একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ সেঞ্চুরি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৩৪ হাজারের বেশি রান। এরপরও শচীন টেন্ডুলকারের কাছে ক্যারিয়ারের সেরা অর্জন জানতে চাইলে তিনি হয়তো ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের কথাই বলবেন। সেই বিশ্বকাপ জয়ের পথে ভারতের অন্যতম বড় বাধা ছিল পাকিস্তান। সেমিফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে মুখোমুখি হয়েছিলেন টেন্ডুলকাররা।
পাকিস্তানকে হারানোর পথে ৮৫ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন টেন্ডুলকার। সেই ম্যাচে টেন্ডুলকার যে মাঠের খেলাতেই অবদান রেখেছিলেন, তা নয়, ম্যাচের আগে সতীর্থদের উদ্দীপ্ত করতে একটি বক্তৃতাও দিয়েছিলেন। ৫০তম জন্মদিনের অনুষ্ঠানে সেই কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন টেন্ডুলকার নিজেই।
টেন্ডুলকারের ভাষ্য অনুসারে, পাকিস্তানের বিপক্ষে সেমিফাইনাল ম্যাচের আগে নিরাপত্তাজনিত কারণে ঠিক সময়ে দুপুরের খাবারটা আসেনি। যে কারণে পুরো ভারতীয় দলই ছিল বিরক্ত। পুরো দলের মনোযোগই তখন ‘দুপুরের খাবার কেন ঠিক সময়ে আসেনি’, সেই দিকে। এমন সময়ই অনেকটা ‘নেতা’ হয়ে উঠেছিলেন টেন্ডুলকার।
এরপর পুরো দল একত্র হলে সেখানে কথা বলেন টেন্ডুলকার। সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ক্রিকেটার তখন বলেছিলেন, ‘তোমরা যদি ক্ষুধার্ত থাকো, পুরো বিশ্বকে দেখিয়ে দাও, কত রান তোমরা করতে পারো, কত উইকেট নিতে পারো। সবার আগ্রহ এখানেই। কেউ জানতে চায় না, তোমরা সকাল কিংবা দুপুরের খাবার খেয়েছ কি না। এটা বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল। যাও নিজেকে উজাড় করে দাও।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই ম্যাচে টেন্ডুলকারের অর্ধশতকে আগে ব্যাট করে ২৬০ রান তোলে ভারত। জবাবে দারুণ শুরু করেও পাকিস্তান হেরে যায় ২৯ রানে। এরপর ফাইনালে ভারত হারায় শ্রীলঙ্কাকে।