যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে কাল পাকিস্তান একটি নয়, দুটি ম্যাচ হেরেছে বলে মনে করছেন মোহাম্মদ হাফিজ। পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়কের মতে, পাকিস্তান সুপার ওভারে তো হেরেছেই, তার আগে টাই হওয়া ২০ ওভারের ম্যাচেও হেরেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হারের পেছনে সুপারের ওভারের দুটি সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন আছে হাফিজের। সুপার ওভারে মোহাম্মদ আমিরকে কেন বোলিং দেওয়া হয়েছে, আর ইফতিখার আহমেদের বদলে ফখর জামান কেন স্ট্রাইকে যাননি?
ডালাসে মূল ম্যাচের শেষ বলে চার মেরে পাকিস্তানের ১৫৯ রান স্পর্শ করে যুক্তরাষ্ট্র। পরে খেলা সুপার ওভারে গড়ালে আমির ৬ বলে দেন ১৮ রান। এর মধ্যে বাউন্ডারি মাত্র একটি হলেও অতিরিক্ত থেকে মোট ৭ রান দেয় পাকিস্তান। রান তাড়ায় পাকিস্তান তুলতে পারে ১৩ রান। ইফতিখারের সঙ্গে ব্যাটিংয়ে নামলেও ফখর পুরো ওভার নন–স্ট্রাইক প্রান্তেই ছিলেন।
পিটিভির ‘গেম অন হ্যায়’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে আমিরের বোলিং ও ফখরের নন–স্ট্রাইকে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন হাফিজ, ‘আমরা এক দিনে দুটি ম্যাচ হেরেছি। একটি ২০ ওভারে, আরেকটি সুপার ওভারে। বুঝলাম, এটা নার্ভাসনেস থেকে হয়েছে। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং—সবকিছুতেই নার্ভাসনেস। (যার ফলে) সঠিক সিদ্ধান্তটি নেওয়া গেল না।’ অনুষ্ঠানে হাফিজের সঙ্গে ছিলেন সাবেক ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতার ও সাবেক অধিনায়ক ইউনিস খান। শোয়েবের দিকে তাকিয়ে হাফিজ জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনার হাতে চারজন পেসার আছ। শেষ ওভার বা সুপার ওভারে আপনি কার হাতে বল তুলে দেবেন?’
শোয়েব জবাবে শাহিন শাহ আফ্রিদির নাম বলেন। দ্বিতীয় বোলার কাকে রাখবেন জিজ্ঞেস করলে উত্তর আসে হারিস রউফ। হাফিজ তখন ইউনিসকেও একই প্রশ্ন করলে তিনিও একই উত্তর দেন। এরপর হাফিজ নিজের মত প্রকাশ করে বলতে থাকেন, ‘এই মুহূর্তে আমার প্রথম পছন্দ নাসিম শাহ। দ্বিতীয় পছন্দ শাহিন শাহ। আমির চার বছর ধরে পাকিস্তান দলের বাইরে ছিল। আমি বারবার বলার চেষ্টা করছি, টি–টোয়েন্টি লিগের সঙ্গে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিকে মেলাতে যাবেন না। কিন্তু দলের প্রধান বোলারের ওপর আস্থা না রেখে আপনি নির্ভর করলেন চার বছর পর দলে আসা একজনের ওপর। এই হিসাবটা আমার বুঝে আসেনি।’
সুপার ওভারে রান তাড়ায় ফখর মাঠে নামলেও কেন তাঁকে নন–স্ট্রাইকে রেখে ইফতিখারকে স্ট্রাইক দেওয়া হয়েছে, সেটাও মানতে পারছেন না হাফিজ। এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য এ রকম, ‘এবার ব্যাটিংয়ের কথায় আসি। এর আগপর্যন্ত যা হবার, তা তো হয়েছেই। আমি সবাইকে জিজ্ঞেস করতে চাই, ফখর জামান কি প্রথম বল খেলার মতো ব্যাটসম্যান, না কি নন–স্ট্রাইকে দাঁড়িয়ে থাকার ব্যাটসম্যান? আপনি দেখছেন বাঁহাতি পেসার বোলিংয়ে, যে ওয়াইড ইয়র্কার করে বল বের করে নিতে চাইবে। এ সময়ে ডানহাতি ব্যাটসম্যান করবেটা কী? এটা তো বিতর্কিত সিদ্ধান্ত।’
পাকিস্তান তাদের পরবর্তী ম্যাচ খেলবে ৯ জুন ভারতের বিপক্ষে নিউইয়র্কে।