বিশ্বকাপ অভিযানে সেমিফাইনালের আগেই ছিটকে পড়ার পর পাকিস্তান জাতীয় দলের নেতৃত্বে পরিবর্তন এসেছে। টেস্ট দলের অধিনায়ক হয়েছেন শান মাসুদ। টি–টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব পেয়েছেন শাহিন আফ্রিদি। ওয়ানডে দলের অধিনায়ক হিসেবে এখনো কারও নাম ঘোষণা করেনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। এই পরিবর্তনগুলো এসেছে বাবর আজম তিন সংস্করণের অধিনায়ক হিসেবে সরে দাঁড়ানোর পর।
এর প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি জানিয়েছেন, তাঁর জামাতা শাহিন আফ্রিদিকে অধিনায়ক বানানোর ব্যাপারে কোনো সুপারিশ কিংবা ওকালতি তিনি করেননি। বরং আপাতত বাঁহাতি এ পেসারকে অধিনায়কত্ব থেকে দূরে রাখার পক্ষে ছিলেন তিনি।
শাহিনের অধিনায়ক হওয়ায় শহীদ আফ্রিদি পেছন থেকে কলকাঠি নেড়েছেন—এমন কোনো বিতর্কও সংবাদমাধ্যম কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে দেখা যায়নি। তবে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘ক্রিকেট পাকিস্তান’ শুধু এটুকু জানিয়েছে, আশপাশ থেকে এ নিয়ে ধেয়ে আসা গুঞ্জন থামাতে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে শাহিনের নেতৃত্ব নিয়ে কথা বলেছেন শ্বশুর শহীদ আফ্রিদি, ‘আমি সব সময় মোহাম্মদ রিজওয়ানের (অধিনায়ক হওয়ার) পক্ষে ছিলাম। শপথ করে বলছি, শাহিনকে অধিনায়ক বানানোর চেষ্টায় কারও সঙ্গে কথা বলিনি কিংবা কোনো রকম তদবিরও করিনি। আমি এসবের সঙ্গে জড়িত নই। এসব করার দরকারও নেই আমার, আর এগুলো পছন্দও করি না।’
আফ্রিদি বরং উল্টোটা দাবি করে বলেছেন, ‘আমি বলেছি বাবরকে অধিনায়কত্ব থেকে সরানো ঠিক হবে না। শাহিনকে অধিনায়কত্ব থেকে দূরে রাখতে চেয়েছি। তবে এটা ঘটতই; অধিনায়কদের কপালে শেষ পর্যন্ত এটাই হয়।’
শহীদ আফ্রিদির মেয়ে আনশা আফ্রিদিকে গত সেপ্টেম্বরে বিয়ে করেন শাহিন আফ্রিদি। পাকিস্তানের টি–টোয়েন্টি অধিনায়ক হওয়ার আগে পিএসএলে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। ২০২২ ও ২০২৩ সালে তাঁর নেতৃত্বেই পিএসএল জিতেছে লাহোর কালান্দার্স।
এবারের বিশ্বকাপে শাহিন ১৮ উইকেট নিলেও দল হিসেবে ভালো করতে পারেনি পাকিস্তান। লিগ পর্বে ৯ ম্যাচের মধ্যে ৪ জয় ও ৫ হারে পয়েন্ট তালিকায় পঞ্চম স্থান নিয়ে বিশ্বকাপ শেষ করেছে বাবর আজমের দল। অধিনায়ক হিসেবে বাবর নিজেও সমালোচিত হন। বিশ্বকাপের সময়ই গুঞ্জন উঠেছিল, টুর্নামেন্ট শেষে বাবরকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। বাবর নিজেই সরে দাঁড়ানোয় সেই পথে আর হাঁটতে হয়নি পিসিবিকে।