শেষ দুই বলে দুই ছক্কা মারলেন। তাতেও হলো না। ৯৬ রানে অপরাজিত রইলেন। ড্রেসিংরুমে যাওয়ার পথে হতাশাও ঝাড়লেন। দেখে মনে হবে বোধ হয় এত কাছে এসে সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপই করছেন তাওহিদ হৃদয়। এমনটা ভেবে নিলে ভুল ভাবছেন! ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে হৃদয় নিজেই জানিয়েছেন ৪ রানের জন্য আক্ষেপ নেই তাঁর।
আজ তাওহিদ ক্রিজে আসেন ইনিংসের ১৩তম ওভারে। তখন ৭৫ রানে বাংলাদেশ দ্বিতীয় উইকেট হারিয়েছে। চতুর্থ বলে আসালাঙ্কার বলে কাভার দিয়ে একটা বাউন্ডারি মারলেও তিনি খোলস ছেড়ে বের হতে পারেননি। ৪১তম ওভারে গিয়ে ফিফটি পেয়েছেন।
ফিফটি পেতে খেলেছেন ৭৪ বল, মেরেছেন মাত্র দুটি বাউন্ডারি। এরপরও তাঁর সেঞ্চুরি করার সুযোগ ছিল। শেষ দুই ওভারে তাঁর প্রয়োজন ছিল ২২ রান। তিনি ছিলেনও আগ্রাসী। ৭৪ বলে ফিফটি করা হৃদয় পরের ৪৬ রান করেছেন ২৮ বলে। যার মধ্যে ৫ ছক্কা আর ১ চারে তার ৩৪-ই আসে বাউন্ডারি থেকে।
এরপর হৃদয় বলছেন, ‘আমার কোনো আক্ষেপ নেই, যেটা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। আমি তো প্রথম বলেও আউট হয়ে যেতে পারতাম। সর্বশেষ ম্যাচে রান করতে পারিনি, টি-টোয়েন্টিতেও দ্রুত আউট হয়ে গিয়েছি। আমার সব সময় পরিকল্পনা থাকে একটা শুরু যখন পেয়েছি, যতটুকু পারব দিনটাতে যেন ক্যারি করতে পারি।’
হৃদয়ের ৯৬ আর সৌম্যর ৬৮ রানে বাংলাদেশ তুলতে পেরেছিল ২৮৬ রান, যা ১৭ বল হাতে রেখে পেরিয়েছে শ্রীলঙ্কা। হৃদয় মনে করছেন এই উইকেটে ২৮৬ রান যথেষ্ট ছিল না, ‘উইকেট ৩২০-৩৩০ রানের ছিল। আমরা থিতু হয়ে যদি ইনিংসটা ক্যারি করতাম, তাহলে হয়তো দৃশ্যপট ভিন্ন হতো।’
নিজের ব্যাটিং কৌশল নিয়ে তিনি বলছেন, ‘মাথা যতটুকু কাজ করেছে, চেষ্টা করেছি খেলাটাকে শেষ করতে। যেহেতু ব্যাটসম্যান নাই, ব্যাটসম্যান থাকলে দৃশ্যপট ভিন্ন হতো। আমি ফিফটির পর, আসলে ফিফটির পর না, যখন দেখেছি একটু পরপর উইকেট যাচ্ছে, তখন লক্ষ্যই ছিল খেলাটা শেষ করব। আমি সেট ব্যাটসম্যান, আমি খেলাটা শেষ করলে ভালো কিছু হবে।’