বার্মিংহামের এজবাস্টনে রান তাড়ায় ইংল্যান্ডের ৬ ওভার শেষ হওয়ার পর ক্রিকইনফোর বল বাই বল কমেন্ট্রিতে এক পাঠক মন্তব্য করলেন, ‘ইংল্যান্ডের দারুণ এক পাওয়ারপ্লে শেষ হলো।’ ইংল্যান্ড কার সঙ্গে কোন সংস্করণে খেলছে, সেটি জানা না থাকলে আপনি ধরে নিতেই পারেন, টি-টোয়েন্টির কথা হচ্ছে। আদতে সেটি নয়।
এজবাস্টনে ইংল্যান্ড টেস্টই খেলছিল। তাতে তৃতীয় দিন জয়ের লক্ষ্য ছিল ৮২ রান। ৭.২ ওভারেই সেটি পেরিয়ে গেছে স্বাগতিকেরা, মানে ওভারপ্রতি তুলেছে ১১.৫৯ রান! টেস্টে রান তাড়ায় কমপক্ষে ৮০ রানের লক্ষ্যে এত দ্রুতগতিতে তুলে এর আগে জেতেনি কোনো দল।
ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার ইনিংস ওপেন করতে এসে ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস খেলেছেন ২৮ বলে ৫৫ রানের ইনিংস, বেন ডাকেট অপরাজিত থাকেন ১৬ বলে ২৫ রানে। দুজন মিলে মেরেছেন ১৩টি চার ও ২টি ছক্কা। ১০ উইকেটে জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তিন ম্যাচ সিরিজে ধবলধোলাইও নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড।
চোট পেয়ে উঠে যাওয়া জ্যাক ক্রলির জায়গায় স্টোকস ইনিংস ওপেন করতে আসবেন, সেটি বোঝা যাচ্ছিল দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৭৫ রানে অলআউট হয়ে যাওয়ার পরই। স্টোকস মাঠ ছেড়েছিলেন দৌড়াতে দৌড়াতে। প্রথম বলে স্ট্রাইক নেন তিনিই, আলজারি জোসেফের প্রথম ওভারে মারেন দুটি চার। একমাত্র পঞ্চম ওভার ছাড়া ইংল্যান্ডের প্রতি ওভারেই ছিল বাউন্ডারি।
শামার জোসেফকে ছক্কা মেরে স্টোকস ফিফটি পূর্ণ করেন মাত্র ২৪ বলে। বলের হিসাবে টেস্ট ইতিহাসের যৌথভাবে তৃতীয় দ্রুততম ও ইংল্যান্ডের দ্রুততম ফিফটি এটি। ৯টি চারের সঙ্গে স্টোকস মারেন ২টি ছক্কাও।
এর আগে মিকাইল লুইস ও কাভেম হজের ফিফটির পরও মার্ক উডের তোপে পড়ে ১৭৫ রানেই দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
অ্যালিক অ্যাথানাজকে ফিরিয়ে দিনের প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন শোয়েব বশির। চতুর্থ উইকেটে হজ ও লুইস ৭৮ বলেই যোগ করেন ৭২ রান, দুজন পাল্টা আক্রমণ করছিলেন দারুণভাবেই। ৫৭ রান করা লুইসকে ফিরিয়ে সে জুটি ভাঙেন স্টোকস। হজ একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন বটে, কিন্তু আরেকদিকে ক্যারিবীয়রা উইকেট হারায় নিয়মিত বিরতিতে। অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে হজ করেন ৫৫ রান। ২৯ রান তুলতে শেষ ৬ উইকেট হারায় ক্যারিবীয়রা। তাদের শেষ ৫টি উইকেটও নেন উড।