ওয়েস্ট ইন্ডিজ–জিম্বাবুয়েকে বিদায় করে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের অঘোষিত ‘ফাইনালে’ মুখোমুখি হয়েছিল নেদারল্যান্ডস ও স্কটল্যান্ড। তবে ওয়ানডে বিশ্বকাপে যাওয়ার শেষ ধাপটা অবশ্য পেরোতে পারল না স্কটল্যান্ড। স্কটল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে আগামী অক্টোবরে ভারতে হতে যাওয়া বিশ্বকাপের টিকিট পেল নেদারল্যান্ডস।
পুরো টুর্নামেন্ট ডাচরা যে একাগ্রতা ও দলীয় ঐক্যের শক্তি নিয়ে খেলেছে, সেটির দেখা মিলেছে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচেও। বিশ্বকাপে যেতে যে ম্যাচটি ৪৪ ওভারের মধ্যে জিততে হতো, সেটি তারা জিতেছে ৪২.৫ ওভারে। স্কটিশদের দেওয়া ২৭৮ রানের লক্ষ্য তারা টপকে গেছে ৪৩ বল হাতে রেখেই।
ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে টস জিতে স্কটল্যান্ডকে আগে ব্যাট করতে পাঠায় নেদারল্যান্ডস। প্রথম ওভারেই ম্যাথিউ ক্রসকে ফিরিয়ে স্কটিশ শিবিরে ধাক্কা দেন লোগান ফন বিক। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে ৪৫ রানের জুটি গড়েন ক্রিস্টোফার ম্যাকব্রাইড ও ব্রেন্ডন ম্যাকমুলেন। দলীয় ৪৬ রানে ম্যাকব্রাইড (৩২) ফিরে যান ডি লিডির বলে। দ্রুতই আউট হয়ে ফেরন জর্জ মানসিও।
তবে প্রান্ত আগলে দলকে টেনে নেন ম্যাকমুলেন ও রিচি বেরিংটন। এ দুজনের ১৩৫ বলে ১৩৭ রানে জুটিতেই বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে স্কটল্যান্ড। এর মাঝেই সেঞ্চুরি তুলে নেন ম্যাকমুলেন (১১০ বলে ১০৬ রান)। ৬৪ রান আসে বেরিংটনের ব্যাট থেকে। শেষ দিকে টমাস ম্যাকিনটশের ২৮ বলে ৩৮ রানের ঝড়ো ইনিংসে ৯ উইকেটে ২৭৭ রান সংগ্রহ করে স্কটিশরা।
জবাবে ৬৫ রানের জুটিতে নেদারল্যান্ডসকে জয়ের ভিত গড়ে দেন বিক্রমজিৎ সিং (৪০) ও ম্যাক্স ও’ডাউড (২০)। তবে দলীয় ৭২ রানের মধ্যে ফিরে যান এ দুজন। ডি লিডি এক প্রান্ত আগলে রাখলেও অন্য প্রান্তে দ্রুত রান তুলতে গিয়ে নিয়মিত উইকেট পড়ায় কিছুটা চাপে ছিল নেদারল্যান্ডস।
১৬৩ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারায় তারা। এরপর অবশ্য বিপদ আর বাড়তে দেননি ডি লিডি। ব্যক্তিগত ১২৩ রানে তিনি যখন রান আউট হয়ে ফেরেন, জয় থেকে মাত্র ২ রান দূরে নেদারল্যান্ডস। জয়ের সময় ৩৩ রানে অপরাজিত ছিলেন সাকিব জুলফিকার।
ম্যাচ শেষে জয়ের নায়ক ডি লিডি বলেছেন, ‘এটা দারুণ। এই অনুভূতি ব্যাখ্যা করা যায় না। আজ দারুণ পার্টি করব আমরা।’