৫ উইকেটে ৩১৬ রানের ভালো সংগ্রহ নিয়ে চা বিরতিতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ক্যারিয়ারের দশম টেস্ট সেঞ্চুরি করে অপরাজিত ছিলেন মুশফিকুর রহিমও। তবে দিনের শেষ সেশনের ব্যাটিং-পর্ব গুটিয়ে গেল দ্রুতই। ৩৮ রানের মধ্যে শেষ পাঁচ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস শেষ ৩৬৯ রানে।
শেষ দিকে রান খুব বেশি না উঠলেও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ভালো লিডই পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম দিন ২১৪ রানে আইরিশদের গুঁড়িয়ে দেওয়ার সুবাদে সাকিব আল হাসানের দল পেয়েছে ১৫৫ রানের লিড।
ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি করা মুশফিক দিনের শেষ সেশনে যোগ করতে পেরেছেন ২ রান। অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনকে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে লং অনে মারে কমিন্সের ক্যাচ হন তিনি। আউট হন ১৬৬ বলে ১২৬ রান করে।
৩৩১ রানে মুশফিক আউট হওয়ার পর বাংলাদেশ দলের ইনিংস টেনে নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ডানহাতি এ অলরাউন্ডার টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি তুলে নেন। খেলেন ৮০ বলে বলে ৫৫ রানের ইনিংস।
শেষ দিকে মিরাজকে কেউ সঙ্গ দিতে পারলে বাংলাদেশের সংগ্রহ বাড়তে পারত অনায়াসেই। তাইজুল ইসলাম (৪), শরীফুল ইসলাম (৪) ও ইবাদত হোসেনদের (০) কেউ বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। আয়ারল্যান্ডের পক্ষে ১১৮ রানে ৬ উইকেট তুলে নেন ম্যাকব্রাইন। ২টি করে নেন মার্ক এডেয়ার ও বেন হোয়াইট।
এর আগে বাংলাদেশকে সাড়ে তিন শ–ঊর্ধ্ব সংগ্রহের দিকে যাওয়ার ভিত গড়ে দেন মুশফিক ও সাকিব। আগের দিনের ২ উইকেটে ৩৪ রান নিয়ে নামার পর দিনের তৃতীয় ওভারেই মুমিনুল হককে হারায় বাংলাদেশ। ৪০ রানে তৃতীয় উইকেট পতনের পর নেমেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন সাকিব। চতুর্থ উইকেটে ৫৪ বলেই উঠে যায় ৫০ রান।
সাকিব তাঁর ৩১তম ফিফটি পান ৪৫ বলে, মুশফিকের লাগে ৬৯ বল। একপর্যায়ে দুজনে সেঞ্চুরির দিকেও এগিয়ে যান। তবে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরির ১৩ রান আগে ম্যাকব্রিনের বলে উইকেটকিপারের ক্যাচে পরিণত হন সাকিব। এ নিয়ে টেস্টে ১৩তম বার ৮০ থেকে ৯৯ রানের মধ্যে আউট হলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
মুশফিক-সাকিবের চতুর্থ উইকেটে বাংলাদেশ পায় ১৫৯ রান। এর মাধ্যমে টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি জুটির তালিকায় শীর্ষে থাকা জাভেদ ওমর ও হাবিবুল বাশার জুটিকে ছুঁয়ে ফেলেছেন সাকিব-মুশফিক, তাঁদেরও এখন ৫টি সেঞ্চুরি জুটি।
সাকিব সেঞ্চুরি না পেলেও মুশফিক ভুল করেননি। দিনের দ্বিতীয় সেশনে ১৩৫ বলে পূর্ণ করেন দশম টেস্ট সেঞ্চুরি। মুশফিকের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি এটি। আর দ্রুততম সেঞ্চুরি হয়ে আছে ২০১০ সালে ভারতের বিপক্ষে করা ১১২ বলে খেলা প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিটিই।
মুশফিকের সঙ্গে লিটন দাসের পঞ্চম উইকেট জুটিতে ওঠে ৮৭ রান। এর মধ্যে ৮ চারে ৪১ বলে ৪৩ রান করেন লিটন। চা–বিরতির আগে লিটন আর পরে মুশফিক আউট হলে বাংলাদেশের রান সাড়ে তিন শ পার করান মিরাজ, দলের লিডও নিয়ে যান ১৫৫-তে।