ম্যাচ শেষে দুই দলের খেলোয়াড়দের শুভেচ্ছা বিনিময়
ম্যাচ শেষে দুই দলের খেলোয়াড়দের শুভেচ্ছা বিনিময়

রোমাঞ্চ ছড়িয়ে হারল নাসিরদের ঢাকা

বিপিএলে প্লে–অফের সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখতে ঢাকা ডমিনেটরসকে জিততেই হতো। ওদিকে প্রতিপক্ষ রংপুর রাইডার্স জিতলেই প্লে–অফ নিশ্চিত। পয়েন্ট তালিকার এসব সমীকরণের প্রতিফলন দেখা গেল না দুই দলের মাঠের খেলায়। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ব্যাটিং–সহায়ক উইকেটে ঢাকাকে মাত্র ৮ উইকেটে ১৩০ রানে বেঁধে রাখে রংপুর। অধিনায়ক নুরুল হাসানের ৩৩ বলে ৬১ রানের বিস্ফোরক ইনিংসের পরও জয়ের জন্য শেষ ওভার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে রংপুরকে। শেষ পর্যন্ত ৩ বল বাকি থাকতে ২ উইকেটের জয়ে চতুর্থ দল হিসেবে প্লে–অফ নিশ্চিত করেছে নুরুলের দল। খুলনা টাইগার্সের পর বিপিএলের প্লে–অফের দৌড় থেকে ছিটকে গেছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৬১ রান করেছেন নুরুল হাসান

রান তাড়ায় রংপুরকে শরীফুল ইসলামের নতুন বলে সুইং সামলাতে হয়েছে। ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ও মেহেদী হাসানকে দুর্দান্ত ডেলিভারিতে আউট করেন তিনি। এরপর ম্যাচটা নিয়ন্ত্রণ করছিলেন নুরুল একাই। ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৬১ রান করেছেন। এবারের বিপিএলে নুরুলের প্রথম ফিফটি পাওয়া ইনিংসটি থেমেছে শরীফুলের বলে। নুরুল আউট হওয়ার পরও জয়ের জন্য ২৯ রান দরকার ছিল রংপুরের। সে রান করতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে আরও ৫ উইকেট হারিয়েছে দলটি। এর মধ্যে চারটিই নিয়েছেন নাসির হোসেন।

২০ রানে ৪ উইকেট নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি নাসির

পুরো বিপিএলে টপ অর্ডার থেকে ধারাবাহিকভাবে রান পায়নি ঢাকা। সিলেটে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে সে রান খরা কাটিয়ে ওঠে। সেদিন সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ মিঠুন উদ্বোধনে ৭৪ রান যোগ করলে শক্তিশালী বরিশালকে হারায় ঢাকা। কিন্তু আজ রংপুরের বিপক্ষে সেটি করতে দেননি আজমতউল্লাহ ওমরজাই। সুইং ও সিম মুভমেন্টে ঢাকার টপ অর্ডারকে নাজেহাল করেছেন এই আফগান পেসার। ইনিংসের ৩ ওভারের মধ্যে নাসির হোসেন ও সৌম্যকে আউট করেন তিনি। ঢাকার কপালও খারাপ।

সে ধাক্কাটা আর সামলে উঠতে পারেনি ঢাকা। আবদুল্লাহ আল মামুন ২৩ ও আরিফুল হক ২৯ রান করলে দলের রান শুধু সম্মানজনক অবস্থানেই যায়।