জাতীয় লিগের প্রতিটি দলের খেলোয়াড় তালিকায় ক্রিকেটার আছেন ৩০-৩৫ জন করে। তবে প্রতি ম্যাচে স্কোয়াডে থাকেন ১৫ জন ক্রিকেটার। প্রতিটি দলের বাকি ক্রিকেটারদের সঙ্গে আরও কিছু ক্রিকেটার যোগ করে মোট ২২টি দল বানিয়ে আগামী ১০ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২৪।
টুর্নামেন্টে খেলতে পারেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটাররাও। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নামে এই টুর্নামেন্টের আয়োজক বিএনপি-সংশ্লিষ্ট ক্রীড়া সংগঠকেরা।
আজ রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক ও জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক, বিসিবির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ স্কোরার্স ও আম্পায়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী ইউশা মিশু, ক্রিকেটারদের সংগঠন কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল, ক্রিকেট সংগঠক তারিকুল ইসলামসহ ছিলেন আরও অনেকেই।
আমিনুল জানান, ১০ নভেম্বর বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে রাজশাহী বিভাগের দুই দল রাজশাহী লাল ও রাজশাহী সবুজের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে টুর্নামেন্ট।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকবেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার তামিম ইকবাল ও সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল। আশরাফুল অবশ্য টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটিতেই আছেন বলে জানানো হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে। কমিটির আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম। সদস্যসচিব দেবব্রত পাল। আমিনুল হক, কাজী ইউশা মিশুসহ অন্যরা উপদেষ্টা।
বিভাগীয় পর্যায়ের খেলাগুলো বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা শহরে হলেও ১৬ জানুয়ারি শুরু মূল পর্ব হবে ঢাকায়। ফাইনাল হবে জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী ১৯ জানুয়ারি। বিসিবির সহযোগিতায় ফাইনাল ম্যাচটি মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আয়োজন করা যাবে বলে আশাবাদী আয়োজকেরা।
বিভাগীয় পর্যায়ের খেলাগুলো টি-টোয়েন্টি সংস্করণের হলেও ঢাকায় মূল পর্ব টি-টেনও হতে পারে। দেবব্রত পাল জানিয়েছেন, মূল পর্বে কত ওভারের ম্যাচ হবে, তা নির্ভর করছে মাঠ পাওয়ার ওপর। মূল পর্বের ম্যাচগুলো সরাসরি দেখানো হতে পারে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে।
টুর্নামেন্টে অংশ নিতে যাওয়া ১০টি বিভাগ মূলত বিএনপির সাংগঠনিক বিভাগ। রাজশাহী, ফরিদপুর, বরিশাল, খুলনা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, ঢাকা, রংপুর ও সিলেট প্রতিটি সাংগঠনিক বিভাগেই লাল ও সবুজ নামে দুটি করে দল হবে। প্রতিটি বিভাগের দুটি দল নিজেদের মধ্যে একটি করে ম্যাচ খেলবে। ১০ ম্যাচের ১০ জয়ী দলের সঙ্গে মূল পর্বে যোগ হবে ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ দল।
রাজশাহী বিভাগের খেলা হবে বগুড়ায় ও ঢাকার খেলা সিটি ক্লাব মাঠে। অন্যান্য সাংগঠনিক বিভাগের খেলা হবে সংশ্লিষ্ট জেলা ও বিভাগীয় শহরগুলোয়। টুর্নামেন্টের জন্য কোনো পৃষ্ঠপোষক নেওয়া হবে না। পুরো খরচ আয়োজকেরাই বহন করবেন। তবে জানানো হয়েছে, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলোয়াড়েরা যে রকম সুযোগ-সুবিধা পান, এই টুর্নামেন্টেও সে রকম সুযোগ-সুবিধাই থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে আমিনুল জানান, জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট প্রতিবছরই আয়োজন করতে চান তাঁরা। পরিকল্পনা আছে ভবিষ্যতে বিসিবির প্রয়াত উপদেষ্টা ও জিয়াউর রহমানের ছেলে আরাফাত রহমানের নামেও একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজনের। এ ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নামেও মেয়েদের একটি ক্রিকেট বা ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের চিন্তা আছে।