বিপিএলের দশম আসরের প্রথম দিনের খেলাই শুধু শেষ হয়েছে, আজ চলছে দ্বিতীয় দিনের খেলা। বিপিএল-পূর্ব আলোচনা-সমালোচনার রেশ এখনো কাটেনি। আজ রংপুর রাইডার্স ও ফরচুন বরিশালের ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসা অভিজ্ঞ ক্রিকেটার তামিম ইকবালকেও বিপিএলের মান নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তামিম অবশ্য বিসিবির একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের সমালোচনা করলেন না। বরং ইতিবাচক দিকই তুলে ধরলেন।
তামিমের যুক্তিও আছে। তাঁর মুখেই শুনুন, ‘দেখুন, যখন বিপিএল শুরু হয়, আমি সব সময় বলি বিপিএলের ১৭-১৮-১৯ সম্ভবত সবচেয়ে সেরা বছর ছিল। কারণ, ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক একটা স্থিতিশীল অবস্থায় ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ওটা চলতে পারেনি। বিপিএলে যখনই একটা ফ্রাঞ্চাইজি ৭-৮ বছর থাকবে, যেমন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস, তখন টুর্নামেন্টের মূল্যবোধটা অন্যরকম হয়ে যায় সব সময়।’
পরে তামিম আরও যোগ করেন, ‘সর্বশেষ সংবাদ সম্মেলনেও আমি এটা বলেছি, বিপিএলের অনেক ইতিবাচক দিক আছে। ঘরোয়া খেলোয়াড়দের কথা চিন্তা করেন, তারা আর্থিকভাবে লাভবান হয়। অনেক নেতিবাচক দিক আছে, যেটা নিয়ে সারা দিন আলাপ করতে পারি। বাট ক্রিকেট ইজ গুড।’
এবারের বিপিএলের কয়েকটি ইতিবাচক দিকও তুলে ধরেছেন তামিম, ‘আমার কাছে মনে হয়, ভালো ধারাভাষ্যকর এসেছে, এটা একধাপ এগিয়ে দিয়েছে। উইকেটটা যদি আমরা ভালো করি...আপনি যদি রোল না করতে পারেন। ভালো ভালো ধারাভাষ্যকার আসছে, টুর্নামেন্ট জমাতে ভালো ধারাভাষ্যকার দরকার।’
উন্নতির যে আরও জায়গা আছে, সেটিও অস্বীকার করছেন না তামিম, ‘আমার কাছে মনে হয়, উন্নতির অনেক জায়গা আছে। আপনি জানেন, আমিও জানি। শেষ কয়েক দিনে এত নেতিবাচক খবর হয়েছে বিপিএল নিয়ে, এতটা খারাপ নয়। আমাদের এখানে অনেক ইতিবাচক জিনিসও আছে।’
অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে তামিম বিপিএলের প্রশংসা করেছেন এভাবে, ‘কী করতে পারি, কেমন হতে পারে, এটা কেমন হতে পারে—এসব নিয়ে আমরা আলোচনা করতে পারি। ক্রিকেটের কথা যদি বলেন, এটা খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাময়। এখানে রাতারাতি সাফল্য পাওয়া সহজ নয়। আমার কাছে মনে হয়, উন্নতির অনেক জায়গা আছে এবং ইতিবাচক জিনিসও আছে। এই বিপিএলেও আছে।’