অবিশ্বাস্য এক ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে ভারত উড়িয়ে দিয়েছে বললেও কম হবে। ৫০ রানেই অলআউট করে দেওয়ার পর ভারত জিতেছে ১০ উইকেটে। শ্রীলঙ্কার ধ্বংসযজ্ঞে মূল ভূমিকা মোহাম্মদ সিরাজের, এ পেসার নিয়েছেন ৬ উইকেট। কলম্বোয় ভেঙেছে যত রেকর্ড—
ওয়ানডেতে ভারতের চতুর্থ সেরা বোলিং।
এশিয়া কাপে ভারতের সেরা বোলিং।
এশিয়া কাপে সব মিলিয়ে দ্বিতীয় সেরা, ২০০৮ সালে করাচিতে ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে ১৩ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন অজন্তা মেন্ডিস।
১৬ বলের মধ্যে প্রথম ৫ উইকেট নিয়েছেন সিরাজ। বল বাই বল তথ্য রাখা শুরু করার পর যেটি যৌথভাবে দ্রুততম। ২০০৩ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে চামিন্ডা ভাস ৫ উইকেট নিয়েছিলেন ১৬ বলের মধ্যেই। এ বছরের এপ্রিলে তৃতীয় বোলার হিসেবে ১৬ বলে ৫ উইকেট নেন যুক্তরাষ্ট্রের আলী খান। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্লে-অফে জার্সির বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েন মার্কিন পেসার।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারে সিরাজ নেন ৪ উইকেট। ১ ওভারে কোনো বোলারের ৪ উইকেট নেওয়ার এটি চতুর্থ ঘটনা। এর আগে এমন কীর্তি আছে চামিন্ডা ভাস (বিপক্ষ বাংলাদেশ ২০০৩), মোহাম্মদ সামি (বিপক্ষ নিউজিল্যান্ড ২০০৩) ও আদিল রশিদের (বিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০১৯)। সব মিলিয়ে ১ ওভারে কোনো দলের ৪ উইকেট পড়ার দশম ঘটনা এটি।
সিরাজের ৬ উইকেটের সঙ্গে পান্ডিয়া নিয়েছেন ৩টি, বুমরা ১টি। ভারতের ইতিহাসে কোনো ওয়ানডেতে মাত্র সপ্তমবার এক ইনিংসে পেসাররা নিলেন ১০ উইকেট। এশিয়া কাপে এবারই প্রথম।
৮/৪
এশিয়া কাপে সবচেয়ে কম রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলার যৌথ রেকর্ড। ১৯৮৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই ঢাকায় বাংলাদেশ ৪ উইকেট হারিয়েছিল ৮ রানে।
৫/১২
শ্রীলঙ্কা এত কম রানে এর আগে ৫ উইকেট হারিয়েছে একবারই। ২০০৯ সালে মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে—৬ রানে।
৬/১২
এর আগে এত কম রানে ৬ উইকেট হারায়নি শ্রীলঙ্কা। তালিকায় তারা যৌথভাবে দ্বিতীয়। প্রথম দুটি নামই কানাডা। ২০০৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই ১২ রানে ৬ উইকেট হারিয়েছিল তারা। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ২০১৩ সালে ১০ রানে হারিয়েছিল ৬ উইকেট।
৫০ অলআউট
এশিয়া কাপে কোনো দলের এটিই সর্বনিম্ন স্কোর। এত দিন সে রেকর্ডটি ছিল বাংলাদেশের। ২০০০ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ গুটিয়ে গিয়েছিল ৮৭ রানেই। এশিয়া কাপের ফাইনালে এর আগের সর্বনিম্ন স্কোরটি ছিল ১৭৩ রানের। কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে এর আগে সর্বনিম্ন ৫৪ রানে গুটিয়ে যাওয়ার রেকর্ডটি ছিল ভারতের, ২০০০ সালে শারজা চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে। প্রতিপক্ষ? শ্রীলঙ্কা!
দেশের মাটিতে সবচেয়ে কম রানে অলআউট হয়ে যাওয়ার তালিকায় শ্রীলঙ্কার ৫০ এখন দুইয়ে। তাদের ওপর জিম্বাবুয়ের ৩৫। ২০০৪ সালে হারারেতে শ্রীলঙ্কার কাছেই নাকানিচুবানি খেয়েছিল জিম্বাবুয়ে।
ফাইনালে শ্রীলঙ্কার (১৫.২) চেয়ে কম ওভার ব্যাটিং করে অলআউট হয়ে যাওয়ার ঘটনা আছে ৪টি।
২৬৩ বল বাকি রেখে জিতেছে ভারত। এর চেয়ে বেশি বল বাকি রেখে জয়ের ঘটনা আছে আর ৫টি। তবে ১০ উইকেটে জয়ের ম্যাচে এর চেয়ে বেশি বল বাকি রেখে জয়ের ঘটনা আর একটিই—২০০৭ সালে কুইন্সটাউনে বাংলাদেশের দেওয়া ৯৫ রানের লক্ষ্য নিউজিল্যান্ড পেরিয়ে গিয়েছিল ২৬৪ বল ও ১০ উইকেট বাকি রেখে।
ওয়ানডেতে কোনো টুর্নামেন্ট ফাইনালে এত বল বাকি রেখে জয়ের ঘটনা নেই আর কোনো। ভারতেরও ওয়ানডেতে এটি সবচেয়ে বেশি বল বাকি রেখে জয়ের রেকর্ড।