এক দলের খেলোয়াড়ের প্রতি অন্য দলের কারও মুগ্ধতা থাকা নতুন কিছু নয়। বিভিন্ন সময়ে ও উপলক্ষে সেটা প্রকাশও পায়। তবে ঋষভ পন্তকে নিয়ে মিচেল মার্শ যা বলেছেন, তাতে মুগ্ধতার চেয়েও যেন বেশি কিছু আছে। অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক অনেকটা আক্ষেপের সুরেই বলেছেন, পন্ত যদি অস্ট্রেলিয়ান হতেন!
২৬ বছর বয়সী পন্তকে সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম প্রতিভাবান ক্রিকেটার মনে করেন অনেকে। মাঝে দুর্ঘটনায় আহত হয়ে এক বছরের বেশি সময় খেলার বাইরে থাকলেও এ বছর মাঠে ফিরেই দারুণ ছন্দে আছেন পন্ত। এরই মধ্যে বাংলাদেশের বিপক্ষে চেন্নাইয়ে প্রথম ম্যাচ দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে ফেরাটা স্মরণীর করে তুলেছেন।
পন্তকে নিয়ে মার্শ কথা বলেছেন স্টার স্পোর্টসের সঙ্গে। ভারতীয় সম্প্রচার প্রতিষ্ঠানটিতে আসন্ন ভারত-অস্ট্রেলিয়ার বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি নিয়ে আলোচনা চলছিল। অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার মার্শ ভারতের উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান পন্তের বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, ‘সে অসাধারণ একজন মানুষ। আমার তো মনে হয়, সে যদি অস্ট্রেলিয়ান হতো! গত কয়েক বছরে সে অনেক কিছুর মধ্য দিয়ে গেছে। তার ফেরাটাও হয়েছে দুর্দান্ত।’
বাংলাদেশের বিপক্ষে চেন্নাই টেস্টে নামার আগে পন্ত সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিলেন ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। ঢাকায় বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলে ভারতের ফেরার কয়েক দিন পরই ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় পড়েন, যার জেরে ক্রিকেট ক্যারিয়ার নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল।
চলতি বছরের মার্চে আইপিএল দিয়ে মাঠে ফেরেন তিনি। এরপর জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলে এই সেপ্টেম্বরে ফেরেন টেস্টে। চেন্নাইয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৯ রান করা এই বাঁহাতির বিষয়ে মার্শের পরের বক্তব্যটা এ রকম, ‘সে ইতিবাচক মানুষ। এখনো বয়স কম। সব সময় জিততে চায়। যারা একটু ধীরলয়ে থাকতে চায়, তাদের জন্য বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক। সব সময়ই হাসে, বন্ধুবৎসল।’
২০১৮ সালে টেস্টে পা রাখা পন্ত এখন পর্যন্ত এই সংস্করণে খেলেছেন ৩৪ ম্যাচ, যেখানে ৭৪.১১ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ২৪১৯ রান। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৭ টেস্টে ৭২.১৩ স্ট্রাইক রেটে ৬২৪ রান। সামনে আবারও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ ভারতের।
নভেম্বরে পার্থ টেস্ট দিয়ে শুরু হবে দুই দলের পাঁচ টেস্টের সেই সিরিজ। এর আগে পন্তের প্রশংসা করে স্টার স্পোর্টসকে অস্ট্রেলিয়ার আরেক ক্রিকেটার ট্রাভিস হেড বলেন, ‘ভারতের যে ক্রিকেটারকে সবচেয়ে বেশি অস্ট্রেলিয়ান মনে হয়, সেটা হচ্ছে পন্ত। সে যে আক্রমণাত্মক ধারায় খেলে এবং কর্মনিষ্ঠা যে পর্যায়ের, ওর খেলা দেখাটা উপভোগ্য হয়ে ওঠে।’