ম্যাচের পর সাকিব ও তামিম
ম্যাচের পর সাকিব ও তামিম

‘সাকিব-তামিম’ ম্যাচ নিয়ে যা বললেন মুশফিক

একজন দলের অধিনায়ক, আরেকজন নন। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে সবার কাছেই বিপিএলে রংপুর রাইডার্স ও ফরচুন বরিশালের ম্যাচ যেন হয়ে গিয়েছিল সাকিব আল হাসান বনাম তামিম ইকবাল লড়াই। আজ সে রকমই আরেকটি ম্যাচে সাকিবের রংপুরকে হারিয়ে ফাইনালে চলে গেছে তামিমের বরিশাল।

ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে সাকিব ও তামিম দুজনই আজ নিষ্প্রভ ছিলেন। ব্যাটিংয়ে ৪ বলে ১ রান করা সাকিব বোলিং করেন মাত্র ১.৩ ওভার। তাতে ১৭ রান দিয়ে থাকেন উইকেটশূন্য। অন্যদিকে ১৫০ রানের লক্ষ্যে তামিম আউট হন ৮ বলে ১০ রান করে। সাকিব-তামিমের এ ম্যাচে শেষ পর্যন্ত নায়ক মুশফিকুর রহিম। ৩৮ বলে ৪৭ রানের অপরাজিত ইনিংসে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি, হন ম্যাচসেরাও।

দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে সাকিব ও তামিম

পরে সংবাদ সম্মেলনে এসে সেই মুশফিককে কথা বলতে হলো সাকিব-তামিম লড়াই নিয়ে। তাতে অবশ্য একটু মজাই করলেন মুশফিক, ‘সত্যি কথা বলতে, এ রকম বড় ম্যাচ যদি এ রকম একটা লাইমলাইট নিয়ে থাকে, তাহলে রিলাক্স থাকা যায়। দুজন দুজনের যুদ্ধ করবে আর আমরা আমাদের খেলাটা খেলব, সহজ ব্যাপার (হাসি)।’

অবশ্য পরে মুশফিক বলেছেন, দুজনের মধ্যে এ লড়াই নিয়ে বাইরে অনেক কথা হলেও সেসবের কোনো ছাপ সাকিব-তামিমের ওপর দেখেননি তিনি, ‘সত্যি কথা! আমি দেখেছি, দুজনই অনেক রিলাক্স ছিল, দুজনই ছিল নিজের মতো এবং ওরা দুজনই জানে, নিজ নিজ দলের জন্য বড় অবদান রাখতে পারে। আমি মনে করি, তাদের বলার কিছু নেই।’

দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন মুশফিকুর রহিম

আর সবার মতো মুশফিকও মনে করেন, সাকিব-তামিম বাংলাদেশের দুই কিংবদন্তি ক্রিকেটার। তাঁদের গ্যালারি থেকে যেভাবে দুয়ো দেওয়া হয়, সেটি তিনি মানতেই পারেন না। মুশফিক বললেন, ‘দুজনই বাংলাদেশের কিংবদন্তি ক্রিকেটার। তাদের নিয়ে ফাইট দূরের কথা, আমি মনে করি, তাদের নিয়ে কথা বলাই অনৈতিক ব্যাপার। তারা যতটুকু বাংলাদেশকে দিয়েছে এবং আশা করি আরও দেবে, সেটার সমকক্ষ কিছু নেই। যাঁরা কথা বলেন বা এই যে ভুয়া ভুয়া বলেন, সাকিব আর তামিম যদি ভুয়া ভুয়া শোনে, তাহলে তো আমাদের মাটির ভেতরে ঢুকে যাওয়া উচিত।’