প্রত্যাবর্তনটা আরও ভালো হতে পারত। কিন্তু মাত্র ৭ দিনের জন্য তা হলো না। ৭ রানের আক্ষেপ নিয়েই ফিরতে হলো ওপেনার সাদমান ইসলামকে। পাকিস্তান পেসার মোহাম্মদ আলীর বলে বোল্ড হয়েছেন ৯৩ রানে।
এরপরও সাদামানের ফেরাটাকে অসাধারণই বলতে হবে। সাদমান দলে ফিরেছেন প্রায় আড়াই বছর পর, সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন ২০২২ সালের মার্চে, ডারবানে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।
পাকিস্তানের বিপক্ষেও তাঁর একাদশে সুযোগ পাওয়ার কথা ছিল না। পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে সুযোগ মিলেছে আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান চোটে পড়ায়। সুযোগ পেয়ে ১৮৩ বল খেলে ৯৩ রান করেছেন ১২ চারে। দলকে দিয়েছেন লড়াই করার মঞ্চ। সাদমানের আউটের পরই হয়েছে চা-বিরতি। তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশন শেষে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ১৯৯।
সাদমান বাংলাদেশের আর পাঁচজন ক্রিকেটারের মতো নয়, কিছুটা ব্যতিক্রম। সেটা খেলার ধরনে নয়, পছন্দে। তিনি ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি খেলেন না। টেস্ট ক্রিকেট নিয়েই সাদমানের সব ভাবনা।
সাদা পোশাকের এই ক্রিকেটটা খেলেনও তিনি প্রথাগত উপায়ে। ঘরোয়া ক্রিকেটে এর প্রমাণও আছে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ১১ ঘণ্টা ১৪ মিনিট ব্যাটিং করার রেকর্ড আছে তাঁর। ২০২৩ সালের মার্চে বিসিবি দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করার পথে রেকর্ডটা করেন সাদমান। ৬৭৪ মিনিট ক্রিজে থেকে সাদমান করেছিলেন ২৪৬ রান।
এরপরও টেস্টে ওপেনার হিসেবে সাদমান মোটেই প্রথম পছন্দ ছিলেন না। একাদশে জায়গা হারিয়েছিলেন জাকির হাসান ও মাহমুদুলের কাছে। দুজনের বিকল্প হিসেবেই শুধু ভাবা হয় তাঁকে।
বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান সর্বশেষ টেস্ট সেঞ্চুরিটি পেয়েছিলেন ২০২১ সালের জুলাইয়ে, হারারাতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। আজ তিন অঙ্কে পৌঁছালে প্রায় তিন বছর পর সেঞ্চুরির দেখা পেতেন সাদমান। নিজের জন্য নিঃসন্দেহে ৭টি রান বেশ প্রয়োজন ছিল তাঁর। আর দলের জন্য তো নিশ্চয়ই!