ব্যাট হাতে আজও ব্যর্থ ছিলেন বাবর
ব্যাট হাতে আজও ব্যর্থ ছিলেন বাবর

বলছেন বাবর

রান তাড়ায় আগে এর চেয়ে ভালো ছিলাম

ভারতের কাছে হেরে শুরু, পরের ম্যাচেই কপালে জুটেছে জিম্বাবুয়ের কাছে হারের লজ্জা। যে হারে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ–স্বপ্নই শঙ্কার মুখে পড়েছিল। শুধু বাকি থাকা ম্যাচগুলো জিতলেই হবে না, অন্য ম্যাচের ফলের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে—পাকিস্তানের সামনে সমীকরণটা ছিল এমন। সে কঠিন সমীকরণ মেলানোর প্রথম কাজটা ঠিকঠাকভাবেই করেছে বাবর আজমের দল। পার্থে পাকিস্তান নেদারল্যান্ডসকে হারিয়েছে ৬ উইকেটে।

টস জিতে আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে মাত্র ৯১ রানে থামে নেদারল্যান্ডস। এটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে পুরো ২০ ওভার ব্যাট করে কোনো দলের সর্বনিম্ন সংগ্রহ। তাই বোলারদের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। তবে মাত্র ৯২ রান তাড়া করতে নেমে ব্যাটসম্যানদের খেলতে হয়েছে প্রায় ১৪ ওভার। উইকেট পড়েছে ৪টি।

গ্রুপ ২-এ নেদারল্যান্ডস ছাড়া বাকি সব দলের সামনেই আছে সেমিফাইনাল খেলার সম্ভাবনা। তাই শেষে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে রানরেট। ডাচদের তুলনামূলক দুর্বল বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে রানরেট বাড়ানোর সুযোগ ছিল বাবর আজমদের সামনে। যদিও সেই কাজটা করতে পারেনি পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা।

দ্রুত রান তুলতে পারেনি রিজওয়ান–ফখর

তাই ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ জয়ের আনন্দ প্রকাশের সঙ্গেও হতাশাও ঝরেছে বাবরের কণ্ঠে, ‘জিতলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। তবে আমরা এর রান তাড়ায় এর চেয়ে ভালো ছিলাম। এই ম্যাচের ইতিবাচক দিকগুলো সামনের ম্যাচে কাজে লাগবে।’

চোট থেকে ফিরেই বিশ্বকাপ খেলা শাহিন শাহ আফ্রিদি নিজের সেরা ছন্দ খুঁজে পাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন এই ম্যাচে; ১৯ রানে নিয়েছেন ১ উইকেট। যদিও সব আলো নিজের দিকে কেড়ে নিয়েছেন লেগ স্পিনার শাদাব খান। পাকিস্তানি লেগ স্পিনারের ঘূর্ণিতে রীতিমতো হাঁসফাঁস করছিল ডাচ ব্যাটসম্যানরা। ২২ রানে ৩ উইকেট নিয়ে তিনিই হয়েছেন ম্যাচসেরা।

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে স্টাম্পে বল করেই সফল হয়েছেন শাদাব। সঙ্গে কাজে লেগেছে তাদের বিপক্ষে আগে খেলার অভিজ্ঞতা, ‘উইকেটটা ভালো ছিল। আমি শুধু স্টাম্পে বল করার চেষ্টা করেছি। গত নেদারল্যান্ডস সফরে ও কাউন্টি ক্রিকেটে এদের বিপক্ষে বল করার অভিজ্ঞতা কাজে লেগেছে।’