেছনে। নিরাপদ!
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৬০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৪৫।
দ্বিতীয় সেশনে খেলা হয়েছে ৩১ ওভার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এই সেশনে ৬৬ রান তুলেছে। বাংলাদেশ নিয়েছে ১টি উইকেট। ৩৭.৩ ওভারে কাভেম হজ রান আউট হন। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ খুশি হবে মিকাইল লুইসের ব্যাটিংয়ে। ওপেনিংয়ে নেমে এখন পর্যন্ত ১৬৬ বল খেলে ৭১ রানে অপরাজিত লুইস। চতুর্থ উইকেটে অ্যাথানেজকে সঙ্গে নিয়ে ৯৯ বলে অবিচ্ছিন্ন ৩২ রানের জুটি গড়েছেন লুইস। আজ প্রথম দিনে শেষ সেশনেও দুজনের কাছ থেকে জমাট ব্যাটিং চাইবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
বাংলাদেশের বোলাররা এই সেশনে তেমন সাফল্য না পেলেও ভালো লাইন-লেংথে বোলিং করেছেন। এখন পর্যন্ত মোট ৫৪ ওভারের খেলা হয়েছে।
চতুর্থ উইকেটে সাবধানি ব্যাটিং করছেন লুইস ও অ্যাথানেজ। ৭৯ বলে অবিচ্ছিন্ন ২০ রানের জুটি গড়েছেন দুজন। এই জুটিতে দলীয় সংগ্রহ ১০০ পেরিয়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
৫১ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১১০। তাসকিনের করা ৫১তম ওভারের শেষ বলে স্ট্রেট দিয়ে দারুণ চার মারেন লুইস।
মেহেদী হাসান মিরাজের বলে বড় শট খেলতে চেয়েছিলেন অ্যালিক অ্যাথানেজ। বল উঠে যায় আকাশে। মিড অনে ক্যাচ ধরার জন্য দৌড়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। কিন্তু অ্যাথানেজের ভাগ্য ভালো, বাতাস বলটি উড়িয়ে নিয়ে যায় তাসকিনের নাগালের বাইরে। বেঁচে যান তিনি।
৪৪ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৩ উইকেটে ৯৬।
মিরাজের বলটি লেগ সাইডে ঠেলে দিয়ে প্রথম রানটি দ্রুত নিয়ে দ্বিতীয় রানের জন্য ছুটেছিলেন কেভন হজ। কিন্তু ফাইন লেগ থেকে তাইজুলের থ্রো ধরে স্টাম্প ভেঙে দেন লিটন দাস। আউট হয়েন ফেরেন হজ, ৬৩ বলে ২৫ রানে তাঁর ইনিংস। একই সঙ্গে ভাঙল ১৩০ বলে ৫৯ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৩ উইকেটে ৮৪।
দ্বিতীয় সেশনে এরই মধ্যে আরও ৭ ওভার খেলা হয়ে গেছে। তবে বাংলাদেশ আর উইকেট ফেলতে পারেনি। তাইজুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ দুই প্রান্ত থেকে দারুণ বোলিং করে চলেছেন। তাঁদের বল বুঝেশুনে সামলিয়ে জুটি বড় করার চেষ্টায় মিকাইল লুইস (৪৬*) ও কাভেম হজ (১৩*)।
৩০ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ২ উইকেটে ৬৬।
প্রথম সেশনকে দুই অংশে ভাগ করা যায়। যার প্রথমটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের। আর দ্বিতীয়টি বাংলাদেশের।
দারুণ বোলিংয়ের পরও প্রথম ঘণ্টায় উইকেট পাননি তাসকিনরা। বারবার ব্যাটসম্যান পরাস্থ করেছেন। তবে ভাগ্য সঙ্গে দেয়নি। বাংলাদেশ প্রথম উইকেট পেয়েছে ইনিংসের ১৪তম ওভারে। সেই ওভারে ব্রাফেটকে ফেরান তাসকিন। নিজের পরের ওভারে তাসকিন আউট করেন কিচি কার্টিকেও। তিনি ফেরেন খালি হাতে।
প্রথম সেশনে খেলা হয়েছে ২৩ ওভার। ২ উইকেটে ৫০ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
বারবার পরাস্থ হয়েছেন। তবে বল একবারও ব্যাটের কানা ছুঁয়ে যায়নি। হাসানের বোলিংয়ে এবার হলো এজ, তবে সেটা স্লিপের মাথার ওপর দিয়ে হলো চার। ৩৬ রানে ব্যাটিং করছেন লুইস।
২২ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৫০/২।
মিডল–লেগ স্টাম্পে করা তাসকিনের বলটিতে ফ্লিক করতে চাইলেন কিচি কার্টি। এজ হয়ে বল যায় মিড উইকেটে থাকা তাইজুল ইসলামের হাতে। ফিরলেন ০ রানে। এর আগে ব্রাফেটকেও আউট করেছেন তাসকিন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ২ উইকেটে ২৭।
আগের বলটি করেছিলেন শর্ট। এবার তাসকিন করলেন ফুল লেংথে স্টাম্প বরাবর। বলটি কিছুটা ভেতরে ঢুকলে লাগে ব্রাফেটের প্যাডে। আবেদন করতেই আউট দেন আম্পায়ার। ব্রাফেট রিভিউ নিলেও সফল হননি। ৩৮ বলে ৪ রান করেছেন উইন্ডিজ অধিনায়ক।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ১ উইকেটে ২৫।
নতুন বলের চ্যালেঞ্জ ভালোভাবেই সামাল দিচ্ছেন ব্রাফেট–লুইস। ভালো বোলিং করলেও ১০ ওভারে বাংলাদেশকে কোনো উইকেট দিতে পারেনি বাংলাদেশের পেসাররা।
১০ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান বিনা উইকেটে ২২।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসের প্রথম বাউন্ডারি পেল পঞ্চম ওভারে। হাসান ও শরীফুলের দুর্দান্ত বোলিংয়ে অবশ্য বাউন্ডারি মারার সুযোগই ব্রাফেট ও লুইস পাননি। ভাগ্য সঙ্গ দিলে হাসান–শরীফুল উইকেটও পেতে পারতেন। তবে ব্যাটসম্যানদের বারবার পরাস্থ করেও উইকেট পাননি তারা।
৫ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান বিনা উইকেটে ৯।
নতুন বলে শুরুটা করেছেন হাসান মাহমুদ। একের পর এক আউট সুইংয়ে ব্রাফেটকে প্রথম ওভারে কঠিন সময়ও দেওয়া গেছে। অন্য প্রান্ত থেকে নতুন বলে আক্রমণে এসেছেন শরীফুল ইসলাম।
মাহমুদুল হাসান, জাকির হাসান, মুমিনুল হক, শাহাদত হোসেন, লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), জাকের আলী, তাইজুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, শরীফুল ইসলাম
ক্রেইগ ব্রাফেট (অধিনায়ক), জশুয়া ডি সিলভা, অলিক আথানেজ, কিসি কার্টি, জাস্টিন গ্রেভস, কাভেম হজ, আলজারি জোসেফ, শামার জোসেফ, মিকাইল লুইস, কেমার রোচ, জেইডেন সিলস
অ্যান্টিগায় বাংলাদেশ–ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম টেস্টে স্বাগতম!
টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই টেস্টে বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই মাঠে সর্বশেষ দুই টেস্টের দুটিরই প্রথম ইনিংসে যথাক্রমে ১০৩ ও ৪৩ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। এবার কী করবে মেহেদী হাসান মিরাজের দল?