চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের লক্ষ্য ৫১৩ রান
চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের লক্ষ্য ৫১৩ রান

বলছেন মেহেদী হাসান মিরাজ

‘হয় আমরা জিতব, না হয় ওরা জিতবে’

‘আজ সব উত্তর এক লাইনে দেব,’ জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলনকক্ষে এসেই মেহেদী হাসান মিরাজ কথাটা বললেন। চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশ দলের যে অবস্থা, তাতে দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা মিরাজের হয়তো বেশি কিছু বলার নেই।
ভারত তাদের প্রথম ইনিংসে ৪০৪ রান করার পর আজ সকালে বাংলাদেশকে ১৫০ রানে অলআউট করেছে। ২৫৪ রানে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশকে চাইলে আবার ব্যাটিংয়ে পাঠাতে পারত ভারত। কিন্তু ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করে বাংলাদেশকে আরও বড় রানের চাপে ফেলেছে।

দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণার আগে তারা করেছে ২ উইকেটে ২৫৮ রান। বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫১৩ রান। আজ শেষ বেলায় বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪২ রান করেছে জাকির হাসান ও নাজমুল হোসেনের উদ্বোধনী জুটি। জয় থেকে ৪৭১ রানে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশ চতুর্থ দিন খেলাটাকে কত দূর নিয়ে যায়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

এমন অবস্থায় বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং পরিকল্পনা কী হওয়া উচিত, সে প্রশ্নের উত্তরে মিরাজ বলেছেন, ‘ওই রকম পরিকল্পনা ঠিক করা যাবে না। কারণ, এখনো দুই দিন বাকি। রানও অনেক। আমার কাছে মনে হয়, ব্যাটসম্যানদের খেলতে থাকতে হবে। অবশ্যই এই ম্যাচে ফল আসবে। হয় আমরা জিতব, না হয় ওরা জিতবে। একটা জিনিস হলো, ব্যাটসম্যানদের দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে।’

শেষ বিকেলে বিপদ ঘটতে দেয়নি জাকির হাসান ও নাজমুল হোসেন

এই ব্যাটিং অর্ডারই ভারতীয় বোলিংয়ের সামনে ১৫০ রানে মুখ থুবড়ে পড়েছে। প্রথম ইনিংসের ভুলগুলো থেকে শিখতে পারলে দ্বিতীয় ইনিংসটা ভালো হবে বলে আশা মিরাজের, ‘আমাদের পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করাটা খুব জরুরি। ভালো সিদ্ধান্ত নেওয়া, পরিষ্কার মানসিকতা নিয়ে খেলা খুব জরুরি। আমার মনে হয়, ব্যাটসম্যানরা বুঝতে পেরেছে আমাদের কোথায় কমতি আছে, প্রথম ইনিংসে আমরা কীভাবে আউট হয়েছি। আমি আশা করি, ভালো একটা খেলা হবে, হার-জিত তো অনেক পরের ব্যাপার। এখনো দুই দিন বাকি আছে। আমি আশা করি, আমাদের ব্যাটসম্যানরা ভালো খেলবে।’

মিরাজ অন্ধকারে জোনাকির আলো খুঁজে পাওয়ার আশাও করছেন। তাঁকে অনুপ্রাণিত করছে সাগরিকা স্টেডিয়ামের অতীত রেকর্ড। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩৯৫ রান তাড়া করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কাইল মেয়ার্স সে ম্যাচে ২১০ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলেছেন।

আজ মিরাজ সে উদাহরণ টেনেই বললেন, ‘চট্টগ্রামে কিন্তু শেষ দিনে উইকেট অনেক ভালো হয়, আমরা একটা হেরেছি। তবে টেস্ট ক্রিকেটে সবই হতে পারে। এক দিনে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। খেলতে থাকতে হবে। চ্যালেঞ্জ অবশ্যই অনেক বড়। তবে সবার জন্য সুযোগ, আমাদের ব্যাটসম্যান যারা আছে, লম্বা ইনিংস খেলতে পারবে। এ রকম একটা ম্যাচ ভালো খেলতে পারলে আত্মবিশ্বাস অনেক ভালো থাকবে।’

পুরো বোলিং শক্তি নিয়ে খেললে হয়তো বাংলাদেশকে এত বড় রানের চাপে পড়তে হতো না। সাকিব আল হাসান পাঁজরের ব্যথার কারণে দ্বিতীয় ইনিংসে এক ওভারও বল করেননি। পিঠের ব্যথার কারণে বোলিং করছেন না ইবাদত হোসেনও। আজ কার্যত তিন বোলার নিয়ে খেলতে হয়েছে বাংলাদেশকে।

মিরাজকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেছেন, ‘সাকিব ভাইয়ের ব্যথা, ব্যথা নিয়ে কীভাবে বোলিং করবে।’ ইবাদতের চোটের প্রসঙ্গে মিরাজ জানান, ‘ও হালকা ব্যথা পেয়েছে। এখন ভালো আছে। বড় কোনো চোট নয়। হয়তো ইবাদত থাকলে আরেকটু আঁটসাঁট বোলিং করা যেত।’