বৃষ্টির আভাস। ডিএলএস পদ্ধতিতে বাংলাদেশ পিছিয়ে তখন ২ রানে। ডাগআউট থেকে আফগানিস্তানের প্রধান কোচ জোনাথন ট্রট সংকেত দিচ্ছিলেন, সময় নিতে। সংকেত দেখেই অলরাউন্ডার গুলবদিন নাইব সময় নিলেন না, স্লিপে পড়ে গেলেন।
ক্র্যাম্পের ‘নাটক’ করে সতীর্থদের কাঁধে ভর করে মাঠ ছেড়েছেন। ধারাভাষ্যকাররাও এমন আচরণে বিস্মিত ছিলেন। পমি মবঙ্গোয়া তো বলেই বসলেন, ‘অস্কার নাকি এমি?’ সাইমন ডুল এটিকে বলছেন অগ্রহণযোগ্য। রশিদ খানকেও তখন অখুশি মনে হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি থামায় অবশ্য নাটকটা কাজে লাগেনি। এমন ক্রাম্পে ভোগা গুলবদিনের এখন কী অবস্থা? ম্যাচ শেষে তা জানিয়েছেন অধিনায়ক রশিদ খান।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সাইমন ডুল গুলবদিন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রশিদ বলেছেন, ‘মানসিকভাবে আমরা জানতাম, ম্যাচ জিততে হলে ২০ ওভার খেলতে হবে, ১০ উইকেট নিতে হবে। আমরা শুধু এভাবেই জিততে পারতাম। গুলবদিনের ক্র্যাম্প হয়েছিল। আমার মনে হয়, সে ঠিক আছে। সে যে উইকেটটি নিয়েছে, সেটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’
গুলবদিনের কী অবস্থা, সেটা ম্যাচের সময়ই পুরোপুরি বোঝা গেছে। কারণ, এই গুলবদিনই বৃষ্টির তোপ কমে আসার পরই মাঠে ফিরেছেন। এমনকি বল হাতে উইকেটও নিয়েছেন। আউট করেছেন তানজিম হাসানকে। এমনকি ম্যাচের পর উদ্যাপনের সময় দৌড়ে অনেকজন সতীর্থকে পেছনেও ফেলেছেন। কোথায় যে গেল ক্র্যাম্প!
ম্যাচ শেষে এ নিয়ে অনেকে কথা বলেছেন। রবিচন্দ্রন অশ্বিন এক্সে এ নিয়ে মজা করেছে। গুলবদিনকে লাল কার্ড দেখাতে বলেছেন এই অলরাউন্ডার। সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক মাইকেল ভন লিখেছেন, ‘আঘাত পাওয়ার ২৫ মিনিট পর উইকেট পাওয়া প্রথম বোলার গুলবদিন হওয়ায় ভালো লাগছে।’