জিতলেই ‘বি’ গ্রুপ থেকে সুপার এইট পর্বে খেলা নিশ্চিত, এমন সমীকরণ নিয়ে নামিবিয়ার বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল অস্ট্রেলিয়া। তাই বলে অস্ট্রেলিয়া এতটা দাপট দেখাবে, সেটা হয়তো অনেকেই ভাবেননি।
অ্যান্টিগায় নামিবিয়াকে মাত্র ৭২ রানে গুটিয়ে দিয়ে পাওয়ারপ্লেতেই ম্যাচ জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ট্রাভিস হেড, ডেভিড ওয়ার্নার, মিচেল মার্শদের তাণ্ডবে দলটি লক্ষ্য তাড়া করেছে মাত্র ৫.৪ ওভারেই।
অর্থাৎ ৮৬ বল বাকি থাকতেই জিতেছে অস্ট্রেলিয়া, হারিয়েছে শুধু ওয়ার্নারের উইকেট। এর আগে ওমান ও ইংল্যান্ডকেও বড় ব্যবধানে হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। টানা ৩ জয়ে ‘বি’ গ্রুপ থেকে সবার আগে সুপার এইট পর্বে পৌঁছে গেল তারা। এই গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ পড়া নিশ্চিত হলো নামিবিয়ার।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি বল হাতে রেখে পাওয়া জয়ের তালিকায় অস্ট্রেলিয়ার জয়টি আছে দ্বিতীয় স্থানে। সবচেয়ে বেশি বল হাতে রেখে জয়ের রেকর্ড এখনো শ্রীলঙ্কার। বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ২০১৪ আসরে চট্টগ্রামে ৯০ বল হাতে রেখে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়েছিল লঙ্কানরা।
৭৩ রানের লক্ষ্য পেয়ে খুব দ্রুত খেলা শেষ করতেই মনোযোগী ছিলেন দুই ওপেনার ট্রাভিস হেড ও ডেভিড ওয়ার্নার। ৮ বলে ২০ রান করে ওয়ার্নার ডেভিড ভিসার বলে আউট হলেও অস্ট্রেলিয়ার দ্রুত লক্ষ্যে পৌঁছাতে কোনো সমস্যা হয়নি। ১৭ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন হেড। অধিনায়ক মার্শ ৯ বলে অপরাজিত ১৮ রান করে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন।
টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া অস্ট্রেলিয়ার জয়ের ভিত্তি মূলত বোলাররাই গড়ে দিয়েছেন। আরও নির্দিষ্ট করে বললে কাজটা করেছেন মূলত স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা। ৪ ওভারে ১২ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়েছেন জাম্পা। আজ অস্ট্রেলিয়ার প্রথম বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেটের কীর্তি গড়েছেন জাম্পা। ম্যাচসেরার পুরস্কারও উঠেছে তাঁর হাতে।
নামিবিয়ার সংগ্রহটা আরও ছোট হতে পারত। দলটি ৪৩ রান তুলতেই হারিয়ে ফেলেছিল ৮ উইকেট। তবে অধিনায়ক গেরহার্ড এরাসমাসের ৩৬ রান দলীয় সংগ্রহকে ৭২–এ নিয়ে যায়। মানে দলের ৫০ শতাংশ রান এরাসমাস একাই করেছেন। তিনি ছাড়া দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন শুধু একজন—ওপেনার মাইকেল ফন লিনগেন। এটিই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নামিবিয়ার সর্বনিম্ন সংগ্রহ। টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষ কোনো দলেরও সর্বনিম্ন সংগ্রহ এটি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নামিবিয়া: ১৭ ওভারে ৭২/১০ (এরাসমাস ৩৬, লিনগেন ১০; জাম্পা ৪-০-১২-৪, হ্যাজলউড ৪-০-১৮-২, স্টয়নিস ৩-০-৯-২)।
অস্ট্রেলিয়া: ৫.৪ ওভারে ৭৪/১ (হেড ৩৪*, মার্শ ১৮*, ওয়ার্নার ২০; ভিসা ১-০-১৫-১)।
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৯ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: অ্যাডাম জাম্পা।