চিপকের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে আগামীকাল শুরু হচ্ছে এবারের আইপিএল। উদ্বোধনী দিনে গতবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংসের মুখোমুখি হবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। এ ম্যাচের আগে জেনে নেওয়া যেতে পারে এবারের আইপিএলে যোগ হওয়া নতুন দুটি নিয়ম সম্পর্কে।
এবারের আইপিএলে ব্যাট–বলের লড়াইয়ে সমতা আনার লক্ষ্যে বাউন্সারের সুযোগ বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া ডিআরএসের কার্যকারিতা বাড়াতে চালু করা হয়েছে স্মার্ট রিপ্লে সিস্টেম। এর সঙ্গে গত মৌসুমে যোগ হওয়া ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম তো থাকছেই।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টেস্ট ও ওয়ানডে সংস্করণে বোলাররা এক ওভারে দুটি বাউন্সার দিতে পারেন। কিন্তু আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে বোলাররা একটি বাউন্সারই দিতে পারেন। একের বেশি হলে সেটি ‘নো’ ডাকেন আম্পায়ার। তবে আইপিএলে বোলারদের সুযোগ বাড়ানো হয়েছে। এক ওভারে দুটি করে বাউন্সার দিতে পারবেন বোলাররা।
নিয়মটি পরিবর্তনের আগে ভারতের ঘরোয়া টি–টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। সেখানে খেলোয়াড় এবং কর্মকর্তারা দুই বাউন্সারের পক্ষে মত দেওয়ায় আইপিএলেও যুক্ত করা হয়েছে।
স্মার্ট রিপ্লে সিস্টেম নিয়ে আসার কারণ হিসেবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বলেছিল—আম্পায়ার যেন আগের চেয়ে দ্রুত আর নিখুঁত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এই পদ্ধতির ফলে টিভি আম্পায়ার আগের চেয়ে বেশি ভিজ্যুয়াল পাবেন। একই সঙ্গে পাবেন স্প্লিট–স্ত্রিন ইমেজ।
স্মার্ট রিপ্লে সিস্টেমে টিভি আম্পায়ার সরাসরি দুজন হক–আই অপারেটরের কাছ থেকে ইনপুট পাবেন। ওই দুই অপারেটর টিভি আম্পায়ারের সঙ্গে একই কক্ষে থাকবেন। মাঠের চারদিকে থাকা আটটি হাইস্পিড ক্যামেরা ফুটেজ সরবারহ করবে। এই নিয়মের আওতায় যদি মাঠের আম্পায়ার স্টাম্পিং রিভিউ করতে বলেন, টিভি আম্পায়ার স্টাম্পিংয়ের পাশাপাশি ক্যাচ হলো কি না, সেটাও দেখবেন। এটি আইসিসির সর্বশেষ সংশোধিত নিয়মের পরিপন্থি। চলতি বছরের জানুয়ারিতে আইসিসি নতুন যে দুটি নিয়ম কার্যকর করেছে, তার একটি হচ্ছে স্টাম্পিংয়ের রিভিউতে শুধু স্টাম্পিংই দেখা হবে, ক্যাচ দেখা হবে না। বল ব্যাটে লেগেছিল কি না দেখতে হলে আরেকটি রিভিউ চাইতে হবে।
এ ছাড়া জুনে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মধ্য দিয়ে ‘স্টপ ক্লক’ চালুর ঘোষণা দিয়ে রেখেছে আইসিসি। যেখানে দুই ওভারের মধ্যে সর্বোচ বিরতি ৬০ সেকেন্ড বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তবে আইপিএলে এ ধরনের কোনো নিয়ম থাকছে না।