নন-স্ট্রাইক প্রান্তে রানআউট (মানকাডিং) না করে শ্রীলঙ্কা ব্যাটসম্যান কুশল পেরেরাকে দুবার সতর্ক করেছেন অস্ট্রেলিয়া ফাস্ট বোলার মিচেল স্টার্ক। বিশ্বকাপে লক্ষ্ণৌতে গ্রুপ পর্বের আজকের ম্যাচের ঘটনা এটি।
আগে ব্যাটিং করা শ্রীলঙ্কার ইনিংসের প্রথম ওভারেই ঘটে প্রথম ঘটনাটি। চতুর্থ বল করার আগে বোলিং স্ট্রাইকে গিয়ে ডেলিভারি না করেই থেমে যান স্টার্ক। সে সময়ই ক্রিজের বাইরে যাওয়া পেরেরাকে বেশ উচ্চ স্বরেই সতর্ক করেছেন বলে মনে হয়েছে। পরের ঘটনাটি পঞ্চম ওভারে। এ ক্ষেত্রেও ব্যাটসম্যান ছিলেন পেরেরাই। অবশ্য পরেরবার স্টার্ক যখন থেমে যান, তখনো ক্রিজের ভেতরেই ছিল পেরেরার ব্যাট।
শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া অধিনায়কের দারুণ এক ডেলিভারিতে থামে পেরেরার ৮২ বলে ৭৮ রানের ইনিংস।
‘মানকাডিং’ নামে পরিচিত এ রানআউট ক্রিকেটে বেশ বিতর্কিতই। আইন অনুযায়ী, এ আউটে কোনো বাধা না থাকলেও বরাবরই বিতর্ক তৈরি করে আসছে এটি। অবশ্য এর আগেও ব্যাটসম্যানদের এমন আউট না করে সতর্ক করার ঘটনা আছে স্টার্কের।
গত বছর দুবার এমন করেছিলেন স্টার্ক। প্রথমবার টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলারকে এমন সতর্ক করেন স্টার্ক। অবশ্য বাটলার বলেছিলেন, তিনি ক্রিজ ছেড়ে আগেভাগেই বেরিয়ে গিয়েছিলেন বলে মনে করেন না।
এরপর গত ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মেলবোর্ন টেস্টে থিউনিস ডি ব্রুইনাকে সতর্ক করেন স্টার্ক। ‘ক্রিজে থাকো, এমন কঠিন কিছু না এটি’—স্টাম্প মাইক্রোফোনে স্টার্ককে বলতে শোনা যায় এটি।
ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত পাঁচবার এমন আউটের ঘটনা আছে। সর্বশেষ আফগানিস্তান পেসার ফজল হক ফারুকি এভাবে নন–স্ট্রাইক প্রান্তে রানআউট করেন পাকিস্তানের শাদাব খানকে। বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে ইশ সোধিকে রানআউট করেছিলেন বাংলাদেশ পেসার হাসান মাহমুদ। যদিও পরে সে ম্যাচে অধিনায়কত্ব করা লিটন দাস আবেদন তুলে নিয়ে সোধিকে ডেকে পাঠান।