বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে কীভাবে মূল্যায়ন করেন, তা সবার জানা। দ্বিস্তরবিশিষ্ট নির্বাচক কমিটি করার প্রতিবাদে ২০১৬ সালে প্রধান নির্বাচকের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর থেকেই ফারুক আহমেদের প্রায় প্রতিটি সাক্ষাৎকারে ‘কমন’ জিনিস ছিল হাথুরুসিংহের সমালোচনা।
সেসবের যৌক্তিক ভিত্তিও ছিল। বোর্ডপ্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার পরও অবস্থান বদলাননি ফারুক আহমেদ। ২১ আগস্ট বিসিবির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনেও তিনি বলেছেন, ‘আমি আসলে ওই স্ট্যান্ড থেকে সরিনি।’
ফারুক আহমেদের সেই মন্তব্যের পর হাথুরুসিংহের অধীনই বাংলাদেশ দল পাকিস্তানকে প্রথমবারের মতো টেস্টে হারিয়েছে। আজ রাওয়ালপিন্ডিতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট–পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে আসা হাথুরুসিংহেকে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। বাংলাদেশ দলের কোচ হিসেবে এটাই তাঁর শেষ ম্যাচ কি না, এই আলোচনা তো আছেই।
হাথুরুসিংহে বিষয়টিকে দেখছেন পেশাদারি দৃষ্টিতে, ‘নতুন নেতৃত্ব ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আসবে, এটা আমি বুঝি।’ পাকিস্তান সফর শেষে ঢাকায় ফিরে বোর্ডের সঙ্গে বসে কথা বলার অপেক্ষায় আছেন তিনি, ‘আমি তাদের সঙ্গে কথা বলার অপেক্ষায় আছি।’
পেশাদার কোচের যেমন বলার কথা, তেমনই বলেছেন। নিজের ভবিষ্যৎ নয়, আপাতত তাঁর সব মনোযোগ মাঠের ক্রিকেটে, ‘আমার কাজ হচ্ছে দলকে যতটা ভালোভাবে সম্ভব প্রস্তুত করা। আমরা কয়েক মাস ধরে কঠোর পরিশ্রম করেছি। এখনো ভিন্ন কিছু করছি না। এখন আমাদের সব মনোযোগ পরের ম্যাচে।’
পরের ম্যাচ মানে আগামীকাল শুরু পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট। প্রথম টেস্টে ১০ উইকেটের দারুণ এক জয়ে সিরিজে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। এই টেস্ট জিততে বা ড্র করতে পারলেই পাকিস্তানের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জেতার ইতিহাস হয়ে যাবে। সেটি হলে কে জানে, হাথুরুসিংহেকে নিয়ে ফারুক আহমেদ অন্য রকম কোনো চিন্তা করলেও করতে পারেন।