ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই মুজিব উর রেহমানকে চার বলের মধ্যে তিনটি চার মারেন লিটন দাস। পরের ওভারে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজকে দারুণ সুইপে আরও একটি। প্রথম ১১ বলে ২১ রান তুলে ফেলা লিটন পরে আর না পেরেছেন রানের গতি ধরে রাখতে, না পেরেছেন ইনিংস বড় করতেও।
ইনিংস বড় করার সুযোগ ছিল সাকিব আল হাসানের সামনেও। টানা দুই বলে আউট হতে হতেও বেঁচেছেন, কিন্তু তিনিও থেমেছেন অল্পতেই।
বাংলাদেশের দুই তারকা ক্রিকেটারের ভালো শুরু কাজে লাগাতে না পারার দিনে জিততে পারেনি গল টাইটানসও। লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের (এলপিএল) দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে বি-লাভ ক্যান্ডির কাছে হেরে গেছে ৩৪ রানে।
প্রথমে ব্যাট করে ক্যান্ডি তোলে ৭ উইকেটে ১৫৭ রান। তাড়া করতে নেমে সাকিবদের দল আটকে যায় ৮ উইকেটে ১২৩ রানে।
কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামের ম্যাচটিতে বল হাতে সাকিব ছন্দেই ছিলেন। আগের ম্যাচে ৩.৪ ওভারে মাত্র ৮ রানে নিয়েছিলেন ১ উইকেট। এবার কিপটে বোলিং না করলেও ক্যান্ডির রানের গতি আটকানোয় ভালো ভূমিকাই রেখেছেন।
বোলিং করতে গিয়ে প্রথম ওভারেই ১ রান স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন সাহান আরাচচিগেকে। শেষ পর্যন্ত ৪ ওভারের বোলিং কোটা শেষ করেন ২৪ রান খরচে। ক্যান্ডির হয়ে অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ৪৮ ও দিনেশ চান্ডিমাল ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন।
রান তাড়ায় লিটন দাস লাসিথ ক্রুসপুলের সঙ্গে নেমে প্রথম তিন ওভারেই তুলে ফেলেন ৩৫ রান, যার মধ্যে লিটনের একার রানই ১৩ বলে ২৪। কিন্তু ইনিংসের পঞ্চম ওভারে চতুরঙ্গ ডি সিলভাকে স্টাম্প ছেড়ে দিয়ে সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হন বাংলাদেশের ডানহাতি ওপেনার। মুজিবকে তিন চার মারা ইনিংস থামে ১৯ বলে ২৫ রানে।
সাকিব ব্যাটিংয়ে নামেন গল টাইটানসের তৃতীয় উইকেট পতনের পর। মুজিবকে দারুণ এক চার মেরে চমৎকার ইনিংসের ইঙ্গিতও দেন। এমনকি আরাচচিগের ওভারে টানা দুই বলে আউটের হাত থেকেও বাঁচেন। প্রথমবার আম্পায়ার্সের কলের সুবিধায় এলবিডব্লু থেকে, পরেরবার আসেন বান্দারার হাতে ক্যাচ থেকে।
ওই আরাচচিগের পরের ওভারের প্রথম বলেই উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিডউইকেটে মোহাম্মদ হারিসকে সহজ ক্যাচ দেন সাকিব। ফেরেন ১৫ বলে ১৭ রান করে।
এরপর গল টাইটানসের অন্য কোনো ব্যাটসম্যানও আর হাল ধরতে পারেননি। ৬ নম্বরে নামা সোনাল দিনুশার ২৮ রানের ইনিংস শুধু ব্যবধানই কমাতে পেরেছে।
আগামীকাল টুর্নামেন্টের ফাইনালে বি-লাভ ক্যান্ডির প্রতিপক্ষ ডাম্বুলা অরা।