ভারতীয় আম্পায়ার যতীন কাশ্যপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে আইসিসি। আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অভিযোগের কথা জানিয়েছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
ঠিক কোন ঘটনায় কাশ্যপের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ, সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানায়নি আইসিসি। শুধু উল্লেখ করেছে, ‘২০২২ সালের আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলোর ওপর করা তদন্তে দুর্নীতিবিরোধী কোডের ধারা ভঙ্গের ব্যাপারগুলো উঠে এসেছে।’
আন্তর্জাতিক ম্যাচের ওপর করা তদন্তে কাশ্যপের নাম এলেও তিনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কোনো ম্যাচ পরিচালনা করেননি। এনডিটিভি জানিয়েছে, কাশ্যপ ভারতের রাজ্য পাঞ্জাবের জেলা পর্যায়ে ম্যাচ পরিচালনা করেছেন, তবে বিসিসিআইয়ের প্যানেলে নেই।
বিসিসিআইয়ের সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতের এই সংবাদমাধ্যম আরও জানায়, গত অক্টোবরেই পাঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কাছ থেকে কাশ্যপের ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চায় আইসিসি। তবে সংস্থাটির সচিব দিলশের খান্নার দাবি, কাশ্যপের বিরুদ্ধে আনা আইসিসির অভিযোগের সঙ্গে তাদের রাজ্য পর্যায়ের কোনো ম্যাচেরও সংশ্লিষ্টটা নেই।
পিটিআইকে খান্না বলেন, ‘পাঞ্জাব ক্রিকেটের সঙ্গে এসব অভিযোগের কোনো সম্পর্ক নেই। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টই বলা আছে, আন্তর্জাতিক ম্যাচের ওপর করা তদন্তের পর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।’
কাশ্যপকে এসব অভিযোগের ব্যাপারে উত্তর দিতে দুর্নীতিবিরোধী কোডের ৪.৬.৬ ধারা অনুযায়ী ১৪ দিন সময় দিয়েছে আইসিসি। যে ১৪ দিন শুরু হবে ১৯ মে থেকে। এ ব্যাপারে এখন আর কিছু জানাবে না, এমনও উল্লেখ করেছে আইসিসি।
এদিকে ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে, কাশ্যপের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো ২০২২ সালে ওমানে হওয়া এশিয়া কাপ বাছাইপর্বের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। ভারতের স্থানীয় আম্পায়ার হওয়া সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট বলে কাশ্যপের বিপক্ষে তদন্ত শুরুর করার অধিকার আইসিসির আছে।
কাশ্যপের বিরুদ্ধে দুর্নীতিবিরোধী কোডের দুটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। সেগুলো হলো ২.৪.৬ ও ২.৪.৭।
দুর্নীতি দমন কোডের ২.৪.৬ ধারা ভঙ্গের মধ্যে আছে—সম্ভাব্য দুর্নীতির তদন্তে সহায়তা করতে তেমন কোনো যথার্থতা ছাড়াই অস্বীকৃতি জানানো বা ব্যর্থ হওয়া, যার মধ্যে এমন তদন্তে দুর্নীতিবিরোধী ইউনিট কোনো তথ্য বা নথি চেয়ে অনুরোধ জানালে সেটি যথাযথ ও সম্পূর্ণভাবে প্রদানে ব্যর্থ হওয়ার ব্যাপারটিও অন্তর্ভুক্ত।
কাশ্যপের বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগ, তিনি ২.৪.৭ নম্বর ধারাও ভঙ্গ করেছেন। এর মধ্যে আছে সম্ভাব্য ঘটিত দুর্নীতির তদন্তে বাধা দেওয়া বা বিলম্বিত করা, এমন তদন্তে সংশ্লিষ্ট কোনো নথি বা তথ্য গোপন, বিকৃত বা বিনষ্ট করা যেগুলো দুর্নীতির প্রমাণ হতে পারে অথবা দুর্নীতির প্রমাণ আবিষ্কারের পথ দেখাতে পারে।
কাশ্যপকে এসব অভিযোগের ব্যাপারে উত্তর দিতে দুর্নীতিবিরোধী কোডের ৪.৬.৬ ধারা অনুযায়ী ১৪ দিন সময় দিয়েছে আইসিসি। যে ১৪ দিন শুরু হবে ১৯ মে থেকে। এ ব্যাপারে এখন আর কিছু জানাবে না, এমনও উল্লেখ করেছে আইসিসি।