ফিফটি তুলে নেন মেহেদী হাসান মিরাজ
ফিফটি তুলে নেন মেহেদী হাসান মিরাজ

সিলেট টেস্ট

নিউজিল্যান্ডকে ৩৩২ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

সিলেট টেস্ট জিততে হলে নিউজিল্যান্ডের দরকার ৩৩২ রান। বাংলাদেশ দল তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয়েছে ৩৩৮ রানে। নাজমুল হোসেনের ব্যাট থেকে এসেছে সর্বোচ্চ ১০৫ রান। মুশফিকুর রহিম ৬৭ ও শেষের দিকে মেহেদী হাসান মিরাজের অপরাজিত ৫০ রানের সৌজন্যে লড়াই করার মতো রান করতে পেরেছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ দলের চতুর্থ দিনের শুরুটাই ভালো হয়নি। আগের দিন শতক করা নাজমুলকে দিনের দ্বিতীয় ওভারেই হারায় স্বাগতিকেরা। টিম সাউদির লেগ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। আগের দিনের ১০৪ রানের সঙ্গে আর মাত্র ১ রান যোগ করতে পেরেছেন তিনি। ১০ চারে সাজিয়েছেন ১৯৮ বলের ইনিংস। তাঁর বিদায়ে ভেঙেছে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ৯৮ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

বড় হয়নি অভিষিক্ত শাহাদাত হোসেনের ইনিংস। ৪ চারে ১৮ রান করে ড্রেসিং রুমে ফিরে যান তিনি। ইশ সোধির ৭৬তম ওভারে ভুল লাইনে খেলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন তিনি। তখন দলের রান ৫ উইকেটে ২৪৮। মুশফিকের সঙ্গে এরপর যোগ দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৩ ওভার পরই নতুন বল নেয় নিউজিল্যান্ড, যা দীর্ঘদেহী কাইল জেমিসনকে কার্যকর করে তোলে, বিশেষ করে মিরাজের বিপক্ষে।

মুশফিককে তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে ধাক্কা দিয়েছিল নিউজিল্যান্ড

তবে নতুন বলের সুবিধা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিংয়ে বড় ধাক্কাটা দিয়েছেন এজাজ প্যাটেল। ৮৫তম ওভারে তাঁর স্টাম্প তাক করা বলে ভুল লাইনে খেলে এলবিডব্লিউ হন মুশফিকও। ৭ চারে ১১৬ বলে তিনি করেছেন ৬৭ রান। এরপর উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন নুরুল হাসান। ২৭ বলে ১০ রান করে গ্লেন ফিলিপসের বল ক্রিজ ছেড়ে খেলতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

অবশ্য চাপের মুখে মিরাজের বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিং বাংলাদেশের লিডটাকে নিয়ে যায় তিন শর ওপারে। তবে সঙ্গ দিতে পারেননি নাঈম হাসান ও তাইজুল ইসলাম। ইশ সোধির গুগলি না বুঝে শর্ট লেগে ক্যাচ তুলেছেন নাঈম (৪)। তাইজুল (০) মিড অনের ওপর দিয়ে এজাজ প্যাটেলের বল তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন।

সিলেট টেস্টে জয় তুলে নিতে পারবে নিউজিল্যান্ড

শরীফুল ইসলাম কিছুক্ষণ টিকে থাকায় রক্ষা। মিরাজ শেষ উইকেট জুটিতে শরীফুলকে নিয়ে ২২ বলে ২৬ রান যোগ করেন আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে। জুটির সৌজন্যে অর্ধশত করতে পেরেছেন মিরাজ। দুজনের জুটি ভাঙে শরীফুলের ভুলে। এজাজকে ক্রিজ ছেড়ে মারতে গিয়ে স্টাম্পিং হন তিনি (৭ বলে ১০)। বাংলাদেশের ইনিংসও থামে ৩৩৮ রানে। মিরাজ অপরাজিত ছিলেন ৭৬ বলে ৫০ রানে, ৬৫ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসে চার মেরেছেন ৫টি। নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন এজাজ।