খেলাটা যখন বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার, তখন অন্য রকম দ্বৈরথ কাজ করে। সেটা হয়তো বিশ্ব ক্রিকেটের আকাশ স্পর্শ করে না, কিন্তু দুই দেশের ক্রিকেটের সমর্থকদের মধ্যে ম্যাচটা বরাবরই রোমাঞ্চের জন্ম দেয়। আর খেলাটা যদি হয় এশিয়া কাপের মঞ্চে, তাহলে তো কথাই নেই।
বাংলাদেশ দল ৩০ আগস্ট শুরু হতে যাওয়া এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচটা খেলবে সেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। গ্রুপ পর্বের পরের ম্যাচটাও চেনা প্রতিপক্ষ আফগানিস্তানের বিপক্ষে। গত মাসেই ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন সংস্করণের সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ দল। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যাঁরা ম্যাচটা খেলবেন, সেই খেলোয়াড়দের এই দ্বৈরথ স্পর্শ করছে না। তাঁদের মনোযোগ মাঠের ক্রিকেটে।
বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের যেমন দ্বৈরথ শব্দটাই অপছন্দ। আজ এশিয়া কাপ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সাকিব বলেছেন, ‘এই শব্দটা আমার খুব বেশি ভালো লাগে না। এটা আসলে দর্শকদের জন্য ভালো, ক্রিকেটের জন্য ভালো। ক্রিকেটারদের জন্য…যেহেতু ক্রিকেটাররা সবাই সবাইকে চেনে, আমাদের জন্য ওই রকম দ্বৈরথের ব্যাপারটা নেই।’
জাতীয় দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেও একই সুরে কথা বললেন, ‘আমি এ রকম কোনো দ্বৈরথের ব্যাপারে অবগত নই। তবে এর আগে এশিয়া কাপে দুই দলের সঙ্গে আমাদের ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। আমি মনে করি, দুই দলই আমাদের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে।’
এই দুই দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের সাফল্যও আছে। হাথুরুসিংহে তা মনে করিয়ে দিলেন, ‘আমরা দুই দলের বিপক্ষেই ভালো করেছি। আমরা দ্বৈরথের বিষয়টা হিসাবে আনছি না। তবে আমরা দুই দলের বিপক্ষে কীভাবে জিততে পারি, সেই চেষ্টা করব।’
চেষ্টার বিরাট অংশ অবশ্যই প্রস্তুতি। এ মাসের শুরু থেকেই জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা এশিয়া কাপের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করছেন। হাথুরুসিংহের কাছে আজ প্রস্তুতির ব্যাপারে জানতে চাইলে বলেছেন, ‘প্রস্তুতি নিয়ে খুবই খুশি। আমরা ফিটনেস ও মেডিকেল দিয়ে শুরু করেছিলাম। এর ফাঁকে স্কিল নিয়ে কাজ করেছি ৭ দিন। পরের ৭ দিন আমরা কৌশল ও কার কী দায়িত্ব, তা নিয়ে কাজ করেছি। এরপর আমরা ব্যক্তিগত অনুশীলন করেছি।’
বাংলাদেশ দলের প্রস্তুতিটা শেষ হয়েছে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ দিয়ে। হাথুরুসিংহে সে ম্যাচটা নিয়ে বললেন, ‘আমরা এমন ম্যাচ অনেক খেলেছি। এ ধরনের ম্যাচে ইন্টেন্সিটি ধরে রাখা খুব কঠিন। কিন্তু এবার ছেলেরা প্রথম বল থেকে শেষ পর্যন্ত ইন্টেন্সিটি ধরে রেখেছে, এটা খুব কম দেখা যায়। আমি সব মিলিয়ে খুশি।’