‘গ্রেট ক্যারেক্টার’ তাসকিন, মজার মানুষ মোস্তাফিজ আর ‘গোল্ডফিশ’ শরীফুল

বিশ্বকাপ খেলার জন্য এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ দল। ৮ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে নাজমুল–সাকিবদের বিশ্বকাপ অভিযান। কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের অধীনে দুই দফায় ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে এ নিয়ে চতুর্থ বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দলের বিবর্তনটা কাছ থেকেই দেখেছেন শ্রীলঙ্কান এই কোচ। কেমন হলো এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল?

বিসিবি প্রকাশিত এক ভিডিওতে এবারের বিশ্বকাপ দলে থাকা বাংলাদেশের ১৫ খেলোয়াড়ের শক্তির জায়গাগুলো নিয়ে কথা বলেছেন কোচ, বলেছেন খেলোয়াড়দের কাছে তাঁর প্রত্যাশার কথাও। দ্বিতীয় পর্বে থাকছে ৫ বোলারকে নিয়ে বিশ্লেষণ:

তাসকিন আহমেদকে আবেগপ্রবণ মানুষ বলছেন হাথুরু

তাসকিন আহমেদ
তাসকিন মানুষ হিসেবে খুবই আবেগপ্রবণ। সে যখন ভালো মুডে থাকে, আমরা ওর সেরাটা পাই। সে পেসারদের মধ্যে, কোচিং স্টাফদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়। সব সময়ই দলের জন্য সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করে, উন্নতি করার চেষ্টা করে। দলের মধ্যে গ্রেট ক্যারেক্টার।

ছন্দে আছেন মোস্তাফিজুর রহমান

মোস্তাফিজুর রহমান
মোস্তাফিজ, ফিজকে নিয়ে আমি আর কী বলতে পারি? ফিজ অনন্য এক জাত। আমি তো মনে করি, বিশ্ব ক্রিকেটেই বিরল এক প্রতিভা। পরিস্থিতি অনুযায়ী মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা, তার বাহু আর কবজি দিয়ে সে যা করে যাচ্ছে, এটা অনেক বোলারই করতে পারে না। সে তার সেরা ছন্দে আছে। নিজের খেলা নিয়ে তার কোনো অস্বস্তি নেই। এখন তো সে খুব আত্মবিশ্বাসীও। আমরা যখন টিম মিটিংয়ে কথা বলি, সে–ও কথা বলে। সে খুব মজার মানুষও। আমি ঠিক বুঝতে পারি না যে সে কী বলে। তবে দেখেছি, তার সঙ্গ সবাই উপভোগ করে। কখনো কখনো সে এমন কিছু বলে যে তারা সবাই খুব হাসে।

চন্ডিকা হাথুরুসিংহে মজা করে বলেছেন যে শরীফুলের মেমোরি গোল্ডফিশের মতো

শরীফুল ইসলাম
৬ ফুট ৪ ইঞ্চি লম্বা বাঁহাতি ফাস্ট বোলার। সে খুব গতিতে বল করতে পারে, খুব প্রতিভাবান। দলের খুব অভিজ্ঞ এক শক্তি সে। সে শুধু একটা বিষয়ই জানে, সেটা উইকেট নিতে। সে খুবই কর্মমুখী। তাকে তো কখনো কখনো গোল্ডফিশের মতো লাগে, সবকিছু খুব দ্রুত ভুলে যায়। সে ব্যাট হাতেও ভূমিকা রাখতে পারে। আমার মনে হয়, ব্যাট হাতে সে কতটা কী করতে পারে, নিজেও ঠিকভাবে জানে না।

ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক ভালো খেলেই বিশ্বকাপ দলে তানভীর ইসলাম

তানভীর ইসলাম
সত্যিকার অর্থেই তানভীর আমাদের দলে অনন্য এক দক্ষতা যোগ করেছে। পাওয়ারপ্লেতে সে নতুন বলে বল করতে পারে। ঘরোয়া ক্রিকেটের টুর্নামেন্ট বিপিএল, ডিপিএল বা দীর্ঘ সময় ধরে ভালো করেছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে তার পারফরম্যান্স আমাদের আত্মবিশ্বাসী করেছে যে সে এই পর্যায়ের ক্রিকেটটাও সামলাতে পারবে। আমি আগেও যেমনটা বলেছি যে যদি সে দলে থাকে, তাহলে অনন্য এক ভূমিকা রাখতে পারে। আমরা তাকে পাওয়ারপ্লের শক্তি হিসেবে ভাবছি।

তানজিম হাসানকে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ একজন মানুষ হিসেবেই চেনেন হাথুরু

তানজিম হাসান
ওর প্রতিজ্ঞাই মূল বিষয়। দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মানুষ। চ্যালেঞ্জকে কখনো ভয় পায় না। নিজের দক্ষতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করে। অনুশীলন কঠোর পরিশ্রম করার পাশাপাশি দলকে সাহায্য করে যায়।