ইয়াসির আলীর কপালটাই খারাপ। তরুণ এই ব্যাটসম্যান ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বাংলাদেশ দলের তিন সংস্করণেই ছিলেন।
২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর এবারই প্রথম ইয়াসিরকে রাখা হয় তিন সংস্করণের দলে। কিন্তু দুর্ভাগ্য, সিরিজ শুরুর আগেই পিঠের চোটের কারণে ছিটকে পড়েন ইয়াসির।
এক মাস আগের সেই চোটের কারণে এত দিন ব্যাটিং করতে পারেননি। জানা গেছে, কাল থেকে ব্যাটিং শুরু করবেন ইয়াসির। ম্যাচ ফিটনেস ফিরে পেতে সময় লাগবে, তাই বাংলাদেশ দলের জিম্বাবুয়ে সফরে ইয়াসিরকে পাচ্ছে না বাংলাদেশ দল।
বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, সব ঠিক থাকলে সেপ্টেম্বরে টি-টোয়েন্টি সংস্করণের এশিয়া কাপ দিয়ে জাতীয় দলে ফিরবেন ২৬ বছর বয়সী এ ব্যাটসম্যান।
চোটের সঙ্গে লড়তে হচ্ছে জাতীয় দলের আরেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকেও। তাই বাংলাদেশ দলের জিম্বাবুয়ে সফরে যাওয়া হচ্ছে না সাইফউদ্দিনেরও। ইয়াসিরের মতো তাঁকেও এশিয়া কাপের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে।
গত বছর অক্টোবরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে পিঠের চোটে ছিটকে পড়েন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। এরপর গত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ দিয়ে মাঠে ফেরেন। আবাহনীর হয়ে ১৪ ম্যাচ খেলে ২২ উইকেট শিকার করেন তিনি, যা ঢাকা লিগে পেসারদের মধ্যে সর্বোচ্চ। লোয়ার অর্ডারে ব্যাটিং করে ২৭০ রানও করেন।
প্রিমিয়ার লিগের পারফরম্যান্সের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের সীমিত ওভারের সিরিজেও ডাক পান সাইফউদ্দিন। কিন্তু পিঠের সেই পুরোনো ব্যথায় তাঁর প্রত্যাবর্তন আরও পিছিয়ে যায়। বোলিংয়ের সময় ব্যথা অনুভব করায় বিসিবির মেডিকেল বিভাগ থেকে সাইফউদ্দিনকে ‘আনফিট’ ঘোষণা করা হয়। তাই শেষ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজে যাওয়া হয়নি সাইফউদ্দিনের।
জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়ে জাতীয় দলে ফেরার আশা ছিল তাঁর। কিন্তু চোট থেকে পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ায় সেটি হচ্ছে না। সাইফউদ্দিনের চোখ এখন এশিয়া কাপে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আজ সাংবাদিকদের সাইফউদ্দিন বলেছেন, ‘জিম্বাবুয়ে সিরিজে হয়তো আমাকে বিবেচনা করা হবে না। নির্বাচকদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমাকে এশিয়া কাপ নিয়ে পরিকল্পনা করতে বলা হয়েছে। সময় যা-ই লাগুক, ফিট হয়ে যেন ফিরতে পারি, সেই লক্ষ্যে কাজ করছি।’
২৭ জুলাই জিম্বাবুয়ে সফরে যাবেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। সেখানে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ে সফরে ওয়ানডে সিরিজের ম্যাচগুলো আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের অংশ নয়।