ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ

জন্মদিনে সেরা তামিম, ফেরায় উজ্জ্বল সাকিব

ফতুল্লায় ব্রাদার্স ইউনিয়নকে আবাহনী গুঁড়িয়ে দিয়েছে দুপুরের মধ্যেই। বিকেএসপির দুই ম্যাচেও এসেছে প্রত্যাশিত ফলই। রূপগঞ্জ টাইগার্স সুবিধার করতে পারেনি প্রাইম ব্যাংকের সঙ্গে। সিটি ক্লাবকে সহজেই হারিয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি। বিকেএসপির দুটি ম্যাচের একটিতে ম্যান অব দ্য ম্যাচ তামিম ইকবাল, আরেকটিতে উজ্জ্বল সাকিব আল হাসান।

প্রাইম ব্যাংকের চারে চার

প্রাইম ব্যাংকের ৫ বোলারই পেয়েছেন উইকেটের দেখা। তাতে রূপগঞ্জ টাইগার্স গুটিয়ে যায় ১৩২ রানেই। রান তাড়ায় তামিম ইকবাল ও পারভেজ হোসেনের ১১৮ রানের ওপেনিং জুটির পর সহজ জয় পেয়েছে প্রাইম ব্যাংক। আবাহনীর মতো এটিও তাদের টানা চতুর্থ জয়, যদিও নেট রান রেটে পিছিয়ে থাকায় তাদের অবস্থান দুই নম্বরে।

বৃষ্টিতে বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠের ম্যাচটি নেমে আসে ৩৪ ওভারে। চারে নামা টাইগার্স অধিনায়ক শামসুর রহমান ৪৬ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেললেও অন্য প্রান্তে নিয়মিত উইকেট হারায় তারা। শেষ দিকে তো ধসই নামে, শেষ ৬ উইকেট পড়ে মাত্র ২৬ রানের মধ্যে। প্রাইম ব্যাংকের বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম ২৪ রানে নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট।

তামিমের অনুপস্থিতিতে এক ম্যাচে ওপেনিংয়ে সুযোগ পাওয়া পারভেজ তাঁর দারুণ ফর্মটা বয়ে নিয়ে চলেছেন। আরেকটি ফিফটির দেখা পেয়েছেন তিনি। পারভেজ সময় নিলেও তাঁর ওপেনিং সঙ্গী তামিম খেলেছেন দ্রুতগতিতেই। ৬২ বলে ৫০ করেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক, আউট হন ৭৮ বলে ৬৭ রান করে। দুই ওপেনার ফেরেন ২ রানের মধ্যে, তবে তাতে কোনো সমস্যা হয়নি প্রাইম ব্যাংকের।

জন্মদিনে ম্যাচসেরা হয়েছেন প্রাইম ব্যাংক অধিনায়ক তামিমই। যে ইনিংসে ৬টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ২টি ছয়।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

রূপগঞ্জ টাইগার্স: ৩১.১ ওভারে ১৩২ (শামসুর ৫০, আসাদুল্লা ২৫; নাজমুল ৩/২৪, আশিকুর ২/২২, অলক ২/৪০)

প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব: ২৯.২ ওভারে ১৩৩/২ (তামিম ৬৭, পারভেজ ৫০; আবদুল্লাহ ১/৮, আরিফুল ১/২৭)

ফল: প্রাইম ব্যাংক ৮ উইকেটে জয়ী

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: তামিম ইকবাল

ফেরার উজ্জ্বল সাকিব, সেরা ইয়াসির

জাতীয় দল থেকে ছুটিতে থাকলেও প্রিমিয়ার লিগে ফিরলেন সাকিব আল হাসান। বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে শেখ জামাল ধানমন্ডির হয়ে তিন নম্বরে নেমে ১৪ বলে ১৯ রান করেছেন তিনি। পরে ৭ ওভার বোলিং করে ৩৯ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। সাকিবের ফেরার ম্যাচে সিটি ক্লাবকে ৪০ রানে হারিয়েছে শেখ জামাল।

বৃষ্টির কারণে এ ম্যাচও নেমে এসেছিল ৩৪ ওভারে। আগে ব্যাটিং করা শেখ জামাল ৭৯ রানেই হারায় ৪ উইকেট। অধিনায়ক নুরুল হাসান ও ইয়াসির আলী পঞ্চম উইকেটে এরপর তোলেন ১৩৮ রান। দুজনই খেলেন ঝোড়ো ইনিংস—৫৭ বলে ৭৮ রান ইয়াসিরের, নুরুল অপরাজিত থাকেন ৬০ বলে ৭২ রান করে। এ নিয়ে টানা ৩ ম্যাচেই ৭০ পেরোলেন নুরুল, আগের দুই ম্যাচে করেছিলেন ১০১ ও ৮০ রান। নুরুল-ইয়াসিরের পাল্টা আক্রমণে শেখ জামাল তোলে ২১৮ রান। ইয়াসির তাঁর ইনিংসে ৬টি চারের সঙ্গে মারেন ৪টি ছক্কা।

রান তাড়ায় সিটি ক্লাব ঠিক লড়াইয়ে ছিল না কোনো পর্যায়েই। কেউ ফিফটিও পাননি, কোনো ৫০ রানের জুটিও হয়নি। ৩৪ ওভারে ৯ উইকেটে ১৭৮ রানেই থামে তারা। টানা চতুর্থ হারের পথে ক্লাবটি চার ম্যাচে তিনবারই ব্যর্থ হলো রান তাড়ায়। সাকিবের মতো শেখ জামালের হয়ে ৩ উইকেট নেন রিপন মণ্ডলও।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব: ৩৪ ওভারে ২১৮/৫ (নুরুল ৭২*, ইয়াসির ৭৮, সাকিব ১৯; রাফসান ১/১০, মেহেদী ১/৩৬)

সিটি ক্লাব: ৩৪ ওভারে ১৭৮/৯ (শাহরিয়ার ৩৮, আশিক ২৫, ইরফান ২৪; রিপন ৩/৩৭, সাকিব ৩/৩৯, শফিকুল ২/৪৪)

ফল: শেখ জামাল ৪০ রানে জয়ী

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ইয়াসির আলী