অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে নতুন ‘রাজা’ পেল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট। প্রথমবারের মতো আইসিসি টি-টোয়েন্টি অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠেছেন লিয়াম লিভিংস্টোন। ইংল্যান্ডের ৩১ বছর বয়সী এই ব্যাটিং অলরাউন্ডার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের পর একলাফে সাত ধাপ এগিয়েছেন।
লিভিংস্টোনের বড় লাফে এক থেকে সাত পর্যন্ত থাকা সবাই এক ধাপ করে পিছিয়ে গেছেন। টি-টোয়েন্টি অলরাউন্ডারদের সেরা পাঁচে লিভিংস্টোনের পর আছেন যথাক্রমে মার্কাস স্টয়নিস, সিকান্দার রাজা, সাকিব আল হাসান ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।
রোববার শেষ হওয়া ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে লিভিংস্টোন ছিলেন সিরিজ–সেরা। শেষ ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়ে যাওয়ার আগে খেলা হয়েছে দুই ম্যাচে। সাউদাম্পটন ও কার্ডিফে হওয়া ম্যাচ দুটিতে লিভিংস্টোন ছিলেন দুর্দান্ত। প্রথম ম্যাচে বল হাতে ২২ রানে ৩ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে করেন ২৭ বলে ৩৭ রান। পরের ম্যাচে ব্যাট হাতে খেলেন ৪৭ বলে ৮৭ রানের ইনিংস, বল হাতে নেন ১৬ রানে ২ উইকেট।
১-১ সমতায় শেষ হওয়া সিরিজটিতে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ২৫৩ রেটিং পয়েন্টে পৌঁছে গেছেন লিভিংস্টোন। র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ স্থান থেকে দুইয়ে নেমে যাওয়া স্টয়নিসের পয়েন্ট ২১১। কিছুটা পেছনেই আছেন রাজা (২০৮) ও সাকিব (২০৬)।
অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ের পাশাপাশি আলাদাভাবে ব্যাটিংয়েও এগিয়েছেন লিভিংস্টোন। এখন পর্যন্ত ৫০ টি-টোয়েন্টি খেলা এই ক্রিকেটার ব্যাটিংয়ে ১৭ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ৩৩ নম্বরে। টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছেন অস্ট্রেলিয়ার ট্রাভিস হেড, যিনি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১৪ বলে ৩১ এবং দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ২৩ বলে ৫৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেছেন।
বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম জাম্পা এক ধাপ এগিয়ে ৬-এ উঠে এসেছেন। এর মাধ্যমে টি-টোয়েন্টি বোলারদের এক থেকে ছয় পর্যন্ত সবই এখন স্পিনারদের দখলে। জাম্পার ওপরে আছেন শীর্ষ থেকে যথাক্রমে আদিল রশিদ, আকিল হোসেন, রশিদ খান, গুড়াকেশ মোতি ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।