তানজিদ হাসানের কাছে যেন কোনো উত্তর ছিল না। শাহিন শাহ আফ্রিদির ভেতরের দিকে ঢোকা বলে ইনিংসের প্রথম ওভারেই হয়েছেন এলবিডব্লু। তানজিদকে শূন্য রানে ফিরিয়ে ওয়ানডেতে ১০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন আফ্রিদি। পেসারদের মধ্যে যা দ্রুততম। ৫১ ম্যাচে ১০০ উইকেটের ক্লাবে ঢুকেছেন আফ্রিদি।
ওয়ানডে ক্রিকেটে দ্রুততম ১০০ উইকেট নিয়েছেন সন্দীপ লামিচানে। নেপালের এই লেগ স্পিনার মাত্র ৪২ ম্যাচে ১০০ উইকেট নিয়েছেন। এই তালিকায় পরের নাম আফগানিস্তানের স্পিনার রশিদ খানের। তিনি ৪৪ ম্যাচে ১০০ উইকেটের কীর্তি গড়েছেন। তালিকায় পরের নামটা আফ্রিদির। অস্ট্রেলিয়ার পেসার মিচেল স্টার্ক ১০০ উইকেটের ক্লাবে ঢুকেছেন ৫২ ম্যাচে। তালিকায় এর পরের নামটা পাকিস্তানের সাবেক স্পিনার সাকলায়েন মোস্তাক।
আফ্রিদি উইকেট পেয়েছেন ইনিংসের পঞ্চম বলে। তেমন কোনো ফুটওয়ার্ক ছাড়া আফ্রিদির ভেতরে ঢোকা বলটি সামলাতে পারেননি তানজিদ। রিভিউ নিলেও কাজে আসেনি সেটি, উইকেটে ছিল আম্পায়ার্স কল। তাতে বাংলাদেশ প্রথম উইকেট হারিয়েছে কোনো রান না তুলতেই। আফ্রিদি পরের ওভারেই নিয়েছেন আরও একটি উইকেট। ফিরিয়েছেন নাজমুল হোসেনকে। শর্ট মিডউইকেটে উসামা মিরের কাছে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি।
পাওয়ার প্লেতে দুই উইকেট নেওয়া আফ্রিদির এবারের বিশ্বকাপে সব মিলিয়ে শিকার ১৫টি। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেটে অ্যাডাম জাম্পার। তিনি উইকেট নিয়েছেন ১৬টি। নতুন বলে উইকেট নিয়ে এরই মধ্যে বাংলাদেশকে বেশ চাপে ফেলেছে পাকিস্তান।
ইএসপিএন বলছে, পাওয়ার প্লেতে দুই বা এর চেয়ে বেশি উইকেট পাওয়া ৭৮ শতাংশ ম্যাচই জিতেছে পাকিস্তান। ওয়ানডে ক্রিকেটে ১০০ উইকেট পাওয়া হয়তো অনেক বড় কোনো অর্জন নয়, তবে বড় অর্জনের পথে প্রথম ধাপ বলাই যায়। আফ্রিদি এই প্রাথমিক ধাপটা পার হলেন ২৩ বছর বয়সে।