স্টিভেন ফিন
স্টিভেন ফিন

যিনি অ্যাশেজ জেতান, তিনি ডক্টরেট ডিগ্রিও পান

স্টিভেন ফিন—নামটা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে ৬ ফুট ৭ ইঞ্চি উচ্চতার এক পেসার। গতির পাশাপাশি বাউন্সও আছে বেশ। সে ধারায় ভেসে আসে আরও অনেক স্মৃতি।

২০১০ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক। ২০১০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে টানা তিনটি অ্যাশেজ সিরিজজয়ী ইংল্যান্ড দলের সদস্য ফিন। ওই তিন সিরিজে ৭ ম্যাচে ২৮ উইকেট নিয়ে বড় অবদানও রেখেছেন। সব ধরনের ক্রিকেট ছেড়েছেন বেশি দিনও হয়নি, গত বছর আগস্টে। এই ফিনকে এখন যদি দেখেন রীতিমতো সমাবর্তনের পোশাকে কোনো ডিগ্রি নিতে তখন কি একটু অস্বাভাবিক লাগবে না?

কারও কারও কাছে না-ও লাগতে পারে। এমনিতে লেখাপড়ায় ভালো ক্রিকেটার দুনিয়ায় কম নেই। এমনকি ক্রিকেট খেলতে খেলতেই বিজ্ঞানী হয়ে ওঠার নজিরও আছে, সেটাও ফিনেরই দেশ ইংল্যান্ডে। গ্লস্টারশায়ারের প্রয়াত সাবেক পেসার গ্রাহাম লেক যেমন বিজ্ঞানীও ছিলেন।

গত বছর সব ধরনের ক্রিকেট ছাড়েন ফিন

ফিন অবশ্য সে গোত্রে পড়েন না। তবে ইংল্যান্ডের হার্টফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয় মনে করে, ইংল্যান্ডের হয়ে ৩৬ টেস্টে ১২৫, ৬৯ ওয়ানডেতে ১০২ এবং ২১টি টি-টোয়েন্টিতে ২৭ উইকেট নেওয়া ফিন তাঁর নিজ অঙ্গনে যথেষ্ট অবদান রেখেছেন। এর পাশাপাশি ‘পেশাদার খেলাধুলায় মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সচেতন হতেও সবাইকে সহায়তা করায়’ মাঠের পাশাপাশি মাঠের বাইরেও সমান গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন ফিন। আর তাই চলতি মাসে নিজেদের গ্র্যাজুয়েশন উৎসবে ফিনকে সম্মাননা দেবে হার্টফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়। ক্রীড়াবিজ্ঞানে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দেওয়া হবে ৩৫ বছর বয়সী সাবেক এই পেসারকে।

হার্টফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয় গত পরশু নিজেদের ওয়েবসাইটে দেওয়া বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে। মোট ১৪ জন খ্যাতিমান ব্যক্তিকে বিশ্ববিদ্যালয়, নিজ কর্মক্ষেত্র এবং হার্টফোর্ডশায়ার কমিউনিটিতে বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা দেওয়া হবে। তাঁদের মধ্যে নাসার বিজ্ঞানী এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যারিস্টাররাও আছেন। ফিনের জন্ম হার্টফোর্ডশায়ার কাউন্টির ওয়াটফোর্ডে।

ইংল্যান্ডের তিনটি অ্যাশেজজয়ী দলের সদস্য ছিলেন ফিন

ক্রিকেট ছাড়ার আগেই ধারাভাষ্যে জড়িয়েছেন ফিন। ২০১৯ সালে বিবিসি টেস্ট ম্যাচ স্পেশালে ধারাভাষ্যকার হিসেবে যোগ দেন। ওয়াটফোর্ড ফুটবল ক্লাবের সমর্থক এবং সাবেক এই কাউন্টি বাস্কেটবল খেলোয়াড় গত জানুয়ারিতে ইংল্যান্ড দলের ভারত সফরে ছিলেন টিএনটি স্পোর্টসের সঙ্গে। এই সম্প্রচারক প্রতিষ্ঠানের ধারাভাষ্যকার হিসেবে সিরিজটি সুইডেন থেকে কাভার করেন ফিন। কারণ, লন্ডনে স্টুডিওতে ফিনের জন্য যথেষ্ট জায়গা ছিল না।