ধসের শুরুটা হয় গতকাল শেষ সেশনেই। শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংস স্কোর ২৮০ রানের জবাবে ৩২ রান তুলতেই বাংলাদেশ দল ৩ উইকেট হারিয়ে বসে। আজ আরও ৩ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান তুলে প্রথম সেশন শেষ করে নাজমুলের দল। সেটাও ‘নাইটওয়াচম্যান’ তাইজুল ইসলামের সৌজন্যে। এরপর দুই পেসার খালেদ আহমেদ ও শরীফুল ইসলামের সৌজন্যে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ৫১.৩ ওভার ব্যাট করে রান করে ১৮৮।
চা বিরতির আগ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা ৫.৪ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১৯ রান তুলেছে। উইকেটটি নিয়েছেন অভিষিক্ত ফাস্ট বোলার নাহিদ রানা। নিশান মাদুশকাকে ১০ রানে উইকেটকিপার লিটন দাসের ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। ১১১ রানের লিড নিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
প্রথম সেশনে বাংলাদেশের ইনিংসটাকে টেনেছেন তাইজুল। মাহমুদুল হাসান, শাহাদাত হোসেন ও লিটন দাসের সঙ্গে ছোট ছোট জুটি গড়েন এই বাঁহাতি। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে এসে ছন্দপতন হয় তাইজুলের। ৪০তম ওভারে কাসুন রাজিতার অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে কট বিহাইন্ড হন তাইজুল। অল্পের জন্য টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশত ছুঁতে পারলেন না। আগের সর্বোচ্চ ৩৯ ছাড়িয়ে তিনি থামলেন ৪৭ রানে। ৮০ বলের ইনিংসে ৬টি চার।
রাজিতা থামিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজকেও। ৪৪তম ওভারে রাজিতার ফুল লেংথের বল লেগের দিকে খেলতে গিয়ে বল টপ এজ হয়ে যায় গালি অঞ্চলে। সেখানে ওপেনার নিশান মাদুশাঙ্কা সহজ ক্যাচ ধরেন। ৩৪ বল খেলা মিরাজের ইনিংস থামে ১১ রানে। দলের রান তখন ৮ উইকেটে ১৪৭। সেখান থেকে বাংলাদেশের রানটাকে ১৮৮-এ নিয়ে যান খালেদ ও শরীফুল। দুজন মিলে ৩৫ বলে যোগ করেন ৪০ রান। খালেদের ব্যাট থেকে আসে ২৭ বলে ২২ রান, শরীফুল ২১ বলে ১৫ রান করেছেন।
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ৬৮ ওভারে ২৮০ (কামিন্দু ১০২, ধনাঞ্জয়া ১০২, করুণারত্নে ১৭, কুশল মেন্ডিস ১৬; খালেদ ৩/৭২, রানা ৩/৮৭, তাইজুল ১/৩১, শরীফুল ১/৫৯)।
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৫১.৩ ওভারে ১৮৮ (মাহমুদুল ১২, জাকির ৯, মুমিনুল ৫, নাজমুল ৫, তাইজুল ৪৭, শাহাদাত ১৮, লিটন ২৫, মিরাজ ১১, শরীফুল ১৫, খালেদ ২২, নাহিদ ০* ; বিশ্ব ৪/৪৮, রাজিতা ৩/৫৬, কুমারা ৩/৩১, জয়াসুরিয়া ০/৩৩, ধনাঞ্জয়া ০/৪)।
শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংস: ৫.৪ ওভারে ১৯/১ (মাদুশকা ১০, করুনারত্নে ৯ ; শরীফুল ০/৯, খালেদ ০/৫, নাহিদ ১/৫)।—দ্বিতীয় দিন চা বিরতি পর্যন্ত।